ইসলামী শরীয়াতে জোরপূর্বক নফল ইবাদাতে বাধ্য করার কোনো বিধান নেই। কেউ যদি বাস্তবেই নফল ইবাদাতে বাধ্য করে তাহলে তার অন্যায় হবে। আপনি যে সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেছেন বাস্তবেই যদি এমনটি ঘটে থাকে তাহলে তা নিতান্তই গর্হিত কাজ হবে। এবং তাতে পাপ হবে। তবে আমাদের জানা মতে তাবলিগের লোকেরা কাউকে জোরপূর্বক নফল ইবাদাতে বাধ্য করে না। তারা অনুরোধের ছলেই দীনী আলোচনায় বসতে বলে। কোথাও যদি সে অনুরোধটা বাধ্যবাধকতার পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছে তাহলে তা অন্যায় হবে। বিশেষত তাদের এ বাধ্যবাধকতার কারণে যদি কেউ ফরজ বিধানই পরিত্যাগ করে দেয় তাহলে তাদের পাপের ওয়েট তো অনেক বেড়ে যাবে। তবে ব্যক্তি বিশেষ বা দল বিশেষের বাড়াবাড়ি বা অবাঞ্ছিত আচরণের কারণে ফরজ বিধান পরিত্যাগ করা বড় ধরনের একটি বোকামী। এ বোকামীর কারণে তাকে বড় ধরনের খেসারত দিতে হবে।