সাধারণ অর্থে নিজের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নিজেই করাকে আত্মকর্মসংস্থান বলে। এ কর্মসংস্থানের এক অনন্য উপায়। এর মাধ্যমে মানুষ স্বাধীনভাবে নিজস্ব পেশায় আত্মনিয়োগ করতে পারে। আত্মকর্মসংস্থান এর মাধ্যমে একজন মানুষ নিজের পাশাপাশি অনেক বেকার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে। এর ফলে অধিক চাহিদাকৃত চাকরির উপর চাপ কম পড়ে এবং বেকারত্ব হ্রাস পায়।
আত্মকর্মসংস্থান বলতে আমরা বুঝি অন্যর বা সরকারের উপর নির্ভর না করে নিজের কর্ম সংস্থান নিজে সৃষ্টি করা এবং নিজে কর্ম সংস্থান করার মাধ্যমে অন্যর কর্ম সংস্থানের ও সুযোগ সৃষ্টি করা। এতে দেশের বেকারত্ব কমবে এবং দেশের অর্থনীতি সাবলম্বী হবে যার ফলে দেশের অনেক উন্নতি হবে। সুতরাং আমরা কর্ম সংস্থানের জন্য অন্যর উপর নির্ভর না করাই হচ্ছে আত্ম কর্ম সংস্থান বলে।
যখন কোন একজন ব্যক্তি নিজেই নিজের কর্মসংস্থান এর সৃষ্টি বা ব্যবস্থা করে থাকে তখন আমরা সেটিকে আত্মকর্মসংস্থান বলে থাকি। এটি হতে পারে যে কোন ধরণের উদ্যেগ। আর এই উদ্যেগ যে বা যারা গ্রহণ করে থাকে তাদের আমরা উদ্যোক্তা হিসেবে চিনি। আমার মতে, আত্মকর্মসংস্থান ও উদ্যোক্তা এই শব্দ দুইটি একই সুতোয় গাঁথা। আত্মকর্মসংস্থান মাধ্যমে একজন ব্যক্তি নিজের জন্য যেমন কর্মসংস্থান করে, তেমনি অনেক নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ ও সৃষ্টি করতে পারে। আত্মকর্মসংস্থান এর আরেকটি ভালো দিক হলো এটি একটি স্বাধীন পেশা এবং এর মূলধন হলো নিজের দক্ষতা। তাই বর্তমান যুগে আত্মকর্মসংস্থান এর প্রথম ও প্রধান ধাপ হলো কোন একটি বিষয়ে দক্ষতা বৃদ্ধি করা এবং ধীরে ধীরে নিজের কর্মসংস্থান নিজে করা।