শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

ওহি নাজিলের পদ্ধতি মহানবী (সা.)-এর ওপর আল্লাহর পক্ষ থেকে যত আহকাম আসত তা দুই প্রকার। প্রথম প্রকারের ওহিতে আল্লাহপাকের নিজস্ব শব্দ থাকত এবং দ্বিতীয় প্রকার হলো, যেসব ওহিতে আল্লাহপাকের নিজস্ব শব্দ থাকত না বটে কিন্তু বিষয়বস্তু আল্লাহপাকের হতো এবং জিবরাইল আলাইহিস সালাম নিজস্ব শব্দের দ্বারা তা ব্যক্ত করতেন। প্রথম প্রকারকে ‘কোরআন’ বলা হয় এবং দ্বিতীয় প্রকার হলো ‘সুন্নাতে রসুল’। অবশ্যই দুই প্রকার ওহিই আল্লাহর তরফ থেকে নাজিল হয়েছে এবং মহানবী (সা.)-এর পবিত্র কণ্ঠ থেকে নিঃসৃত হয়েছে। মহানবী (সা.)-এর ওপর যেসব ওহি আসত তা ছয় প্রকার। (১) প্রথমে ঘণ্টার শব্দ আসতে থাকত; এমন সময় মহানবী (সা.)-এর পবিত্র দেহের বর্ণ পরিবর্তিত হয়ে পড়ত, তীব্র শীতের দিনেও তিনি ঘর্মাক্ত হয়ে পড়তেন। হজরত আয়েশা বলেন, এ অবস্থাটি যখন হতো তখন তাঁর হাত মোবারক যদি আমার ঊরুতে স্থাপন করা থাকত তাহলে মনে হতো, ঊরু ফেটে যাবে; তিনি আরোহী অবস্থায় থাকলে শক্তিশালী উষ্ট্রীও ওহির ভার বহন না করতে পেরে বসে পড়ত। আলেমরা লিখেছেন, এ অবস্থাটি মহানবী (সা.)-এর জন্য বড় কষ্টকর ছিল। সাধারণত যখন আজাব, ধমক এবং ক্রোধপূর্ণ আয়াত নাজিল হতো তখন এ অবস্থাটি ঘটত। (২) হজরত জিবরাইল আলাইহিস সালাম অন্তরে কথা রেখে দিতেন। (৩) জিবরাইল আলাইহিস সালাম মানুষের বেশে তাশরিফ আনতেন এবং আল্লাহর হুকুম বলে যেতেন। এটি ছিল সহজ পদ্ধতি। অধিকাংশ সময় হজরত দাহিয়া কালবী (রা.)-এর আকৃতিতে জিবরাইল আলাইহিস সালাম তাশরিফ আনতেন। (৪) জিবরাইল আলাইহিস সালাম মহানবী (সা.)-এর ঘুমন্ত অবস্থায় আসতেন এবং আল্লাহপাকের পয়গাম পৌঁছে দিয়ে যেতেন। যেমন সুরা কাওসার। (৫) আল্লাহপাক রাব্বুল ইজ্জত সরাসরি কথা বলতেন। যেমন শবে মেরাজে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করা হয়েছে। মুশরিক অবস্থায় মৃত্যুমুখে পতিত ব্যক্তির যে শোচনীয় পরিণাম হবে তার ঘোষণাও করা হয়েছে এভাবে। (৬) ঘুমন্ত অবস্থায় আল্লাহপাক ওহি নাজিল করেছেন। এমন ওহির উদাহরণ হাদিস শরিফে রয়েছে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ