আমার সপ্নদোষ হয়েছে এখন ফর‍য গোসল করতে হবে কিন্তু আমার পায়ের নখের গোড়ায় পুজ বের হওয়ার কারনে ডাক্তার বলেছে যে পানি লাগাতে পারব না। আবার ফরয গোসলের ক্ষেত্রে সমস্ত শরির ভেজানো লাগে। আমি পায়ে পলিথিন বেধে গোসল করব এতে কি আমার ফরয গোসল আদায় হবে কি?


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

পানি ব্যবহার করতে অপারগ হলে অথবা, পানি ব্যবহার করার ফলে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকলে উক্ত যায়গায় পায়ে পলিথিন বেধে গোসল করলে ফরয গোসল আদায় হবে।

পট্টি বা ব্যান্ডেজ হচ্ছে এমন বস্ত যা ভাঙ্গা-মচকা জোড়া লাগানোর জন্য ব্যবহার করা হয়।

ফিক্বাহবিদদের ভাষায়ঃ “বিশেষ প্রয়োজনে পবিত্রতা অর্জনের অঙ্গে কোন কিছু লাগিয়ে রাখা।” ভেঙ্গে যাওয়া স্থানে বা ফোঁড়ার স্থানে বা পিঠের ব্যাথায় বা অন্য কোন কারণে যে পট্টি বা ব্যান্ডেজ লাগানো হয় এখানে সেটাই উদ্দেশ্য। ধৌত করার পরিবর্তে সেখানে মাসেহ করলেই যথেষ্ট হবে।

যেমন কোন লোকের হাতে ফোঁড়ার কারণে যদি পট্টি বাধা থাকে, তখন ওযু করার সময় অন্যান্য স্থান ধৌত করে পট্টির উপর শুধু মাসেহ করবে। তাহলেই তার পবিত্রতা পূর্ণ হয়ে যাবে। যদি তার ওযু ভঙ্গ না হয়ে থাকে, তবে পট্টি বা ব্যান্ডেজ খুলে ফেলার কারণে তার পবিত্রতা নষ্ট হবে না।

আতা (রহঃ) থেকে জাবের (রাঃ) এর সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, কোন এক সফরে যাওয়ার সময় আমাদের এক ব্যক্তির মাথা প্রস্তরাঘাতে জখম হয় এ অবস্হায় তার স্বপ্নদোষ হয় সে তার সাথীদের জিজ্ঞাসা করে, এ অবস্হায় আমি কি তায়াম্মুম করতে পারি? তারা বলেন, যেহেতু তুমি পানি ব্যবহারে সক্ষম তাই তোমাকে তায়াম্মুমের অনুমতি দেয়া যায় না। অতঃপর সে ব্যক্তি গোসল করার ফলে মৃত্যুমুখে পতিত হয়।এই সফর হতে প্রত্যাবর্তনের পর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এই সংবাদ দেয়া হলে তিনি বলেনঃ তার সাথীরা তাকে হত্যা করেছে, আল্লাহ তাদের ধবংস করুন 'তিনি রাগান্বিতভাবে এরূপ উক্তি করেন'। যখন তারা অবগত ছিল না-তখন জিজ্ঞাসা করল না কেন? কেননা অজ্ঞতার ঔষধ হল জিজ্ঞাসা করা। সে ব্যক্তি তায়াম্মুম করলেই যথেষ্ট হত তার আহত স্হানে ব্যান্ডেজ করে তার উপর মাসেহ করলেই চলত এবং শরীরের অন্যান্য স্থান ধুয়ে ফেললেইতো হত।

(সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ), অধ্যায়ঃ ১/ পবিত্রতা, হাদিস নম্বরঃ ৩৩৬ হাদিসের মানঃ হাসান)।

ওযু গোসলের কোন অঙ্গে যদি যখম বা ফোঁড়া বা এরকম কিছু থাকে, তবে তা কয়েকটি স্তরে বিভক্তঃ

প্রথম স্তরঃ যখম বা ফোঁড়ার স্থানটি উম্মুক্ত। ধৌত করলে কোন অসুবিধা হবে না। সুতরাং উহা ধৌত করা ওয়াজিব।

দ্বিতীয় স্তরঃ স্থানটি উম্মুক্ত কিন্তু ধৌত করলে ক্ষতির সম্ভাবনা আছে। তখন সেখানে মাসেহ করা ওয়াজিব।

তৃতীয় স্তরঃ স্থানটি উম্মুক্ত কিন্তু ধৌত বা মাসেহ করলে ক্ষতির সম্ভাবনা আছে। তখন সেখানে তায়াম্মুম করা ওয়াজিব।

চতুর্থ স্তরঃ স্থানটি পট্টি বা ব্যান্ডেজ জাতীয় বস্ত দ্বারা ঢাকা আছে। তখন সেই বস্তর উপর মাসেহ করবে। ধৌত বা তায়ম্মুম করার দরকার হবে না।


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ