ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম হবে মুসলিম জনজাগরণে মাধ্যমে। মুসলিমরা আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন করবে, আকিদাহ পরিশুদ্ধ করবে, নিজের পরিবার পরিবর্গকে সঠিক ইসলামী তরবিয়ত দেবে, তবেই ইসলাম কায়েম হবে। মহান আল্লাহ বলেছেন, “নিশ্চয় আল্লাহ কোন সম্প্রদায়ের অবস্থা পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ না তারা নিজেদের অবস্থা নিজেরা পরিবর্তন করে।” (রা’দঃ ১১) উলামাগন বলেন, ‘তোমরা তোমাদের হৃদয়ে হৃদয়ে ইসলাম কায়েম কর, তোমাদের রাষ্ট্রে ইসলাম কায়েম হয়ে যাবে।’ অন্যথা সন্ত্রাস, পশ্চিমী গনতন্ত্র ইত্যাদি ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করার শরয়ী পদ্ধতি নয়।
এ কাজের জন্য নিজের মাঝে ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। সাথে সাথে অন্যদের মাঝেও ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করার চিন্তা করতে হবে। জনগণকে মানব রচিত আইনের অসারতা বুঝাতে হবে। কুরআনিক আইনের উপকারিতা সম্বন্ধে মানুষকে ধারণা দিতে হবে। এভাবে দেশর মানুষকে কুরআনের আইনের ব্যাপারে আগ্রহী করে তুলতে হবে। সাথে সাথে শাসকবর্গকেও বুঝাতে হবে কুরআনের আইনের মহত্বের কথা। মানব রচিত আইনের অসারতাগুলোও তাদের সামনে তুলে ধরতে হবে। জিহাদের ব্যাপারেও মানুষকে স্পষ্ট ধারণা দিতে হবে। যাতে দেশের সকল মানুষ এক প্লাটফর্মে চলে আসতে পারে। এভাবে পরিকল্পনা মাফিক এগুতে থাকলে আশা করা যায় এ দেশের রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ইসলাম কায়েম হবে।