বিষহীন সাপ কাটলে ভয়ের কিছু নেই। তবে বিষধর সাপ কাটলে রোগীকে বাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে নিতে হবে। যদি সাপে কাটা স্থানে দুটি বা একটি ক্ষত চিহ্ন দেখা যায় সেই সাথে সাপে কাটা স্থানে তীব্র ব্যথা বা জ্বালা করে, স্থানটি ফুলে লাল হয়ে যায়, রক্তিম রস ক্ষরণ হয়, ঘুম ঘুম ভাব হয়, মাথাব্যথা ও মাথা ঝিম ঝিম করা অনুভূতি হয়, বমি বমি ভাব হয় এবং বমি হয়, রক্ত বমি হয়, দুর্বল লাগে, একটি জিনিস দুটি দেখে, শ্বাসকষ্ট হয়- তখন বুঝতে হবে বিষধর সাপে কেটেছে।

তবে যদি ছোট ছোট অস্পষ্টভাবে অনেকগুলো দাঁতের চিহ্ন  দেখা যায় তাহলে বুঝতে হবে সাপটি বিষহীন। প্রথমে সাপে কাটা রোগীকে বোঝাতে হবে ভয়ের কিছু নেই। সেই সাথে সাহস জোগাতে হবে। রোগীকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য ব্যবস্থা করতে থাকুন আর কেউ একজন প্রাথমিক সেবা প্রদান করুন।

সাপে কাটা অংশ সাবান-পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। রোগীকে শুইয়ে দিয়ে যে অঙ্গে সাপ দংশন করেছে সে অঙ্গটি নড়াচড়া সম্পূর্ণরুপে বন্ধ করে দিতে হবে । হাড় ভেঙে গেলে যেভাবে বাঁশের কঞ্চি বা সোজা লাঠি দিয়ে ব্যান্ডেজ করা হয় সেভাবে বাঁধুন। হাত-পায়ে দংশনের ক্ষেত্রে একটি মোটা কাপড় বা গামছা দিয়ে পুরো হাত-পা পেঁচিয়ে দিন বা দংশিত স্থানের উপরে খুব শক্ত না হয় এমন করে গিট দিন। অসংখ্য শক্ত গিট দেবেন না। এতে করে দংশিত অঙ্গে পচন ধরতে পারে।

দংশিত স্থান ভিজা কাপড় দিয়ে মুছে পরিষ্কার ব্যান্ডেজ বা কাপড় দিয়ে আবৃত করে রাখুন। দংশিত স্থানের আশপাশে কাটাকাটি করবেন না, সুই ফোটাবেন না, রক্ত চুষে বের করবেন না, বিভিন্ন গাছ-লতাপাতার রস, গোবর লাগাবেন না। যদি কথা বলতে বা গিলতে সমস্যা দেখা দেয় তবে কোনো কিছু খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন না। ওঁঝা-বৈদ্যের কাছে সময় নষ্ট না করে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে স্থানান্তর করুন। হাসপাতালে রোগীকে অ্যান্টিভেনাম, টিটেনাস প্রতিষেধক দিতে হবে।।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

সাপে কাটলে এর প্রাথমিক চিকিৎসা : , যা করা উচিত : প্রথমেই সাপে কামড়ানো রোগীকে আশ্বস্ত করতে হবে যে তার কোনো বিপদ হবে না। উত্তেজনায় রোগীর হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। এতে বিষ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। রোগীকে এমনভাবে শোয়াতে হবে যেন কামড়ের স্থান হৃদযন্ত্র বরাবর কিছুটা নিচের দিকে থাকে। দেহের আঁটোসাঁটো পোশাক, অলংকার ইত্যাদি খুলে ফেলুন। কামড়ের ওপর দিকে একটি ফিতা বা রশি দিয়ে শক্ত করে বেঁধে ফেলুন। বিষক্রিয়ায় রোগীর হৃদস্পন্দন অনেক সময় বন্ধ হওয়ার জোগাড় হয়। সে ক্ষেত্রে সিপিআর দিন। অর্থাৎ, কেউ পানিতে ডুবে গেলে বা অন্য কোনো শকে আক্রান্তকে শুইয়ে বুকে দুই হাত দিয়ে চাপ দিতে থাকুন। এভাবে হার হৃদযন্ত্র সচল করে ফেলুন। হাসপাতাল দূরের পথ হলে ফোন দিয়ে বিষ নিস্ক্রিয়করণের কোনো ওষুধের নাম শুনে তা প্রয়োগের চেষ্টা করুন। যা করবেন না : কামড়ের স্থান সাবান দিয়ে ধোবেন না। আক্রান্ত স্থানের আশপাশে কেটে রক্ত বের করবেন না। ইলেকট্রিক শক দেবেন না। ঠাণ্ডা পানি বা বরফ কামড়ের স্থানে ধরবেন না। বড় বিষয়টি হলো, সে সাপ কামড়েছে তাকে ধরে মারার পেছনে সময় নষ্ট করবেন না। আক্রান্তকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ুন। রোগীকে পানি বা কোনো ধরনের পানীয় পান করাবেন না। সাপের বিষক্রিয়া দূর করতে এভিএস অ্যান্টডোট ব্যবহার করা হয়। এভিএস এর আবার মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। এতে মধ্যম থেকে মারাত্মক অ্যালার্জির সৃষ্টি হয় যাকে অ্যানাফাইল্যাক্সিস বলে। কাজেই দেহে এভিএস প্রয়োগ করার আগে আবার এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিষ্ক্রিয় করার অ্যান্টিডোটসহ ব্যবহার করতে হবে। আবার কেউ যদি কখনো বিষাক্ত বা সামান্য বিষাক্ত সাপের কামড় খেয়েও বেঁচে যান, তবে দ্বিতীয়বারের কামড়ে তাকে বাঁচাতে শক্তিশালী এভিএস ব্যবহার করতে হবে। কারণ প্রথম কামড়ের পর তার দেহে অ্যান্টিজেন থেকে যায়। দ্বিতীয় কামড়ের কারণে সেই অ্যান্টিজেকের সঙ্গে বিষ মারাত্মক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। , সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

প্রাথমিক চিকিৎসায় যা করতে হবে- • সাপে দংশন করলে প্রথমেই উত্তেজিত না হয়ে শান্ত থাকার চেষ্টা করুন। প্রথমেই আক্রান্ত ব্যক্তিকে বিপজ্জনক জায়গা থেকে সরিয়ে আনুন। দংশিত ব্যক্তির অবস্থা দ্রুত পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজন মতো শ্বাস-প্রশ্বাস ও রক্তের স্বাভাবিক চলাচলের ব্যবস্থা করুন। • দংশিত স্থানের নড়াচড়া যাতে কম হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এরপর সম্ভব হলে সাহায্যের জন্য নিকটবর্তী হাসপাতালে ফোন করুন। যে স্থানে দংশন করেছে তা খুঁজে বের করে দংশিত স্থানটি গোল করে চিহ্নিত করুন। দংশনের স্থান পরিষ্কার করার প্রয়োজন নেই, কারণ এর ফলে সাপ শনাক্তকরণ নাও সম্ভব হতে পারে। • দংশন স্থানে, যদি হাতের কাছে অ্যালকোহল প্যাড থাকে, তা দিয়ে চাপ দিয়ে ব্যান্ডেজ করতে থাকুন এমনভাবে যাতে শিরার রক্ত চলাচলকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং যেন বিষ শরীরে ছড়িয়ে পড়তে না পারে, আবার রক্ত চলাচলও বন্ধ না হয়। প্রয়োজনবোধে প্রথম ব্যান্ডেজের উপর দ্বিতীয় আরেকটি ব্যান্ডেজ করা যেতে পারে। ব্যান্ডেজের উপরে দংশন স্থানটিকে চিহ্নিত করতে ভুলে যাবেন না। • যে পায়ে বা হাতে সাপ দংশন করেছে, সেই পা বা হাতে, নিকটে যা কিছু পাওয়া যায়, সেটাকেই স্প্লিন্ট বানিয়ে এমনভাবে লাগাতে হবে যাত • লক্ষ্য রাখতে হবে সাপে দংশিত ব্যক্তি যাতে অজ্ঞান হয়ে না যান, অথবা শ্বাস-প্রশ্বাস যাতে দ্রুত বেড়ে না যায়। সম্ভব হলে পালস এবং শ্বাস-প্রশ্বাস পরিমাপ করুন এবং লিখে রাখুন। • যত দ্রুত সম্ভব রোগীকে ডাক্তারের কাছে বা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
RanaRana

Call

সাপে কামড়ানো ব্যক্তিরপ্রাথমিক চিকিৎসা:সাপে কাটলে যা করতে হবে:

১.সাপে কামড়ানো ব্যক্তিকে প্রথমে খোলামেলা একটি জায়গায়নিয়ে দ্রুত শুইয়ে দিন।তার চারপাশেরলোকজনকে সরিয়ে দিতে হবে যাতে রোগী যথেষ্টআলো বাতাস পায়।


২. রোগীর জ্ঞান আছে কিনা তা যাচাই করুন। জ্ঞানথাকলে কথা বলে তারমনোবল যোগান।


৩. দংশনের স্থানভালো ভাবে পরীক্ষা করে জেনে নিনসাপটি বিষধর কিনা।সাধারণত বিষধর সাপহলে এক বা দুই দাঁতেরকামড়ের চিহ্ন থাকবে।দুইয়ের অধিক দাঁতেরকামড়থাকলে সাপটি বিষধরনয়।


৪. কামড়ের স্থান২-৩ইঞ্চি উপরে হালকা করে কমপক্ষে দুটি বাধুনএবং স্থানটি যেননড়াচড়া না হয়।কামড়ের ৩০ মিনিটেরমধ্যে এটা করতে হবে।


৫.বেশি নড়াচড়া করলে বিষদ্রুতছড়িয়ে পড়তে পারে,তাইরোগীকে নড়াচড়া করা থেকে বিরতরাখুন।


৬. সাবান ও পরিস্কারপানি দিয়ে রোগীরক্ষতস্থানটি ভালোভাবে ধুয়ে দিন।


৭.ক্ষতস্থানটি কোনো প্রকারলতাপাতা, তৈলাক্তবা ঘি জাতীয়কোনো কিছুলাগিয়ে ময়লা করবেননা।


৮. হাত বা পায়ে কামড়দিলে দংশিত অংশবাঁশ বা কাঠেরচটা দিয়ে হালকাভাবে বাঁধুনযাতে আক্রান্ত অঙ্গনড়াচড়া করতে না পারে।


৯. রোগীরহাতে বা পায়ে কোনো অলংকারথাকলে তা খুলে ফেলুন।


১০.সাপে কাটা ব্যক্তিকে সারাক্ষনসজাগ রাখার চেষ্টা করুন।


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ