Call

মূত্রের মাধ্যমে যে পরিমাণ স্বাভাবিক ইউরিক এসিড বেরিয়ে যায়, তার চাইতে বেশি পরিমাণ ইউরিক এসিড যখন আমাদের যকৃত তৈরি করে তখনই রক্তে এর পরিমাণ মাত্রা ছাড়ায়। এছাড়া স্বাভাবিক অবস্থায় খাবার হতে উৎপন্ন ইউরিক এসিড রক্তে মিশে যায়, রক্তে বাহিত হয়ে তা কিডনিতে পৌঁছায় এবং কিডনি এই টক্সিক উপাদানকে বের করে দের শরীরের বাইরে। তবে আজকাল আমাদের এমন খাবার খাওয়া অনেক বেশি পড়ে যা রক্তে বাড়িয়ে দেয় ইউরিক এসিড, এতটা বেশি যে কিডনি সেটা শরীর থেকে বের করতে পারে না এবং ক্রমশ আপনার শরীরের বাড়তে থাকে ইউরিক এসিডের উপস্থিতি। ফলে আপনি হয়ে পড়তে থাকেন অসুস্থ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হাঁটু সহ বিভিন্ন অস্থিসন্ধিতে ইউরিক এসিড জমা হতে থাকে এবং তাতে অস্থিসন্ধি ফুলে যায় এবং ব্যথা হয়। উচ্চ মাত্রায় চিনি খাওয়াও হতে পারে ইউরিক এসিড বৃদ্ধির একটা বড় কারণ। দেহে উচ্চ মাত্রার ইউরিক এসিদের উপস্থিতির কারণে হতে পারে গেঁটে বাত, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি ড্যামেজ হওয়া যাওয়া হতে শুরু করে আরও নানান রকমের অসুখ। কী করবেন? জেনে নিন শরীরে ইউরিক এসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার ও ইউরিক এসিড শরীর থেকে বের করে দেয়ার একটি সহজ কৌশল। স্বাভাবিক অবস্থায় দেহে ইউরিক এসিডের মাত্রা হচ্ছে- পুরুষের ক্ষেত্রে: ৩.৪–৭.0mg/dL নারীর ক্ষেত্রে: ২.৪–৬.0 mg/dL এর চাইতে বেশি হলে নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত প্রয়োজন। আর এই কাজে আপনাকে সহায়তা করবে খুবই সাধারণ একটি জিনিস, যার নাম অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার। যে কোন সুপারশপে খুঁজলেই এই জিনিসটি পাবেন। বিদেশি পণ্য হলেও দাম খুব বেশি চড়া নয়। একদম বিশুদ্ধ ভিনেগার কিনুন, কোন রকম রঙ-ফ্লেভার-পানি মেশানো ভিনেগার কিনবেন না। ১ চা চামচ ভিনেগার নিন, এক গ্লাস পানির সাথে মিশিয়ে পান করে ফেলুন। দিনে এই কাজটি ২/৩ বার করুন নিয়মিত। অরগানিক ও অপাস্তুরিত ভিনেগার হলেই সবচাইতে ভালো কাজ দেবে। অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার শরীর থেকে যে কোন দূষিত পদার্থ বের করে দিতে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখে। বিশুদ্ধ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগারে থাকে ম্যালিক এসিড, যা ইউরিক এসিডের ক্রিস্টাল গুলোকে ভেঙে দেয় এবং তাঁদেরকে শরীরের জয়েন্টে জমতে বাঁধা দেয়। এছাড়াও নিয়মিত এই পদ্ধতিতে সেবন করলে আপনি আরও কিছু চমৎকার স্বাস্থ্য উপকারিতা পাবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ