শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
master

Call

গর্ভবতী বা গর্ভবতী নন, এমন সমস্ত মহিলার ওপরই যৌন সংক্রমণ জনিত রোগ সমান প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে৷ এই রোগগুলি থেকে জরায়ুর ও অন্যান্য ক্যান্সার, ক্রনিক হেপাটাইটিস, শ্রোণীপ্রদাহ জনিত অসুস্থতা, অনুর্বরতা এবং অন্যান্য বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিতে পারে৷ মহিলাদের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ যৌনসংক্রমণ জনিত রোগের কোন লক্ষণ বা উপসর্গ বোঝা যায় না৷ এই সংক্রমণে আক্রান্ত একজন মহিলার সময়ের পূর্বেই প্রসব বেদনা, জরায়ুতে শিশুর চারপাশের ঝিল্লি অসময়ে ছিঁড়ে যাওয়া, এবং প্রসবের পর জরায়ুর সংক্রমণ হতে পারে৷ এই সংক্রমণে আক্রান্ত একজন মহিলার থেকে প্রসবের আগে, প্রসবের সময় বা জন্মের পর শিশুর সংক্রমণ হতে পারে৷ কিছু কিছু যৌনসংক্রমণ জনিত রোগ(যেমন, সিফিলিস)ফুল ভেদ করে জরায়ুর(গর্ভাশয়)মধ্যে থাকা শিশুকে সংক্রামিত করে৷ অন্যান্য যৌন সংক্রমণ(যেমন, গনোরিয়া, ক্ল্যামিডিয়া, হেপাটাইটিস বি ও যৌনাঙ্গের হারপিস)প্রসবের সময়(জন্মনালী দিয়ে বাইরে আসার সময়)মায়ের শরীর থেকে শিশুর শরীরে পরিবাহিত হয়৷ এইচআইভি ফুল ভেদ করে, জন্মের সময় শিশুকে সংক্রামিত করতে পারে এবং এটি এমন এক যৌন সংক্রমণ, যা স্তন্যপানের মাধ্যমেও শিশুর শরীরে সংক্রামিত হতে পারে৷ একটি শিশুর ক্ষেত্রে যৌনসংক্রমণ জনিত রোগের সবচেয়ে সাংঘাতিক ক্ষতির মধ্যে আছে মৃত শিশুর জন্ম, অস্বাভাবিক কম ওজন(পাঁচ পাউন্ডের কম), কঞ্জাংটিভাইটিস(চোখের সংক্রমণ), নিউমোনিয়া, প্রসব-পরবর্তী সংক্রমণ(শিশুর রক্তস্রোতে সংক্রমণ), স্নায়ুর ক্ষতি(যেমন, ক্ষতিগ্রস্ত মস্তিষ্ক, হাত পায়ের নাড়াচাড়ায় সমন্বয় না থাকা, অন্ধত্ব, বধিরতা, হেপাটাইটিস, ম্যানিঞ্জাইটিস, ক্রনিক লিভারের অসুখ ও সিরোসিস)৷

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ