মানুষ তার অস্তিত্ব রক্ষার জন্য ,সমাজজীবনে কোনো উদ্দেশ্য সাধনের লক্ষ্য যা কিছু চিন্তা কর্ম করে তা-ই সংস্কৃতি। যেমন বেঁচে থাকার জন্য মানুষ খাদ্য গ্রহণ করে। সেই খাদ্যকে যখন বিভিন্ন প্রণালীতে রান্না করা হয় তখন সেটা মানুষের সংস্কৃতি। মানুষ যখন লিখতে শিখল তখন প্রথমে পাথরে খোদাই করে কিংবা গাছের ডালে। যখন কালি তৈরি হলো তখন মানুষ পাখির পালক ডুবিয়ে লিখত। ধীরে ধীরে মানুষ কলম আবিষ্কার করে। এরপর টাইপ রাইটার আবিষ্কার করে তার মাধ্যমে লেখা শুরু হয়। সর্বশেষ মানুষ কম্পিউটার আবিষ্কার করল। এই লেখার বিভিন্ন মাধ্যম মানুষ তৈরি করল তা সমষ্টিগত সংস্কৃতিরর অন্তর্গত। সংস্কৃতি দুই ধরনের বস্তুগত সংস্কৃতি এবং অবস্তুগত সংস্কৃতি যেমন বাড়ি যদি বস্তুগত হয় তাহলে বাড়ি তৈরির পরিকল্পনা অবস্তুগত। বস্তুগত সংস্কৃতি হলো যা দেখা যায় এবং ছোয়া যায়। যেমন আসবাবপত্র, পোশাক, খাবার, যানবাহন ইত্যাদি । অবস্তুগত সংস্কৃতি হলো যা অদৃশ্যমান বা দেখা যায় না বা ছোয়া যায় না যেমন নীতিবোধ, ভাষা, মনোভাব এবং দৃষ্টিভঙ্গি ইত্যাদি অবস্তুগত সংস্কৃতি। আমাদের দেশ নিত্যপ্রয়োজন এ বস্তুগত সংস্কৃতি সৃষ্টি করেছে। এসব উপাধান শত শত বছর ধরে টিকা থাকে। যেমন আমরা জাদুঘরে গেলে দেখতে পাই যেগুলো শত শত বছরের পুরনো। এগুলো থেকে আমরা সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারি। সংস্কৃতির বস্তগত উপাদানের মাধ্যমে অবস্তুগত সংস্কৃতি প্রভাবিত হয়। প্রাচীনকাল থেকে মৃৎশিল্প এর চাহিদা বেশি এবং মৃৎশিল্প সংস্কৃতির অন্তর্গত যেমন বস্তুগত অপদিকে এটি তৈরির প্রক্রিয়া অবস্তুগত। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।