যাকাত এবং ফিতরার খাত সমূহ একই।এর খাত ৮টি-
১.ফকির।
২.মিসকিন।
৩.যাকাত আদায়ের কর্মচারী ও কর্মকর্তাগণ।
৪.অমুসলিমদের মন জায় করার জন্য।
৫.দাস মুক্তি।
৬.ঋনগ্রস্থ।
৭.আল্লাহর রাস্তায়।
৮.মুসাফির।
এই ৮টি খাতে আপনি যাকাত+ফিতরার টাকা ব্যীয় করতে পারবেন।
এখন আপনার পরিবারের কেউ যদি এই ৮ টির মধ্যে কোন একটি খাতের মধ্যে পরে তাহলে তাকে অবশ্যই দেওয়া যাবে।শরিয়তে এই টাকা নিজ আত্মিয়-স্বজনদের মধ্যে আগে দেওয়ার ব্যাপারে তাগিদ দিয়েছে।এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ টাকাটা একজনকেও দেওয়া যাবে,এতে বাধা নেই।তাই আপনি নিয়মত মতো নিজ পরিবারের কাউকে দিতে পারবেন।
তবে একটা দিক খেয়াল রাখবেন,এমন যেন না হয় যে,আপনার ছেলে দুনিয়াবি কাজে বন্ধুদের কাছ থেকে টাকা ধার করে ঋনি হয়ে গিয়েছে তাই তাকে দিবেন,এটা করা যায় না কারণ,তার ভরণ পোষনের দায়িত্ব তো আপনারই অথবা কোন সুদি লোক সুদের টাকা পরিশোধ করতে পারছেনা এমন লোককেও না।এককথায়,আপনার বিবেক দিয়ে বিচার করে দেখবেন,যাকে দিচ্ছেন তার জন্য যেন কেয়ামতে আবার আপনার জবাবদীহীতা করা না লাগে।
কোনো ব্যাক্তির সাদকায়ে ফিতর তার দরিদ্র ভাই, বোন, চাচা, ফুফুসহ সকল দরিদ্র আত্মীয়-স্বজনকে দিতে কোন আপত্তি নেই। বরং তাদেরকে দেওয়া হলে সেটা সাদকা ও আত্মীয়তার হক আদায় হয়।
সালমান ইবনু আমের আদ-দাববী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (অনাত্মীয়) গরীব-মিসকীনকে যাকাত দান করলে তা যাকাতই (যাকাতের সওয়াব পাওয়া যায়)। আর আত্মীয়-স্বজনকে যাকাত দিলে দ্বিগুণ (যাকাতের সওয়াব এবং আত্মীয়তা সম্পর্ক রক্ষার সওয়াব) হয়।
সুনানে ইবনে মাজাহ, অধ্যায়ঃ ৮/ যাকাত, হাদিস নম্বরঃ ১৮৪৪, নাসায়ীঃ ২৫৮২, মিশকাতঃ ১৯৩৯, হাদিসের মানঃ সহিহ)।
নিজ পিতা-মাতা, দাদা-দাদী, নানা-নানী, পরদাদা প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ যারা তার জন্মের উৎস তাদেরকে নিজের সাদকায়ে ফিতর দেওয়া জায়েয নয়। এমনিভাবে নিজের ছেলে-মেয়ে, নাতি-নাতিন এবং তাদের অধস্তনকে সাদকায়ে দেওয়া জায়েয নয়। স্বামী এবং স্ত্রী একে অপরকে সাদকায়ে দেওয়া জায়েয নয়।
সুতরাং নিজ আত্মীয় যদি সাদকায়ে ফিতর গ্রহনের হকদার হয়, তাহলে উপরে উল্লেখিত আত্মীয় ব্যাতিত অন্যদের সাদকায়ে ফিতর দেওয়া জায়েজ আছে।
https://youtu.be/CoR0IJhKZeQ ফিতরা যাদেরকে দিবেন....
বিঃদ্রঃ ফিতরা টাকা দিয়ে আদায় করলে হবে না, খাদ্য দ্রব্য দিয়ে আদায় করতে হবে।
বিস্তারিত: ভিডিওতে https://youtu.be/CoR0IJhKZeQ