এক বছর
বয়সের আগে গরুর দুধ দিলে পেটের পীড়া,
অ্যালার্জি, ডায়রিয়া হতে পারে ।
গরুর দুধে বেশি আমিষ আছে যা মানব শিশুর
(বড়দের জন্য নয়) কিডনির জন্য ক্ষতিকর।
গরুর দুধের প্রোটিন বেশিরভাগই কেসিন জাতীয়
যা শিশুর হজমে সমস্যা সৃষ্টি করে। এতে ডায়রিয়া ছাড়াও
পেটব্যথা, চুলকানি ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে।তাই আপনি এখন না খাওয়ান,
এক বছর পর খাওয়ালে অনেক ভাল হবে।
ছয় মাস হলেও ডাক্তারগন বেশি একটা গরুর
দুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দেয়না। মুলত ছয় মাসের পর থেকে শিশুর প্রথম খাবার অবশ্যই শর্করা দিয়ে শুরু করা উচিত। যেমন নরম ভাত, আলু সেদ্ধ, হজমে সমস্যা না হলে ধীরে ধীরে ফল সেদ্ধ করে দেওয়াটা ভালো। যেমন: আপেল, গাজর, আঙুর, পাকা কলা, পাকা পেঁপে, সেদ্ধ মিষ্টি কুমড়া, সুজি ইত্যাদি।
শিশুর খাবার ও স্বাস্থ্য সম্পর্কে বারডেম হাসপাতালের শিশুরোগ বিভাগের প্রধান তাহমিনা বেগম বলেন, ‘শিশুকে প্রতিদিন নতুন রান্না করা খাবার খাওয়াতে হবে। ফ্রিজে রাখা বা বাসি খাবার খাওয়ানো যাবে না। শিশুর খাবার খাওয়ানোর বাটি, চামচ ও যিনি খাওয়াবেন তাঁর হাত অবশ্যই পরিষ্কার থাকতে হবে।’ শিশুকে ছয়-নয় মাস পর্যন্ত অন্য খাবার দিনে তিনবার খাওয়াতে হবে। শিশুকে নতুন খাবার দেওয়ার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখুন, শরীরের কোথাও র্যাশ, বমি বা ঢেকুরের পরিমাণ বেশি হচ্ছে কি না। বাচ্চার কান্নার পরিমাণ হঠাৎ বেড়ে গেছে বা পেট ফুলেছে, প্রস্রাব-পায়খানায় পরিবর্তন অনুভব করলে সেই খাবার বন্ধ করতে হবে। অবস্থা বেগতিক মনে হলে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।