Call

না । কোন পীর সাহেব লাগবে না । তারা কেবল তোমায় সুপথ দেখাবেন । সেই আলোকে তাওহীদে বিশ্বাস করে মুমিনের মত কাজ করতে হবে

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

যে ব্যক্তি আপনাকে এমন যুক্তি দেখিয়েছে, আমি তাকে চ্যালেঞ্জ করছি, পবিত্র কোর’আন এ ৬৬৬৬টি আয়াত আছে, এবং রাসুলের সহিহ্ হাদিস রয়েছে এমন কথা কোথায় বলা হয়েছে আমাকে বলুন??? এখন আপনার কথায় আসি, পীরের কোন স্থান নেই ইসলামে, আপনি শুধু আল্লাহকে (কোরআন) মেনে চলবেন, এবং শেষ নবী ও রাসুল হযরত মোহাম্মদ (সঃ) (তথা সহিহ্ হাদিস)কে অনুসরণ করবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

আলহামদুলিল্লাহ। ভাই আপনি খুব সুন্দর প্রশ্ন করছেন। আপনি এমন একটি প্রশ্ন করেছেন যার উত্তর অনেক বড়। যা লিখে দেয়া কষ্টসাধ্য। তারপরও আমি সর্টকার্টভাবে কিছু লিখছি। ধৈর্য ধরে পড়ুন। একটা অক্ষরও বাদ দিবেন না। আপনার উত্তর হলো- না, জান্নাতে যেতে হলে কোন পীর-আউলিয়ার অনুসরণ করা বা তার সান্নিধ্যের প্রয়োজন নেই। কোন পীর-আউলিয়া কিয়ামত বা পরকালে সুপারিশ করতে পারবে কি না, আসুন দেখি কুরআন কী বলে? ﻳَﻮْﻡَ ﻳَﻔِﺮُّ ﭐﻟْﻤَﺮْﺀُ ﻣِﻦْ ﺃَﺧِﻴﻪِ { * } ﻭَﺃُﻣِّﻪِ ﻭَﺃَﺑِﻴﻪِ { * } ﻭَﺻَٰﺤِﺒَﺘِﻪِ ﻭَﺑَﻨِﻴﻪِ {* } ﻟِﻜُﻞِّ ﭐﻣْﺮِﻯﺀٍ ﻣِّﻨْﻬُﻢْ ﻳَﻮْﻣَﺌِﺬٍ ﺷَﺄْﻥٌ ﻳُﻐْﻨِﻴﻪِ অর্থাৎ সেদিন (কিয়ামত বা পরকালের দিন) মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই থেকে, তার মা ও তার বাবা থেকে, তার স্ত্রী ও তার সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেরই একটি গুরুতর অবস্থা থাকবে, যা তাকে ব্যতিব্যস্ত করে রাখবে। (সূরা আবাসা, ৩৪-৩৭) এখানে দেখুন কী বলা হয়েছে? পরকালে মানুষ তার ভাইকে চিনবে না, তার বাবা, প্রিয় আদরের মা এমনকি নিজের সন্তান থেকে পালিয়ে যাবে। যেখানে আপনজনদের এই অবস্থা হবে সেখানে কি না পীর-আউলিয়া আপনার জন্য সুপারিশ করবে? ব্যাপারটা কেমন হাস্যকর মনে হচ্ছে না? বাকি রইল আপনার বন্ধুর যুক্তি। মন্ত্রীর সাক্ষাৎ পেতে হলে এত মানুষের কাছে যেতে হয় কেন বলুনতো? কারণ মন্ত্রী আপনিকে চিনে না। আমাদের প্রিয় নবী (সা:) কি তার শ্রেষ্ঠ উম্মতকে চিনবেন না? এটা কি গাঁজাখুরি যুক্তি নয়? অথচ নবী (সা:) যে তার উম্মতকে চিনতে পারবেন এ বিষয়ে সহীহ বুখারির বিশাল বড় একটি হাদীস রয়েছে। এ হাদীসে এও আছে যে, আদম (আঃ), মূসা (আঃ) এবং আরো কয়েকজন নবীর কাছে তার উম্মতের লোকেরা আসবে সুপারিশের জন্য। তখন নবীরা বলবেন, আমি যে অন্যায় করেছি তার জন্য আল্লাহ তাআলা আমার উপর ভিশন রেগে আছেন, তাই তুমি অন্য নবীর কাছে যাও। এভাবে নবীরাই তার উম্মতের জন্য সুপারিশ করবে না। তখন শ্রেষ্ঠ নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) তার উম্মতের জন্য আল্লাহর কাছে সুপারিশ করার জন্য সিজদায় পড়ে যাবেন। এক সময় আল্লাহ তাআলা আমাদের নবী (সাঃ) এর সুপারিশ কবুল করবেন। ভাই আমার! আপনি কারো অনুসরণ না করে শুধু মুহাম্মাদ (সাঃ) এর অনুসরণ করুন। কেননা আল্লাহ তাআলা বলেন, ﻣَﻦْ ﻳُﻄِﻊْ ﺍﻟﺮَّﺳُﻮل ﻓَﻘَﺪْ ﺃَﻃَﺎﻉَ ﺍﻟﻠَّﻪ অর্থাৎ, যে ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর অনুসরণ করল সে যেন আমারই অনুসরণ করল। (সূরা নিসা- ৮০) আমি মোবাইল দিয়ে "বিস্ময়" চালাই। এত কিছু লিখতে অনেক কষ্ট লাগল। তাই বিস্তারিত লিখতে পারলাম না। ভাই আপনি এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে আমাকে মেইল করুন: [email protected] ধন্যবাদ

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ