গত দীর্ঘ কয়েক মাস ধরেই আমার অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ হচ্ছে।আগে হস্তমৈথুন একটু বেশি করতাম।এখনও খুব কম করি,কিন্তু আমি এটা ছাড়তে চাই।আর স্বপ্নদোষ এর চিকিৎসা করার জন্য হামদার্দ এর ঔষধ খেয়েছি।কিন্তু ডাক্তার আমাকে একমাসের চিকিৎসা নিতে বলেছিল,আমি ২০ দিন পরই ঔষধ খাওয়া বন্ধ করে দেই।একটু কম হওয়া শুরু করলেও এখন বেশি হচ্ছে।আবার আমি খেয়াল করে অনেক সময় দেখি যে,কোনো কারণ ছাড়ায় লিঙ্গ দিয়ে পাতলা পানি বের হচ্ছে।এজন্য আমার দুর্বলবোধ মনে হয়।আমি এগুলো সমস্যা নিয়ে সত্যিই চিন্তিত।আমার সামনে HSC পরীক্ষা,এগুলো চিন্তা করতে করতে শুকিয়ে যাচ্ছি,পড়তে মন বসে না,শুধু এসব সমস্যার চিন্তাভাবনা মাথায় ঘুরপাক খায়।প্লিজ কেউ এই সমস্যাগুলোর সমাধান/পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করুন।আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব।


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

* স্বপ্নদোষ থেকে মুক্তির পথ ও পদ্ধতির মধ্যে প্রথমটি হল নিজের খেয়াল ও ধ্যান ধারণাকে সব সময় পাক সাফ রাখবেন। নিজের মনকে নিজের আয়ত্বে রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা করবেন। সৎ ও ভালো লোকদের সাথে চলাফেরা করবেন। এসবের সাথে সাথে খাবার ও পেট ভালো রাখাও অধিক গুরুত্বপূর্ণ।

* অধিক মসলাজনিত খাবার, যেসব খাবার বিলম্বে হজম হয়, সেগুলো যথাসম্ভব কম খাবেন। যেমন-গোশত, কাবাব, ডিম, অধিক পরিমাণে চা পান, কফি পান, বেগুন, মশুরির ডাল ইত্যাদি।

* খাবার দাবারে বিশেষ করে রাতের খাবার কমিয়ে দিবেন এবং শোয়ার কমপক্ষে দুই ঘণ্টা পূর্বে খাবেন। শোয়ার সময় অধিক পরিমাণে পানি ও চা পান করবে না। শোয়ার পূর্বে পেশাব পায়খানার প্রয়োজন সেরে ঘুমাবেন। মূত্রথলীতে পেশাব জমা হয়ে স্বপ্নদোষ হওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করে। নরম ও গরম বিছানায় শয়ন করা অনুচিত। বরং এমন ঘরে শোবে, যে ঘরে আলো বাতাস প্রবেশ করে।

* চিত হয়ে শয়ন করাও স্বপ্নদোষ হওয়ার সহায়ক।

* শেষ রাতে পেশাবের বেগ হলেই উঠে পেশাব করবেন।

* গরমকালে রাতে অধিক গরম লাগলে এবং মেজাজও গরম থাকলে যদি গোসল করার দ্বারা কোনো সমস্যা না হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাহলে গোসল করে নেওয়া অনেক লাভ জনক।

* স্বপ্নদোষ প্রতিরোধক ওষুধ বেশি দিন সেবন করবেন না। এতেও উল্টা এ্যাকশন হতে পারে। আজিবনের জন্য ধ্বজভঙ্গ রোগ হতে পারে।

* স্বপ্নদোষ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি শয়নকালে কখনো লিঙ্গে কোনো প্রকার মলম বা মালিশ ব্যবহার করে শয়ন করবেন না। অন্যথায় স্বপ্নদোষের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

* স্বপ্নদোষ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি স্বপ্নদোষের চিকিৎসার পূর্বে হেকিমের নিকট নিজের পেটের হালত বর্ণনা করবে। চিকিৎসা চলাকালিন যৌন চাহিদা বৃদ্ধকারী কোনো প্রকার খাবার বা ওষুধ ব্যবহার করবে না।

* এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি রাতের খাবারে কাঁচা পেঁয়াজ খাবেন না। অন্যথায় এ রাতেই স্বপ্নদোষ হবে।

* তামাক, বিড়ি, সিগারেটও সেবন করবেন না। যদি এসব পান করতে অভ্যস্ত থাকে, তাহলে ধীরে ধীরে তা পরিত্যাগ করবে। কেননা, তামাক মানুষের দেমাগ ও বীর্যের জন্য অধিক ক্ষতিকর। বিষ যেমন মানুষের ক্ষতি করে, তামাক মানুষকে তাঁর চেয়েও বেশি ক্ষতি করে। এটা যদি মাত্রায় একটু বেশি সেবন করা হয়, তবেই তাঁর প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। সমস্ত শরীরকে দুর্বল বানানো, মাথা ঘেমে পানি পড়া, মাথা ঘুরা, বমি , চোখে সরিষার ফুল দেখা, দৃষ্টিশক্তি কম, শ্রবণশক্তি হ্রাস, হাত পায়ে জ্বলন, শ্বাস প্রশ্বাসে কষ্ট, হজম শক্তি দুর্বল এমনকি আত্মভোলা হয়ে যায়। হেকিমদের মতে তামাক অধিক পরিমাণে ব্যবহার করলে এক সময় মানুষের ফোফরাও নষ্ট হয়ে যায়। দিলে ধুক ধুকানি বৃদ্ধি পেতে থাকে। এ জাতীয় আরো অনেক রোগ দেখা দেয় যা একজন সুস্থ মানুষের জন্য খুবই ক্ষতিকর। অভিজ্ঞিদের মতে তামাক গ্রহণকারীদের সন্তানও দুর্বল হয়ে থাকে।

স্বপ্নদোষের চিকিৎসা এভাবে করবেন-

  • কাবাবচিনি ও মকরধজ এক সাথে মিশিয়ে চিনি সহযোগে সাতদিন ব্যবহার করলে স্বপ্নদোষ হতে মুক্তি পাওয়া যায়।
  • দৈনিক সকালে কবিতরের গম সমান পরিমাণ ইছবগুলের ভূষি সেবন করলে স্বপ্নদোষ হতে মুক্তি পাওয়া যায়।
  • সকাল বেলা এক ছটাক ধনিয়া ভালোভাবে কচলে এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রাতে শয়নকালে উক্ত পানি ছেকে ২ চামচ চিনি দিয়ে শরবতের মতো বানিয়ে পান করবে। এতেও স্বপ্নদোষ হতে মুক্তি পাওয়া যাবে।
  • আধা তোলা ধনিয়ার গুড়ো ২ চামচ মধুসহ সকালে নিয়মিত সেবন করলে স্বপ্নদোষ হতে মুক্তি পাওয়া যাবে।
  • রাতে শয়নকালে লিঙ্গে ওলিভয়েল তৈল মালিশ করে শয়ন করলে স্বপ্নদোষ হতে মুক্তি পাওয়া যায়।
  • চার আনা পরিমাণ অরশ্বগন্ধা চূর্ণ করে রাতে ঘুমের কিছুক্ষণ আগে, কাঁচা দুধে মিশিয়ে সেবনের পর ঘুমালে ইনশাআল্লাহ স্বপ্নদোষ হবে না।
  • শনিবার অথবা মঙ্গলবার রাত্রি বেলা শশ্মানঘাটের ধুতরা গাছের মূল অর্থাৎ শিকড়, কোমরে বেধে রাখলে আর কোনোদিন স্বপ্নদোষ হবে না।
  • রাতে শোয়ার সময় ভালোভাবে মুখমণ্ডল কান পর্যন্ত, হাত বগল পর্যন্ত এবং পা হাটু পর্যন্ত এমনকি গলাও উত্তমরূপে ধৌত করে ঘুমাবে।
  • মাত্রাতিরিক্ত চা ও সিগারেট সেবন না করা।
  • রাতে বেশি পরিমাণ খানা খাওয়া উচিৎ নয়। অধিক রাত পর্যন্ত জেগে থাকা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। নিয়মিত আহার ও নিদ্রা যাওয়া উচিৎ।
  • জৈতুনের তেল পুরুষাঙ্গ মালিশ করে শয়ন করলে স্বপ্নদোষ হয় না। একখন্ড শিশা পুরুষাঙ্গের মূলদেশে বেধে রাখলেও শুক্রপাত হয় না।  তদ্রুপভাবে দুই তোলা চিনি ভালোভাবে গুড়ো করবে। তারপর সিকি তোলা পরিমাণ আফিম ভালোভাবে মিশিয়ে দুই রত্তি পরিমাণ অর্থাৎ প্রতি তোলায় ৪৮ টি করে বড়ি তৈরি করবে। এরপর প্রতি রাতে শয়নকালে একটি করে বড়ি এক গ্লাস ঠাণ্ডা পানিসহ সেবন করবে। আল্লাহ চাহে তো অচিরেই স্বপ্নদোষ হতে রক্ষা পাবে।
  • প্রত্যেক দিন ভোর বেলা কৈতরগম কিংবা ইছবগুলের ভূষি এক গ্লাস সরবত বানিয়ে নিয়মিত সেবন করলে স্বপ্নদোষ রোগ ভালো হয়ে যাবে।  অধিক স্বপ্নদোষের কারণে কারো ধাতু বা বীর্য পাতলা হয়ে গেলে নিম্মোক্ত চিকিৎসা গ্রহন করবে।
  • সালাম মিছরী ২০০ গ্রাম, শ্বেত মুসরী ১০০ গ্রাম, সকাকুল মিছরী ২০০ গ্রাম, কালো মুসরী ১০০ গ্রাম, সিংঘাড়ের আঠা ৫০ গ্রাম ও চিরিডাল চূর্ণ ৫০ গ্রাম। এগুলো চূর্ণ করে পরিস্কার কাপড়ে ছেকে নিতে হবে। তারপর ঐ চূর্ণগুলো ৩ কিলো গরুর ঘি ও ৭৫০ গ্রাম চিনি মিশিয়ে আরো কিছুক্ষণ আগুনে ফুটাতে হবে। এরপর যখন খুব বা একটু শক্ত হবে, তখন একটি কাঁচের পাত্রে রেখে দিতে হবে।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

স্বপ্নদোষ কোনো রোগ নয়। এর জন্য কোনো চিকিৎসা করাও প্রয়োজন নেই। এটা নিয়ে চিন্তিত না হয়ে, স্বাভাবিক ভাবে নিন।আর এখন আপনার স্বপ্নদোষ হওয়ার কারণ হলো আপনি হস্তমৈথুন করেন না।যারা হস্তমৈথুন করেন , তাদের স্বপ্নদোষ হয়না। তবে আপনি স্বপ্নদোষ থেকে মুক্তি পেতে পারেন, এজন্য রাতে ঘুমানোর পূর্বে খারাপ চিন্তা ভাবনা করবেন না এবং পর্ণ দেখবেন না। কারণ আপনি যেটা নিয়ে ভাববেন, রাতে সেটা নিয়েই স্বপ্ন দেখবেন। শেষ কথা, আপনি হামদর্দ, হোমিও , কবিরাজি আজে বাজে চিকিৎসা না নিয়ে। একজন ভালো যৌন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

হস্তমৈথুন ছেড়ে দিলে স্বপ্নদোষে প্রভাব পড়ে|মাসে ৫-৬ বার হওয়া স্বাভাবিক এর বেশি হলে চিকিৎসা নেওয়া প্রয়োজন|স্বপ্নদোষের ওষুধ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ধৈর্য্যের সহিত ওষুধ সেবন করে যেতে হবে|কোর্স সম্পূর্ণ না করলে কার্যকরী ফলাফল পাবেন না| সব ধরণের উত্তেজক খাদ্য ও ধুমপান এড়িয়ে চলুন|আয়াতুল কুরশি পাঠ করে ঘুমাবেন|পর্ণগ্রাফি, মেয়েলী চিন্তা,অযথা টেনশন মুক্ত থাকবেন|আপনি প্রচুর টেনশন করেন এ থেকে মুক্ত থাকুন|অতিরিক্ত হতে থাকলে যৌন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক|

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ