বন্ধুত্বের পালা তো শুরু হয় সেই ছোট্ট বেলা থেকেই। ছোটবেলার খেলার সাথী, স্কুলের দুষ্টু-মিষ্টি সঙ্গীদের পেরিয়ে এক সময় বন্ধুত্ব এসে পৌঁছায় কলেজ-ভার্সিটির তারুণ্যে। সত্যি বলতে কি, এই সময়ে কিন্তু বন্ধুত্ব বদলে যায় অনেক খানি। তারুণ্যে যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে, তাঁর রূপ-রস-গন্ধটাই যেন আলাদা। কখনো এই বন্ধুত্ব নিয়ে আসে জীবনে অনাবিল সুখের পরশ। দারুণ একটা ভালো লাগার জায়গা, ভরসার জায়গা তৈরি করে দেয়, বন্ধুরা হয়ে ওঠে আত্মার আত্মীয়। কখনো আবার একদম হিতে বিপরীতও হতে দেখা যায়। তারুণ্যের বন্ধুত্ব কখনো কখনো হয়ে দাঁড়ায় জীবনের জন্য অভিশাপ।এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কীভাবে সামাল দেবেন তারুণ্যে বন্ধুত্বের এই উত্তাল ঢেউ?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call
  • -বন্ধু ছাড়া জীবন অচল। তবে বন্ধুই কিন্তু সবকিছু নয়। তারুণ্যে বন্ধুদেরকে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় সত্যি। কিন্তু সেটার চাইতেও বেশি গুরুত্ব দেয়া উচিত লেখাপড়ায়। এই জায়গাটা ঠিক রেখে তারপর বন্ধুত্ব রক্ষা করুন।
  • -তারুণ্যে প্রেমটাও কিন্তু জীবনের একটা অংশ। আর বেশিরভাগ মানুষই যে ভুলটা করেন সেটা হচ্ছে প্রেমের মাঝে বন্ধুদের ঢুকিয়ে ফেলেন। ফলে তৈরি হয় নানা অপ্রীতিকর সমস্যার। এই ব্যাপারটিও একটু বুঝে সমঝেই চলুন। সকল বন্ধুকে নিজের প্রেমের সম্পর্কে কথা বলতে দেবেন না।
  • -যত আপন বন্ধুই হোক না কেন, তিনি যদি একজন অসৎ ব্যক্তি হয়ে থাকেন তবে পরিত্যাগ করাই উত্তম। অন্যায় কাজে জড়িত, নেশা করেন কিংবা চারিত্রিক সমস্যা আছে এমন বন্ধুদের থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখাই উত্তম।
  • -বন্ধুর জন্য মানুষ অনেক কিছুই করে। সেটা করুন, তাতে দোষ নেই। কিন্তু বন্ধুর সহায়তা করতে গিয়ে এমন কোন কাজ করবেন না যেটা অন্যায়। এমন কিচ্ছু করতে যাবেন না, যেটার জন্য আপনি সমস্যায় জড়িয়ে যেতে পারেন বা লোকে আপনার নিন্দা করে।
  • -নানান কারণে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হওয়া সম্পর্কের ধর্ম। আর তারুণ্যের বন্ধুত্বে এটা সবচাইতে বেশি। তবে ভুল বোঝাবুঝি করে মাথা গরম অবস্থায় বন্ধুত্ব ত্যাগ করবেন না। জেনে, বুঝে, ভেবে তবেই সিদ্ধান্ত নিন।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ