১।  Chipset

২।  Processor/ Octa-core, 

৩। Sensors

৪।  RAM

উল্লেখ্য যে এগুলো মোবাইলের গুনবাচক বৈশিষ্ট


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

১ চিপসেট (chipset)=

চিপসেট হলো একাধিক চিপের সমষ্টি যা সাধারণত মাদারবোর্ডে ব্যাবহার করা হয়। চিপসেট সমূহ এক্সপেনশন কার্ড (যেমনঃ গ্রাফিক্স কার্ড) –এও ব্যাহৃত হতে পারে। এই চিপসেটগুলো মূলত প্রসেসরের সাথে বিভিন্ন এক্সটারনাল ডিভাইস বা কম্পোনেন্ট (component) এর সাথে যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। Intel Chipset মূলত একই কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট চিপসমূহ বা Integrated Circuits নিয়ে চিপসেট গঠিত হয়। যেমন ধরা যাক আপনার কম্পিউটারে মডেমের কাজ করার জন্য এক ধরনের চিপসেট থাকতে পারে। আবার সিপিউ এর সকল কাজ সম্পন্ন করার জন্য আরেক ধরনের চিপসেট থাকতে পারে। তবে বর্তমানে একাধিক কাজ করতে পারে এমনও চিপসেট তৈরী করা হচ্ছে। পার্সোনাল কম্পিউটারের জন্য সর্বপ্রথম চিপসেটটির নাম ছিলো NEAT chipset. এটি IBM PC AT এর Intel 80268 সিপিউর জন্য Chips andTechnologies তৈরী করেছিলো। এটি মোবাইলে অতিরিক্ত মেমরি সংযোগে সহায়তা করে।


২ প্রসেসর (Processor) =
যেসব কাজগুলো প্রসেসর করতে পারে, তাকে বলা হয় ইন্সট্রাকশন (Instraction) সেট। একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন কেনার আগে প্রথমেই দেখতে হবে ইন্সট্রাকশন সেট কোনটি। পুরাতন ফোনের প্রসেসরের থাকে ARMV6 বা ARM11 ইন্সট্রাকশন সেট, যেটা এখনকার যুগের নতুন কোন বড়সড় অ্যাপলিকেশন বা গেম চালাতে পারে না। এখন আর ARMv6 ফোন না কেনাই ভাল। ইন্সট্রাকশনের তথ্য আপনি ফোনের স্পেসিফিকেশন দেখলেই পেয়ে যাবেন। যদি ARMv7 বা এর পরের হয়, প্রসেসরটি উন্নতমানের। এরপর হচ্ছে প্রসেসরের গঠন বা আর্কিটেকচার। কাজ শুধু জানলেই হবেনা, বলিষ্ঠ শক্তিশালী হতে হবে।।

Processor Architecture

ARMv7-এর মধ্যে Architecture (আর্কিটেকচার) মুলত পাঁচ ধরনের।
এগুলো হচ্ছেঃ--> Cortex A5, A7, A8, A9 ও A15..
প্রত্যেকটি কোম্পানিই এই পাঁচ ধরনের Architecture (আর্কিটেকচার) মেনেই Processor তৈরি করা হয়ে থাকে। Cortex A5 মূলত অনেক পুরাতন ও বেশ দুর্বল। অন্যদিকে Cortex A15 সবচেয়ে শক্তিশালী। সম্প্রতি সময়ে বাজারে আসা Android Smart Phone কেনার সময় সম্ভব হলে Cortex A9 দেখে নেয়া উচিত। আর তা না হলে Cortex A7.. তবে Cortex A5 এর স্মার্টফোন না নেয়াই ভাল। কিন্তু যারা ফোনে HD Games খেলে না বা
HD Video দেখে না, তাদের জন্য আবার Cortex A5 দেখে নেওয়াই ভালো। কারন Cortex A5 আর্কিটেকচারের প্রসেসরগুলো খুবই কম Battery Use করে, যার ফলে ফোনে দীর্ঘ ব্যাটারি ব্যাকআপ পাওয়া যায়।

**প্রসেসরের আরেকটি ব্যাপারটি হলো NEON সাপোর্ট।
NEON কঠিন কিছু না। NEON Supported হলে আপনার ফোনের প্রসেসর উচ্চ মানের ভিডিও সরাসরি প্লে করতে বা চালাতে পারবে।

>> Clock Speed বা প্রসেসরের কাজের গতি:-->
Clock Speed যত বেশি হবে, ততো ভাল।

>> প্রসেসরের আরেকটি বিষয়, Processor মাল্টিকোর (MultiCore) কিনা? Dual Core মানে দুইটি প্রসেসর, Quad Core মানে ৪টি। প্রসেসর। ঠিক এমনি ভাবে Hexa Core মানে ৬টি প্রসেসর এবং Octa Core মানে ৮টি প্রসেসর। প্রসেসরের Coreই সবকিছু না। প্রসেসর কোন Architecture এর সেটা বড় ব্যাপার। যেমন Dual Core Cortex A9 এর স্কোর যদি হয় 40, Quad Core Cortex A7 এর স্কোর হবে 50.. তবে HD Games খেলার জন্য Quad Core বা তারচেয় বেশি Core দেখে কেনা উচিত। তাই প্রথমে দেখা উচিৎ প্রসেসর ইন্সট্রাকশন সেট ও আর্কিটেকচার।।

৩ Sensors=
এক এক সেন্সর এক এক কাজ করে থাকে । কোন সেন্সর এর কি কাজ তা এখানে ।

৪ Ram (Random Access Memory) =
আমাদের মেমোরি কার্ড বা ফোন মেমোরি প্রসেসর যে হারে কাজ করে, সেই হারে ডাটা পরে দিতে পারেনা। তাই
ডাটা আগে Ramএ নেয়া হয়, যা অনেক দ্রুত কাজ করে।
Ram যতো বেশি, ততো বেশি ডাটা দ্রুত প্রসেসরে যেতে পারে। ফলে ফোন অনেক দ্রুত কাজ করে ফেলতে পারে। Ramএরও Speed এবং আর্কিটেকচার (Architecture)
আছে। Ram মুলত তিন ধরনের হয়।
যথাঃ--> DDR-1, DDR-2 ও DDR-3..
DDR-1 Ramএর চেয়ে DDR-2 ভালো ও স্পীড বেশী,
ঠিক একইভাবে DDR-2 এর চেয়ে DDR-3 ভালো এবং স্পীড বেশি। Ram যত বেশী হবে ফোন ততো দ্রুত কাজ করবে।।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ