সুদী কারবার করে এমন একটি এনজিও তে কোন বিনিয়োগ গ্রহীতার অনুরোধে সেই লোনের ২য় জামিনদার হই।এক্ষেত্রে এখন নিজে অনুশোচনা হচ্ছে।শরীয়তের আলোকে এক্ষেত্রে করণীয় কি?


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

হারাম ও অবৈধ পন্থায় সম্পদ বৃদ্ধির জঘন্যতম পন্থা হল সুদ। উহা শোষণের ধ্বংসাত্মক হাতিয়ার।

আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল করেছেন এবং সুদকে হারাম করেছেন (সূরা আল বাকারাঃ ২৭৫)।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুদের সাথে সম্পৃক্ত চার প্রকারের লোককে সমভাবে দোষী সাব্যস্ত করেন।

জাবির ও আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লানত (অভিসম্পাত) করেন সুদের সাথে সংশ্লিষ্ট চার ব্যক্তিকে। তারা হচ্ছে: সুদখোর, সুদদাতা, সুদের লেখক ও সুদের সাক্ষীদ্বয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেছেন: তারা সবাই সমপর্যায়ের দোষী।

(মুসলিম ১৫৯৮; তিরমিযী ১২০৬; আবূ দাউদ ৩৩৩৩)।

সুদ খাওয়া, খাওয়ানো, লেখা ও সে ব্যাপারে সাক্ষী দেয়া যেমন হারাম অথবা কবীরা।

আল্লাহ তায়ালা বলেন, তোমরা নেক কাজ ও আল্লাহ ভীরুতায় পরস্পরকে সহযোগিতা করো। তবে পাপাচার ও অত্যাচার করতে কাউকে সহযোগিতা করো না। আল্লাহ্কে ভয় করো। নিশ্চয়ই তিনি কঠিন শাস্তিদাতা। (মায়িদাহঃ ২)

এখন আপনার করনীয় হচ্ছে তওবা করা।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ