কোর শব্দের অর্থই "অন্তস্তল", গ্রহ-নক্ষত্র দুটোর অভ্যন্তরকেই কোর বলা হয়।
এগুলোর বিশেষ কোনো কাজ নেই। আমরা যতটুকু জানি সকল গ্রহ নক্ষত্র অত্যান্ত উত্তপ্ত অবস্থা থেকে শীতলতার দিকে অগ্রসর হয়। আমাদের পৃথিবীও একটা সময় উত্তপ্ত আলোকপিণ্ড ছাড়া কিছুই ছিলোনা।
যাই হোক, শীতলতার পক্রিয়াটি শুরু হয় উপরিভাগ থেকে। তারপর ধীরেধীরে কোর বা কেন্দ্রের দিকে যেতে থাকে। যতই কেন্দ্রের কাছাকাছি আসে শীতলীকরণ প্রক্রিয়া ততই ধীর হয়ে যায় এবং সম্ভবত একটা সময় থেমেও যায়। ফলে গ্রহের উপরিভাগ কঠিনে রুপান্তরিত হলেও অভ্যন্তর উত্তপ্ত লাভা/ম্যাগমা অবস্থায় থাকে। পুরো গ্রহ বা নক্ষত্রের সঞ্চিত শক্তির সিংহভাগই কোরে সংরক্ষিত থাকে। এখান প্রয়োজনে শক্তি ক্ষয় (Decay) হয়ে গ্রহ/নক্ষত্রের বিভিন্ন অংশে সঞ্চারিত হতে পারে। উদাহরণস্বরুপ, সূর্যের কেন্দ্র (Core) থেকে প্রচুর শক্তি প্রতিদিন এর উপরিভাগের বিক্রিয়ায় শক্তি যোগান ও নিয়ন্ত্রণে ব্যয় হচ্ছে।
কোরে ছোটখাটো বিস্ফোরণ হলে বা কোনো কারনে কিছু উত্তপ্ত লাভা উপরে উঠে আসলে ভূমিকম্প, নতুন পাহাড় উত্থান, আগ্নেয়গিরি বিস্ফোরণ ইত্যাদি সংঘটিত হতে পারে।