বয়ঃসন্ধি কালে ছেলে বা মেয়েটি পার হয় জটিল এক মনোস্তাত্বিক অবস্থার ভেতর দিয়ে। হরমোন পরিবর্তন ব্যাপক প্রভাব ফেলে তার শরীর ও মনে। সবার ভেতর থেকেও সে নিঃসঙ্গ হয়ে ওঠে। নতুন এ অভিজ্ঞতা তাকে অপ্রতিরোধ্য করে তোলতে পারে ভেতরে ভেতরে। ভেঙে পড়তে পারে তার মানসিক গড়ন। এই রকম কোন মানসিক বিপর্যয়ের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে নাতো আপনার সন্তান! জেনে নিন ৫ টি লক্ষণের সাথে মিলিয়ে।
বয়ঃসন্ধিকালে আপনার বাচ্চার মেজাজ এমনিতেই পরিবর্তন হতে পারে। তবে সেই মেজাজ খারাপ হওয়ার অবস্থাটুকুর পাঠোদ্ধার করা আপনার জন্য জরুরি। আপনার সন্তানকে আপনিই সবচেয়ে ভালো জানেন। খেয়াল করুন তার মেজাজ পরিবর্তন কীভাবে প্রভাবিত করছে তার আচরণ।
এই সময়ে তাদের আচরণ পরিবর্তন হওয়াটাই স্বাভাবিক। সে বড় হয়ে উঠছে। তবে আপনাকে যেটা করতে হবে যে, এই পরিবর্তিত আচরণ কি অস্বাভাবিক না স্বাভাবিক সেটা নির্ণয় করতে হবে। অস্বাভাবিক হলে অবশ্যই তার মানসিক সেবার প্রয়োজন আছে।
যে বিষয়গুলো আপনার বাচ্চা আপনার সাথে শেয়ার করতে লজ্জা পাবে বা, সংকোচ বোধ করবে সেগুলো সাধারণত বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবে। ফলে এই সময় তার বন্ধুদের সাথে ভালো সম্পর্ক থাকার কথা। কিন্তু যদি এটার ব্যতিক্রম হয়। কোন বন্ধুর সাথেই সে মিশতে না পারে, তবে অবশ্যই তাকে মানসিক সেবা দিতে হবে।
যদি হঠাৎ করেই আপনার বাচ্চার স্বাস্থ্যগত বিষয়গুলো, যেমন ধরুন ঘুম, খাওয়া, খেলাধূলায় পরিবর্তন দেখা দেয়। যদি সে ঠিক মত না ঘুমায় বা খাওয়া-দাওয়ায় অনিয়ম করে এবং স্বাস্থ্য ও চেহারায় তার বাজে প্রভাব পড়তে শুরু করে, তবে বুঝতে হবে তার মানসিক সেবা নেয়া জরুরি।
এ বিষয়টা হচ্ছে নিজের মনের স্বস্তির জন্য নিজে নিজে ঔষধ নেয়া। ঘুমের ঔষধ খেতে পারে, নিতে পারে মাদক অথবা ড্রাগস। কেটে ফেলতে পারে নিজের হাত, পা। নিজেকে রক্তাক্ত করেও স্বস্তি পেতে পারে অনেকে। এই রকম হলে অবশ্যই আপনার সন্তানকে মানসিক সেবা দেয়ার জন্য চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়াটা জরুরি ।
ব্যস্ততা তো থাকবেই। তাই বলে নিজের সন্তানের দিকে খেয়াল রাখবেন না? খেয়াল রাখুন আপনার সন্তানের দিকে। ৫টি লক্ষণের একটিও যদি তার ভেতর দেখা যায়। তাকে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা দিন। সে বেড়ে উঠুক সুস্থ মন নিয়ে। গড়ে তুলুক সুন্দর পৃথিবী। ভালো থাকুক আপনার সন্তান। ভালো থাকুন আপনি।