১. যদি কোনো এক ওয়াক্তের নামাজ কাজা হয়, তবে পরবর্তী ওয়াক্তের নামাজের আগেই কাজা পড়ে নিতে হবে। যেমন- যদি কারো এশার নামাজ অথবা বিতির নামাজ কাজা হয়, তবে ফজরের নামাজের আগেই কাজা আদায় করে নিতে হবে। এশা বা বিতিরের নামাজ কাজা না পড়ে ফজর পড়লে ফরজ নামাজ হবে না। এরকম অবস্থায় এশা ও বিতিরের নামাজের কাজা আদায় করে নিয়ে পুনরায় ফজর নামাজ পড়তে হবে। এরকম যদি জোহর কাজা হয়, তবে আসর নামাজের আগে, আসর কাজা হলে মাগরিবের নামাজের আগে এবং মাগরিব কাজা হলে এশার নামাজের আগে পড়ে নিতে হবে। ২. কাজা না পড়েও ওয়াক্তিয়া নামাজ পড়লে নামাজ হয়ে যায় এরকম অবস্থা ৩টি যেমন (১) কাজা নামাজ আদায় করতে গিয়ে যদি ওয়াক্তিয়া নামাজও কাজা হবার সম্ভাবনা থাকে (২) কাজা নামাজের কথা মনে না থাকলে (৩) পাঁচ ওয়াক্তের বেশী নামাজ কাজা হয়ে গেলে। ৩. ফজরের নামাজ পড়বার সময় কোনো ব্যক্তি যদি দেখে তার এশার নামাজ ও বিতির কাজা আছে। অথচ এশা ও বিতির কাজা পড়ে নিয়ে ফজর পড়তে গেলে ফজর নামাজের সময় চলে যায়,তখন সে ফজরের নামাজ পড়ে নিলে নামাজ হয়ে যাবে। ৪. জোহরের নামাজ পড়তে পড়তে অথবা নামাজ পড়া শেষে যদি কারো হঠাৎ মনে পড়ে তার ফজরের নামাজ কাজা ছিলো। এমতাবস্থায় তার জোহরের নামাজ হয়ে যাবে। পরে শুধু ফজরের কাজা পড়তে হবে। ৫. কাযা হওয়া নামাজের সংখ্যা ছয়টি হয়ে ষষ্ঠ নামাজের সময় শেষ হয়ে যায়। তখন আর ধারাবাহিকতা রক্ষা করার আবশ্যকতা থাকেনা।
ফরজ নামাজের কাজা আদায় করা ফরজ।
যদি ১,২,৩ বা ৪ ওয়াক্ত নামাজ কাজা হয় তাহলে ধারাবাহিক ভাবে নামাজ আদায় করতে হবে। যেমনঃ- যদি ফজর,যোহর,আছর,মাগরিব কাজা হয় তাহলে ইশার নামাজ আদায় করার পূর্বে ধারাবাহিক ভাবে আগে ফজর তারপর যোহর তারপর আছর তারপর মাগরিব আদায় করে ইশার নামাজ আদায় করতে হবে। তা না হলে তারতীব অনুযায়ী নামাজ আদায় না করায় ইশার নামাজ ফাছেদ বা নষ্ট হবে। কিন্তু, ৫ বা তার বেশী ওয়াক্ত নামাজ কাজা হইলে তারতীবের দিকে খেয়াল না রাখলেও চলবে।
★কাজা নামাজ নিষিদ্ধ সময় ছাড়া যেকোনো সময়মত আদায় করা যায়।