আমি একজন মুসলমান ছেলে।আমি জানি প্রেম করা ইসলাম সম্মত নাহ।কিন্তু প্রেমটা ও তো বলে আসে নাহ।আচ্চা মূল কথায় আসি।আমার ইদানিং অনৈতিক কর্ম করার ইচ্ছা বেশি জাগে।আমার বয়স ১৭। এই অনৈতিক কাজ থেকে বাচার জন্য এবং গুনাহ থেকে বাচার জন্য একজন সঙ্গিনি প্রয়োজন।বাসায় আব্বু আর আম্মু রাজি হবে না আমার সঙ্গিনীরর জন্য। আর যাকে ভালবাসি তার ফ্যামিলিতে ও রাজি হবে না।এখন কথা হলো আমি গুনাহ থেকে বাচতে চাই।এখন আমার কি করা ভালো হবে।১.তাকে যেকোনো উপায়ে বিয়ে করা? নাকি অন্য কিছু??বিয়ে করা হলে ইসলাম সম্মত ভাবে কিভাবে করব?আর অন্য কোনো সমাধান থাকলে দিবেন প্লিজ।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

যদি দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক সমঝদার সাক্ষ্যির সামনে প্রাপ্ত বয়স্ক পাত্র ও পাত্রি যদি প্রস্তাব দেয় এবং অপরপক্ষ তা গ্রহণ করে নেয়, তাহলে ইসলামী শরীয়া মুতাবিক বিবাহ শুদ্ধ হয়ে যায়। অভিভাবকের সম্মতি থাকুক বা না থাকুক। অভিভাবক জানুক বা না জানুক। তবে যদি গায়রে কুফুতে বিবাহ করে, তথা এমন পাত্রকে বিবাহ করে, যার কারণে মেয়ের পারিবারিক সম্মান বিনষ্ট হয়, তাহলে পিতা সে বিয়ে আদালতের মাধ্যমে ভেঙ্গে দিতে পারে। যদি কুফুতে বিবাহ করে, তাহলে পিতা এ অধিকারও পাবে না। সুতরাং পাত্র-পাত্রী উভয়ে যদি প্রাপ্ত বয়স্ক অবস্থায় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক সাক্ষ্যির উপস্থিতিতে বিয়ের প্রস্তাব ও প্রস্তাব গ্রহণ সম্পন্ন করে থাকে, তাহলে তাদের বিয়ে ইসলামী শরীয়া মুতাবিক শুদ্ধ হয়ে গেছে। যদিও তাদের পরিবার কিছুই জানে না। কিংবা যদি তারা অনুমতি নাও দিয়ে থাকে। যেমনঃ- হাদিসের দলীল ... --------------------------------------------------------- হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, মেয়ে তার ব্যক্তিগত বিষয়ে অভিভাবকের চেয়ে অধিক হকদার। {মুয়াত্তা মালিক ৮৮৮, সহীহ মুসলিম ১৪২১) --------------------------------------------------------- হযরত সালামা বিনতে আব্দুর রহমান রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা এক মেয়ে রাসূল সাঃ এর কাছে এল। এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমার পিতা! কতইনা উত্তম পিতা! আমার চাচাত ভাই আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিল আর তিনি তাকে ফিরিয়ে দিলেন। আর এমন এক ছেলের সাথে বিয়ে দিতে চাইছেন যাকে আমি অপছন্দ করি। এ ব্যাপারে রাসূল সাঃ তার পিতাকে জিজ্ঞাসা করলে পিতা বলে, মেয়েটি সত্যই বলেছে। আমি তাকে এমন পাত্রের সাথে বিয়ে দিচ্ছি যার পরিবার ভাল নয়। তখন রাসূল সাঃ মেয়েটিকে বললেন, “এ বিয়ে হবে না, তুমি যাও, যাকে ইচ্ছে বিয়ে করে নাও”। {সুনানে সাঈদ বিন মানসূর ৫৬৮, মুসন্নাফে আব্দুর রাজ্জাক ১০৩০৪) ------------------------------------------------------- হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। কুমারী মেয়ে রাসূল সাঃ এর কাছে এসে বলল, আমার পিতা আমার অপছন্দ সত্বেও বিয়ে দিয়েছে, তখন রাসূল সাঃ সে মেয়েকে অধিকার দিলেন, [যাকে ইচ্ছে বিয়ে করতে পারে বা এ বিয়ে রাখতেও পারে]। {মুসনাদে আহমাদ ২৪৬৯, সুনানে ইবনে মাজাহ ১৮৭৫, সুনানে আবু দাউদ ২০৯৬)  

ইসলামে বিয়ের কোন নির্ধারিত বয়স নেই তবে দেশের আইন বা সংবিধান পালন আমাদের জন্য ফরজ তাই ২১ বছর এর নিচে বিয়া করা অনুচিত। আর মনে কামভাব কমানোর একমাত্র পন্থা হল ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়া। তাহলে দেখবেন কামভাব আর থাকবেনা।



ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ