উপুড় হয়ে শোয়ার ক্ষেত্রে ইসলামে নিষেধাজ্ঞা এসেছে। এ মর্মে একাধিক হাদিস বর্ণিত হয়েছে।
আবু যার জুনদুব ইবনে জুদানাহ আল গিফারী রা. থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে উপুড় হইয়ে শুয়ে থাকতে দেখে বলেছিলেন:
إِنَّمَا هَذِهِ ضِجْعَةُ أَهْلِ النَّار"এটি জাহান্নামীদের শয়ন পদ্ধতি।” (ইবনে মাজাহ হাদিস নং 3724) (এ হাদিসটিকে ইমাম বুখারী, দারেকুতনী, ইবনে আবী হাতিম প্রমুখ মুহাদ্দিস জঈফ বলেছেন। আর আহমদ, আলবানী ও আহমদ শাকের সহীহ বলেছেন)
এই হাদিসগুলো থেকেই বুঝা যায় যে, পেটের ভরে উপুড় হয়ে শোয়া উচিত নয়।
আসলে শোয়ার সবচেয়ে উত্তম পদ্ধতি হল, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যে পদ্ধতি অবলম্বন করতেন সেটা। আর তা হল, ডান হাতকে ডান গালের নিচে রেখে ডান দিকে কাত হয়ে শয়ন করা।
বর্তমান যুগের বিজ্ঞানীরা ও এ ধরণের শোয়াকে স্বাস্থ্যসম্মত হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন। অনুরূপভাবে কখনও কখনও চিৎ হয়ে শোয়াও জায়েজ রয়েছে। কারণ এই মর্মেও হাদিস বর্ণিত হয়েছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কখনো কখনো এক পায়ের উপর আরেক পা রেখে চিৎ হয়ে শয়ন করেছেন। তিনি বিশ্রাম করার জন্য তিনি কখনো এভাবে চিৎ হয়ে শুয়েছেন।
তবে এক পাকে আরেক পায়ের উপর রেখে সতরকে পরিপূর্ণ হিফাজতে রেখে শুতে হবে। চিৎ হয়ে শুতে গিয়ে সতর বা লজ্জা স্থান খুলে যাওয়ার আশংকা থাকলে তা অবশ্যই পরিত্যাজ্য। মোটকথা, লজ্জা স্থান যেন প্রকাশিত না হয়ে যায় সেদিকে খেয়াল রেখে কখনও কখনও চিৎ হয়ে শয়ন করা জায়েজ রয়েছে।
ইমাম ইবনে কাইয়েম রহ.বলেছেন, “বাম দিকে অথবা পেটের উপর ভর করে শয়ন করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক।
এ ক্ষেত্র নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য একই বিধান।প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর অনুসরণেই আমাদের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতে অবারিত কল্যাণ নিহিত রয়েছে। তাঁর আদর্শের বাইরে রয়েছে কেবল ক্ষতি ও দুর্দশা। আল্লাহ আমাদেরকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর অনুসরণে জীবন পরিচালনা করার তাওফিক দান করুক(আমিন)। ধন্যবাদ।