শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

যোগাযোগঃ কোন বস্তু বা তথ্য স্থানান্তরের মাধ্যমে মানুষের প্রয়োজন মেটানোকে যোগাযোগ বলে। অর্থাৎ একাধিক ব্যক্তির মধ্যে বস্তু, সংকেত বা তথ্য যেকোন কিছু স্থানান্তর করে উভয়ের প্রয়োজন সম্পর্ণ করাই হচ্ছে যোগাযোগ। যেমনঃ আমার প্রশ্নের উত্তর আপনি প্রদান করলে সেটাকে যোগাযোগ বলা যেতে পারে। আর একে অন্যের সাথে ভাব বিনিময়কে যোগাযোগ বলে এটা সাধারণভাবেই প্রতিষ্ঠিত। 

পরিবহনঃ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় কোন জিনিস বিশেষ করে তথ্যপ্রযুক্তিতে তথ্য স্থানান্তর করে নেওয়ার প্রক্রিয়াকে পরিবহন বলে। 

মাধ্যমঃ যে সেকল প্রক্রিয়া বা যেসকল জিনিস দিয়া বা জিনিসের সাহায্যে বা কোন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে  তথ্য স্থানান্তর করার জন্য ব্যবহৃত ঐ জিনিস বা প্রক্রিয়াকে মাধ্যম বলে। যেমন ঃ বস্তু পরিবহনের জন্য ট্রাক ব্যবহার হলে ট্রাক একটি মাধ্যম। ঠিক তেমনি তথ্য বা সংকেত পরিবহনের জন্য ব্যবহার হয় নেটওয়ার্ক । তাই নেটওয়ার্ক একটি মাধ্যম।

নেটওয়ার্কঃ যে সকল প্রক্রিয়ায় কিছু মাধ্যমকে বিভিন্ন সমাবেশে বিন্যাসের মাধ্যমে মাধমে একটি বিস্তির্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে ওঠে এবং যাহার মাধ্যমে ডেটা স্থানান্তর করে কম্যিউনিকেশন তথা যোগাযোগ সম্পর্ন করা যায় তাকে নেটওয়ার্ক বলে। যেমনঃ এক কম্পিউটার বা ডিজিটাল ডিভাইস থেকে অপর কম্পিউটার বা ডিজিটাল ডিভাইসে তথ্য আদান প্রদান করার মাধ্যম । এবং এই নেটওয়ার্ক পূর্ণ হলেই তাকে ইন্টারনেট বলে। আমরা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব এর ক্ষেত্রে যে ইন্টারনেট এর সাথে পরিচিত শুধুমাত্র সেটিই ইন্টারনেট নয়। ইন্টারনেট হচ্ছে একাধিক ডিভাইসের মধ্যে যোগাযোগ করার জন্য পূর্ণ নেটওয়ার্কিং ব্যবস্থা। ১৯৬৯ সালে সুইজারল্যান্ডের এক গবেষণাগারের দুই রুমের কম্পিউটারের মধ্যে নেটওয়ার্কিং করে যে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তাইই আজকের ইন্টারনেট। 


শুধু পার্থক্য হচ্ছে স্বল্প পরিসরে ব্যবহার, লোকাল পরিসরে ব্যবহার আর বিশ্বব্যাপী পরিসরে ব্যবহার। 

তবে বর্তমান সময়ে ইলেক্ট্রেনিক্স যন্ত্র দ্বারা উৎপাদিত বিদ্যুৎ চুম্বকীয় বিকিরণকে নেটওয়ার্ক হিসাবে ভাবতে বেশি পছন্দ করা হচ্ছে। রেডিও, টেলিভিশন,মোবাইল নেটওয়ার্ক এই নেটওয়ার্কের অন্তর্ভুক্ত।

নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাঃ দু প্রকারে নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা করা যেতে পারে, অর্থাৎ যোগাযোগ মাধ্যম বা নেটওয়ার্ক কে দুই ভাবে ভাগ করা যায়। যথাঃ

১। কেবল মাধ্যম নেটওয়ার্ক ও

২। ওয়ার্লেস মাধ্যম নেটওয়ার্ক।

কেবল মাধ্যম নেটওয়ার্ককে আবার কেবলের ধরণ অনুযায়ী বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়। আর তথ্য পরিবহনের উপর ভিক্তি করে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ

১। বিদ্যুৎ পরিবহন মাধ্যম ও

২। আলোক পরিবহন মাধ্যম বা অপটিক্যাল ফাইবার কেবল মাধ্যম।

আবার ওয়ার্লেস মাধ্যমকে বিদ্যুৎ চুম্বকীয় তরঙ্গের ফ্রিকোয়েন্সির ধরন অনুযায়ী বিভিন্ন রকম হতে পারে যথাঃ ব্লুটুথ, ওয়াইফাই, ওয়াইম্যাক্স প্রভুতি। 

যাই হোক মোবাইল যোগাযোগ বা নেটওয়ার্ক ব্যবস্থায় শুধু মাত্র ওয়ার্লেস  বা বিদ্যুৎ চুম্বকীয় তরঙ্গ ব্যবহার হয়। অন্যদিকে কম্পিউটারে ওয়ার্লেস  বা বিদ্যুৎ চুম্বকীয় তরঙ্গ ছাড়াও কেবল মাধম্যমও ব্যবহার হয়। তবে কেবল মাধ্যম ব্যবহার হয় মুলত লোকাল ভাবে এবং হোম নেটওয়ার্ক হিসাবে। 

টপোলজিঃ লোকাল বা হোম নেটওয়ার্ক হিসাবে কেবলকে বিভিন্ন বিন্যাসে অনেকগুলো কম্পিউটারে সংযোগ দেবার পদ্ধতিকে টপোলজি বলে। 

যেমনঃ আপনার বাসায় ১০ টি কম্পিউটারে কেবলের মাধ্যমে যে প্রক্রিয়া সংযোগ দিয়া সবগুলো কম্পিউটারকে একত্রে যুক্ত করার পদ্ধতিই হচ্ছে টপোলজি।

পরিশেষে আমরা এটা বলতে পারি যে, মোবাইল ও কম্পিউটারে যে নেটওয়ার্ক ব্যবহার হয় তা তাদের উদ্দেশ্য একই তা হচ্ছে তথ্য পরিবহন বা যোগাযোগ।


সুবিধার ভিক্তিতে শুধু এক এক ডিভাইস এক এক নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে। মোবাইলেও কেবল ব্যবহার করা যায় যা টেলিফোনের মতই তবে এখনকার সময়ে এটি আমাদের পছন্দনীয় নয় বলে ওয়ার্লেস নেটওয়ার্ককে বেছে নেয়া হয়েছে। অপরদিকে কম্পিউটারে সকল নেটওয়ার্কের সমবায় ব্যবহার হতে পারে ব্যক্তির চাহিদা ও সুবিধা অনুযায়ী। 


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ