হার্নিয়াঃ আমাদের পেটের ভিতরে খাদ্যনালী থাকে যা মুখ থেকে পায়ু পর্যন্ত বিস্তৃত৷ সাধারণত খাদ্যনালী ২০ থেকে ৩০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে৷ হার্নিয়ার ক্ষেত্রে পেটের কিছু দুর্বল অংশ দিয়ে ক্ষুদ্রান্ত্রের অংশ বিশেষ অণ্ডথলিতে চলে আসে৷ তখন কুচকি এবং অণ্ডথলি অস্বাভাবিক ফুলে যায় এবং ব্যথা হয়৷
যদি আপনার কোনো কুঁচকিতে ব্যথা হয় কিংবা ফোলা দেখতে পান তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন। এই ফোলা বেশি দেখা যাবে যখন আপনি দাঁড়াবেন। সাধারণত আক্রান্ত অনুভব করতে পারেন। আপনি শুয়ে পড়লে হার্নিয়া আপনা আপনি মিলিয়ে যাবে অথবা আপনি হাত দিয়ে হালকা চেয়ে পেটে ঢুকিয়ে দিতে পারবেন। যদি তা না হয় তাহলে জায়গাটিতে বরফের সেঁক দিলে ফোলা কমে গিয়ে হার্নিয়া চলে যায়। শোয়ার সময় মাথার তুলনায় কোমর উঁচু করে শুতে হবে। যদি আপনি হার্নিয়া ঢোকাতে না পারেন তাহলে বুঝতে হবে অন্ত্রের অংশ পেটের দেয়ালে আটকে গেছে। এটি একটি মারাত্মক অবস্থা এ ক্ষেত্রে জরুরিভাবে অপারেশনে প্রয়োজন হয়। এ পর্যায়ে বমি বমি ভাব অথবা জ্বর হতে পারে এবং হার্নিয়া লাল, বেগুনি অথবা কালো হয়ে যেতে পারে। যদি এ ধরনের কোনো চিহ্ন বা উপসর্গ দেখা দেয় তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
হাইড্রোসিল অণ্ডকোষের চামড়া বেশ মোটা, এর মধ্যে দুটি পর্দা আছে - একটির নাম টিউনিকা ভেজাইলেনিস এবং অপরটি হলো টিউনিকা এলবুজিনিয়া। এই পর্দা দুটি হতে স্বাভাবিক অবস্থায় এক প্রকার জলীয় পদার্থ নিঃসৃত হয় এবং ইহার ফলে পর্দা দুটি মসৃন ও সিক্ত থাকে এবং পর্দা দুটি একত্রে জুড়ে যায় না। কোন কারণ বশত যখন উক্ত জলীয় পদার্থ স্বাভাবিক অপেক্ষা অধিক পরিমানে নিঃসৃত হয় আর তা শোষিত না হয়ে পর্দা দুটির মধ্যে জমে থাকে এবং ক্রমশই পরিমানে বৃদ্ধি পেতে থাকে, তখন অণ্ডকোষটি আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে মনে হয়। এই অবস্থাকেই বলা হয় কোষবৃদ্ধি বা হাইড্রোসিল।
[হাইড্রোসিল অন্ডকোষের চারপাশে ঘিরে থাকা একটি পানিপূর্ণ থলি, যার কারণে অন্ডথলি ফুলে যায়। এই পানিটা প্রকৃতপক্ষে জমে থাকে অন্ডকোষের দুই আবরণের মাঝখানে।]
এ ধরনের সমস্যায় সব সময় ডাক্তারের
পরামর্শ নিতে হয় দ্রুত।