Call

গ্রীন টির রয়েছে ৩০ টি গুন- 1. গ্রীন টি ক্যান্সারের চিকিতসা ও প্রতিরোধে ব্যবহৃত হয়। গ্রীন টিতে থাকা এন্টি অক্সিডেন্ট ভিটামিন সি এর চাইতে ১০০ গুন ও ভিটামিন ই এর চাইতে ২৪ গুন ভালো। এটি বিশেষ ভাবে ত্বকের ও খাদ্যনালীর ক্যান্সারের চিকিতসা ও প্রতিরোধে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও এটি ত্বকে বলিরেখা পরাকে রোধ করে। 2. গ্রীন টিতে থাকা এন্টি অক্সিডেন্ট শরীরে নিয়মিত তৈরী হওয়া ফ্রি র্যা।ডিকেল গুলো সরিয়ে নেয়। এই ফ্রি র্যা ডিকেল গুলো ডিনএনএ ড্যামেজ করে বার্ধক্য আনয়ন করে ও ত্বকে বলিরেখা ফেলে দেয়। সুতরাং নিয়মিত গ্রীন টি গ্রহণে বার্ধক্যের লক্ষন দেরীতে আসে ও ত্বক অনেকদিন সুন্দর থাকে। 3. গ্রীন টি স্মৃতি শক্তির উন্নতি ঘটায়। যদিও স্মৃতি বিনষ্টকারী রোগ আলঝেইমার্স এর কোন চিকিতসা নেই, কিন্তু এটি আলঝেইমার্স এর জন্য দায়ী এসিটাইলকোলিন এর মাত্রে নিয়ন্ত্রন করে অবস্থার কিছুটা উন্নয়ন ঘটাতে পারে। 4. গ্রীন টির এন্টি অক্সিডেন্ট ব্রেন এর কোষ ড্যামেজ এর ফলে সৃষ্ট পারকিনসন ডিজিজ প্রতিরোধ করতে পারে। নিয়মিত গ্রহণে ইতঃমধ্যে পারকিনসন হয়ে যাওয়া রোগীর অবস্থারও উন্নতি ঘটায়। 5. গ্রীন টি শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) এর মাত্রা কমায়। ফলে ভালো কোলেস্টেরল (HDL) এর অনুপাত বৃদ্ধি পায়। 6. এটি কোলেস্টেরল কমিয়ে হার্টের অসুখ ও হার্ট এটাক প্রতিরোধ করে। এমনকি হার্ট এটাকের পরের কোষগুলোর দ্রুত মরে যাওয়া প্রতিরোধ ও দ্রুত নিরাময় নিশ্চিত করে। 7. এনজিওটেনসিন নামক যে উপাদানটি হাই প্রেশারের জন্য দায়ী, গ্রীন টি তা নিয়ন্ত্রন করে প্রেশার নিয়ন্ত্রনে রাখে। 8. গ্রীন টি মেটাবলিসম বাড়িয়ে ফ্যাট বার্নে সহায়তা করা। অর্থাৎ ওজন কমায়। একদিনে গ্রীন টি ৭০ ক্যালরি বার্নে সহায়তা করে যা প্রায় ২০ মিনিট হাটার সমান ক্যালরি। 9. গ্রীন টি ফ্যাট সেল গুলোতে গ্লুকোস ঢোকা বন্ধ করে দেয়। সুতরাং কারো যদি খাদ্যাভাস ও লাইফস্টাইল হেলদি হয় ও নিয়মিত গ্রীন টি গ্রহণ করে, তবে মেদ বৃদ্ধি হবেনা। 10. গ্রীন টি মেটাবলিসম বাড়িয়ে রক্তে আকস্মিক গ্লুকোস বেড়ে যাওয়া নিয়ন্ত্রন করে। এর ফলে ডায়বেটিস রোগীদের অবস্থার উন্নতি ঘটে। 11. গ্রীন টির একটি এমাইনো এসিড স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট এ ভূমিকা রাখে। 12. এটি লিভার ফেইলিওর এর রোগীর লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন এর পরের জটিলতা রোধ করে। তাছাড়া ফ্রি র্যা ডিকেল ধ্বংস করে ফ্যাটি লিভার এর রোগীর লিভারের উন্নতি ঘটায়। 13. গ্রীন টি তে থাকে ক্যাটেচিন ফুড পয়জনিং এর জন্য দায়ী ব্যকটেরিয়া ধ্বংস করে এবং এই ব্যাকটেরিয়া হতে জাত টক্সিন কে নষ্ট করে দেয়। 14. গ্রীন টি দাতের প্লাক সৃষ্টিকারী ব্যক্টেরিয়া কে মেরে দাতের ক্ষয়রোধ করে। এছাড়াও এটি মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ে গুলোকেও মেরে ফেলে। 15. গ্রীন টি তে থাকে ফ্লুওরাইড যা হাড়কে শক্ত করে। নিয়মিত গ্রহণে এটি হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে। 16. গ্রীন টি rheumatoid arthritis এর চিকিতসায় ব্যবহৃত হয়। এটি জয়েন্ট এর cartilage ক্ষয়কারী এনজাইম কে রোধ করে জয়েন্টের ব্যথা প্রতিরোধ করে। 17. গ্রীন টি multiple sclerosis এর চিকিতসায় ব্যবহৃত হয়। 18. গ্রীন টির পলিফেনল ও ফ্ল্যাভোনয়েড রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং সাধারণ ভাইরাল ও ব্যকটেরিয়াল ডিজিজ গুলো প্রতিরোধ করে। 19. গ্রীন টির ভিটামিন সি সর্দি কাশি প্রতিরোধ করে। 20. গ্রীন টির epigallocatechin-3-gallate (EGCG) এলার্জি নিরাময়ে সহায়তা করে। 21. গ্রীন টির থিওফাইলিন শ্বাসতন্ত্রের মাসল কে রিল্যাক্স করে এজমার অবস্থার উন্নতি ঘটায়। 22. প্রাচীন চীনে কানের ইনফেকশন এর চিকিতসায় গ্রীন টি দিয়ে তুলো ভিজিয়ে কান পরিষ্কার করা হতো। 23. হার্পিস এর চিকিতসায় যে ক্রীম (ইন্টারফেরন) ব্যবহৃত হয়, গ্রীন টি তার কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এর জন্য আগে স্থানটি গ্রীন টি দিয়ে ধুয়ে এরপর ক্রীম লাগাতে হবে। 24. জাপানের একটি গবেষনায় দেখা গিয়েছে যে গ্রীন টির epigallocatechin-3-gallate (EGCG), সুস্থ্য কোষের সঙ্গে HIV এর সংযোজন ব্যহত করে। ফলে AIDS এর মাত্রা নিয়ন্ত্রিত হয়। 25. এছাড়াও গ্রীন টি এনার্জি ও স্ট্যামিনা বাড়ায় 26. হজমে সহায়তা করে 27. পানিশূন্যতা রোধ করে 28. নিয়মিত গ্রহণে ব্রন প্রতিরোধ করে 29. রক্ত জমাট বেধে স্ট্রোক হওয়াকে রোধ করে 30. এতে থাকা কিছু ভিটামিন ক্ষতস্থানের অস্বাভাবিক রক্তজমাট বাধা কে প্রতিরোধ করে কিভাবে গ্রিন টি বানানো যায় তার রেসিপি – পদ্ধতি ১ঃGreen teabag tea উপকরনঃ Green teabags/পাতা ( প্রত্যেক কাপ পানির জন্য ১ চা চামচ ) গরম পানি পুদিনা/তুলসি পাতা (৪-৫ টি ) মধু লেবুর রস প্রনালিঃ ১/ আগে ঠিক করে নিন কয় কাপ চা বানাবেন । সাধারণত প্রতি এক কাপ পানির জন্য এক চা চামচ (৫ গ্রাম) সবুজ চা পাতা দেয়া হয় । এতে করে একটি ঘন লিকার আসে । ২/ একটি ছাঁকনিতে যে পরিমান চা বানাবেন তার পরিমান অনুযায়ী green tea leaves নিন । ৩/ একটি পাত্রে পানি নিয়ে চুলায় গরম করুন । খেয়াল রাখবেন পানি যাতে না ফোটে । ৪/ একটি খালি মগ বা কাপের উপর ছাঁকনিটি রাখুন । ৫/চা পাতার উপর দিয়ে মগে গরম পানি ঢালুন । ৬/ ২-৩ মিনিট পর্যন্ত চা পাতা গুলো ভেজান এর বেশি নয়, নতুবা চা তিতা লাগবে । ৭/মগ থেকে ছাঁকনি নামান । ৮/ কিছুক্ষণ আপনার চা ঠাণ্ডা করুন এবং উপভোগ করুন আপনার perfect cup of green tea .

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Yakub Ali

Call

সবুজ চা কি? কিভাবে বানাবেন?

বাজারে বিভিন্ন 

রং এর চা দেখতে পাওয়া যায়, যেমন- লাল, কাল, হলুদ এবং সবুজ। ইংরেজিতে বলে-রেড লেভেল, ব্ল্যাক লেভেল, ইয়েলো লেভেল এবং গ্রিন লেভেলটি। নামে গ্রিন লেভেল হলেও ভাবতে যাবেন না যে, এই চাপাতা বোধহয় প্রকৃত প্রদত্ত সবুজ রং এর হয়ে থাকে। না, আমরা যে দৈনন্দিন চা পান করে আসছি এই সবুজ চাও সেই একই পাতা থেকে তৈরি হয়ে থাকে। সাধারণতঃ চাপাতা বাগান থেকে সংগ্রহ করে কারখানায় নিয়ে এসে পাতা গুলোকে মেশিনে ফেলে ছাতু করা হয়, পরে সূর্যে তাপে বা ড্রাইয়ার মেশিনে ফেলে তা শুকানো হয়, পরবর্তীতে বিভিন্ন মাপের চালুনিতে ফেলে বাজারে বিক্রয়ের জন্য তৈরি কর হয়ে থাকে। এই গ্রিন চা হচ্ছে বাগান থেকে সংগ্রাহ করা পাতাকে প্রথমেই একটি নির্ধারিত মাত্রার গরম পানিতে একটি নির্ধারিত সময়ে ভাপ দিয়ে নিয়ে সেই পানি থেকে পাতা ছেকে নিয়ে শুকিয়ে নিতে হয়। এরপর বিক্রয়ের জন্য উপযোগী করা হয়ে থাকে। আপনারা এবার নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন এই গ্রিন লেভেল টি হচ্ছে আমাদের সাধারণ চা’য়ের মাইল্ড ভার্সন। কাজেই কেউ যদি গ্রিন লেভেল টি হাতের কাছে না পান তিনি রেড লেভেল কিংবা ব্ল্যাক লেভেল চা’য়ের পাতাকে ছাকনিতে রেখে গরম পানি দিয়ে কিছুক্ষণ ড্রেন করে নিয়ে যখন দেখবেন যে চা’য়ের রং কালো বা লাল থেকে হালকা রং ধারণ করেছে তখন সেই পানিটুকু ব্যবহার করলেই গ্রিন লেভেলের মত হয়ে যাবে।

 এখানে, সবুজ চা পান করার কিছু সুবিধা দেয়া হল-

 

১. ক্যান্সার প্রতিরোধ করে:

গবেষকরা এ ব্যাপারে জানতে পেরেছেন, প্রতিদিন সবুজ চা পান করার ফলে শরীরে ক্যান্সার হবার ঝুঁকি কমে যায়। এতে রয়েছে “পলিফেনল” নামের একটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা শরীরের টিস্যুকে রক্ষা করে। ক্যান্সার হবার প্রধান কারন হল শরীরের টিস্যু বৃদ্ধি পাওয়া। তাই, টিস্যুকে সুরক্ষা দিয়ে সবুজ চা ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।

২. চর্বি পুড়ায়: 

এ ব্যাপারে আমরা সকলেই অবগত আছি যে, সবুজ চা ওজন কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক কাপ সবুজ চা তে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে খাওয়া শুরু করেন। কয়েকদিন পর নিজেই পার্থক্য বুঝতে পারবেন।

৩. পেটের চর্বি কমায়: 

আপনার পেট যদি অতিরিক্ত বড় হয়ে থাকে, তাহলে প্রতিদিন চার কাপ সবুজ চা পান করার অভ্যাস করুন। সাথে প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম করুন এবং একটি স্বাস্থ্যকর ডায়েট অনুযায়ী খাদ্য গ্রহণ করুন। তাই, প্রতিদিনের জন্য একটি প্রচলন করে ফেলুন যে, চার কাপ সবুজ চা পান করতেই হবে।

৪. শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ করে: 

আপনার যদি পানি কম পান করার অভ্যাস থাকে তাহলে প্রতিদিন এক কাপ সবুজ চা পান করার অভ্যাস করুন। এতে আপনার শরীরের পানির ঘাটতি পূরণ হবে। আপনার শরীর উৎফুল্ল থাকবে সারাদিন।

৫. স্বাস্থ্যের উন্নতি সাধন করে:

সবুজ চা, শুধুই একটি তরল পানীয় নয়। এর চা পাতায় বিভিন্ন বায়ো-অ্যাক্টিভ উপাদান রয়েছে। যার ফলে এতে বিপুল পরিমাণ পুষ্টি রয়েছে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান থাকার ফলে এটি শরীরের মৌলের গঠন কমাতে এবং শরীরের কোষ ও অনুকে সুরক্ষা দিতে পারে। শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগ দূর করতে এটি অন্যতম। এতে অল্প পরিমাণে খনিজও রয়েছে যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

৬. স্মরণ-শক্তি বৃদ্ধি করে:

সবুজ চা পান করার ফলে আপনি আরও বুদ্ধিমান হতে পারেন। “ক্যাফেইন” এর ফলে মেধা বৃদ্ধি পায়। সবুজ চা তে অল্প পরিমাণে ক্যাফেইন রয়েছে। যা আপনার স্মরণ-শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।

৭. দাঁতের জন্য উপকারী:

সবুজ চা ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করে। তাই, চা পান করার ফলে মুখের সকল ব্যাকটেরিয়া দূর করে দাঁতকে সুরক্ষা দেয় সবুজ চা।

সবুজ চায়ের উপকারিতা তো রয়েছেই, সাথে সাথে এর স্বাদ ও কিন্তু অনেক মজার। তাই, চা যদি পান করবেনই তাহলে সবুজ চা-ই পান করুন। এতে আত্মতৃপ্তির সাথে সাথে সুফলও ভোগ করতে পারবেন।–সূত্র: টাইম্‌স অফ ইন্ডিয়া। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ