আমি উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্র আমার পরীক্ষা ২০১৭ সালে। এই সময়ের মাঝে কোন নিয়মে পড়ালেখা করতে হবে এবং কত ঘন্টা পড়তে হবে?? একজন ভালো ছাত্রই সঠিক পরামর্শ দিবেন।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

এর জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম যা করতে হবে তা হলো, আপনাকে খেলা-ধুলা, খাওয়া এবং ঘুম এর সময় ছাড়া আর মাঝে মাঝে কিছুক্ষণ রেস্ট বাদে ১০-১২ ঘন্টা পড়ার জন্য একটি রুটিন করতে হবে। রুটিনটি সকাল ৬টা থেকে, পারলে ৫টা থেকে শুরু করবেন। রাত্রে তাড়াতাড়ি ঘুমাবেন। কোনদিনই রুটিন ভঙ্গ করবেন না। আর পড়ার জন্য আলাদা রুম থাকা জরুরি। এভাবে নিয়মিত পড়লে আশা করা যায় ভাল রেজাল্ট করবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Mdnurnabi

Call

আপনি চাইলে কম পড়াশুনা করে ভালো ফলাফল করতে পারেন।নিচে কিছু টিপস দেয়া হল: (১) পরিকল্পনা করুনঃ পরিকল্পনা ছাড়া এই পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত যত কাজ হয়েছে তার শতকরা ৯৮% কাজই সফলতা অর্জন করতে পারেনি। তাই আজ থেকে সুষ্ঠু পরিকল্পনা করে ফেলুন। যেমন-আপনি প্রতিদিন প্রতিটা বইয়ের ১টি করে প্রশ্ন পড়বেন। (২) শুধু পড়ুন, মুখস্থ করবেন নাঃ সবার মুখস্থ বিদ্যা ভালো না। তাই যেটা পড়বেন সেটা শুধু পড়ুন কিন্তু মুখস্থ করতে চেষ্টা করবেন না। বুঝে বুঝে পড়ার চেষ্টা করুন। অনেক সময় এমন হয় শুধু পড়ার কারনে আপনার পুরো বিষয়টা পরীক্ষার হলে মনে পড়ে যায়। জোর করে যদি মুখস্থ করতে যান তাহলে ভুলে যেতে পারেন। যেটা খুবই স্বাভাবিক। দেখবেন খবরের কাগজ কিন্তু আমরা মুখস্থ করি না, কিন্তু খবরগুলো ঠিকই আমাদের মনে থাকে। তাই প্রতিদিন অল্প পড়াশোনা করার অভ্যাস করুন। (৩) পড়ার সময় লিখে পড়ার চেষ্টা করুনঃ যে প্রশ্নটি পড়বেন সেটার উত্তরগুলো খাতা কলমের সাহায্যে লিখে লিখে পড়ার চেষ্টা করুন। তাহলে পড়াও মনে থাকবে, চোখের সাহায্যে অন্তরেও গেঁথে যাবে। বেশী লেখার দরকার নেই। মেইন পয়েন্টগুলো দুচার লাইন করে লিখুন। (৪) সময়ের কাজ সময়ে করুনঃ পড়ালেখায় সফলতা পেতে হলে সময়ের কাজ আপনাকে সময়ে করতেই হবে। বেশীক্ষন পড়তে ভালো লাগেনা? ঠিক আছে। তাহলে প্রতিদিন ২ ঘন্টা ফিক্সড করে নিন। ওই ২ ঘন্টাই পড়বেন। ওই সময়ে অন্য কোন কাজ করবেন না। তাই প্রতিদিন অল্প পড়াশোনা করার অভ্যাস করুন। (৫) প্রতিযোগী ঠিক করে নিনঃ রেসের মাঠে একা দৌড়ালে যেমন কোন লাভ নেই, ঠিক তেমনি পড়াশোনায়ও ভালো রেজাল্ট করতে প্রতিযোগী সেট করার কোন বিকল্প নেই। আপনার থেকে দুই ধাপ ভালো কোন ছাত্র-ছাত্রীকে টার্গেট করুন। মনে মনে বলুন নেক্সট পরীক্ষায় আমি ওর থেকে কমপক্ষে ২০ মার্কস বেশী ওঠাবো বা ২ পয়েন্ট বেশী অর্জন করবো। তাই প্রতিদিন অল্প পড়াশোনা করার অভ্যাস করুন। (৬) আড্ডা কমিয়ে দিনঃ আমি কিন্তু বলিনি একদম আড্ডা দিবেন না! কিন্তু আড্ডা দেয়ার সময় কমিয়ে দিন। এখন পর্যন্ত আড্ডায় কোন উৎপাদনমুখী কিংবা ভালো টপিকস নিয়ে আলোচনা হয় না। কি নিয়ে আলোচনা হয় তা আমি আপনি আমরা সবাই জানি। প্রতিদিন যদি ২ ঘন্টা আ্ড্ডা দেয়ার অভ্যাস থাকে তাহলে সেটা আধা ঘন্টা কমিয়ে দিন। এভাবে আড্ডা দেয়া আস্তে আস্তে কমিয়ে দিন। তাই প্রতিদিন অল্প পড়াশোনা করার অভ্যাস করুন। (৭) ভালো ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে মিশুনঃ কথায় আছে সৎসঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ। আপনি যদি এভারেজ কিংবা খারাপ ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে মেশেন তাহলে আপনার উপরে কিন্তু খারাপ প্রভাবই পরবে। ভালো প্রভাবের জন্য ভালো ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে মিশুন, কথা বলুন, প্রয়োজনে তাদের সাথে আড্ডা দিন। (৮) ধর্মকর্মে মন দিনঃ শুধু পরীক্ষার আগে স্রষ্টার নাম জপে কোন ফায়দা হয় না। প্রতিদিন অল্প অল্প করে ধর্ম কর্মে মন দিন। আস্তে আস্তে বাড়িয়ে ফেলুন। তাহলে স্রষ্টাও আপনার উপরে খুশি হবেন। শুধুমাত্র্র বাবা-মা কিংবা টিচারের মন জয়ের জন্য কাজ করলে হবে না। তাই প্রতিদিন অল্প পড়াশোনা করার অভ্যাস করুন। (৯) নির্দিষ্ট সময়ে পড়ার অভ্যাস করুনঃ নির্দিষ্ট সময়ে ক্ষুধা লাগলে আপনার কেমন লাগে?? ঠিক তেমনি প্রতিদিন অল্প পড়ুন বা বেশী পড়ুন একটা নির্দিষ্ট সময়ে পড়ার অভ্যাস তৈরি করুন। এলোপাতারি সময়ে না পড়ে, নিদির্ষ্ট সময়ে যেমন রাত ৮ থেকে ১২টা বা রাত ১০টা পর্যন্ত এই সময়টা শুদুই পড়ুন। অন্যকোন কাজ করবেন না। (১০) টিভি দেখা কমিয়ে দিনঃ ছাত্র-ছাত্রীর অন্যতম কাজ হচ্ছে টিভি দেখা। সচরাচর সবাই টিভি দেখে নিজেকে নায়ক নায়িকা বা গায়ক গায়িকা ভাবতে পছন্দ করে। কিন্তু মনে রাখবেন টিভিতে যা কিছু দেখি সবই কিন্তু প্রফেশনাল লোকজন করে। তাদের পেশাই হচ্ছে ওইটা করা। তাই আপনি যদি তাদের মতো কল্পনা করেন কিন্তু পড়ালেখা না করেন তাহলে কিন্তু কোন কাজ হবে না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

পড়ালেখাটা এমন একটা জিনিস যা তারাহুরো করে কখনো নিজের আয়ত্বে আনা যায় না যদিও যায় তবে তার স্থায়িত্ব খুবই কম হয়। প্রথমত খেলাধুলা বাদ দিতে হবে তাই বলে একেবারে বাদ দিবেন না এতে আপনার মানসিক ক্ষতি হতে পারে।সময় সবসময় মেইনটেইন করে চলবেন।কাজ থাকতেই পারে স্বাভাবিক তাই বলে বসে থাকলে চলবে না কাজের ফাকেই পরতে হবে। আর পড়ার জন্য একটি নিরিবিলি রুম বেছে নিন।পড়া শুরুর পূর্বে মোবাইল ফোন,ল্যাপটপ,ইত্যাদি দূরে রাখুন।যত তারাতারি পারেন ঘুমিয়ে পরবেন।এবং গভীর রাতে পরাশোনা করবেন।একবার পরেই দেখুন কত দ্রুত পরা নিজের আয়ত্বে আসবে। আগে সেই অধ্যায়গুলো শেষ করুন যেগুলো আপনি ভালোমত বুঝেন নি।তাই বলে শুধু ঐগুলোই পরবেন না যেগুলো পারেন সেগুলোতেও চোখ বুলান।কারন পরালেখাটা চর্চার উপর নির্ভর করে।যত বেশি পরবেন তত ভালো ফলাফল করতে পারবেন। পরায় মন না বসলে পরতে বসবেন না।এতে করে পরাকো আয়ত্ব হবেই না শুধু মাথা গরম হবে। বাইরে থেকে একটু হেটে এসে তারপর পরতে বসবেন। মধ্যরাত এবং সকাল হচ্ছে পরার জন্য উপযুক্ত সময়। তাই ঐ সময়ে একটু বেশি পরবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Manik Raj

Call

১। মনে মনে একটি ছবি তৈরি করা কল্পনার মাধ্যমে কোনো কিছু মনে করার চেষ্টা করেছেন কি কখনো? জটিল গাণিতিক ফর্মুলা মুখস্ত করে মনে রাখা অনেক কঠিন। মুখস্ত করার চেয়ে এই ফর্মুলাকে ছোট ছোট অংশে ভেঙ্গে ফেলতে পারেন। তারপর মনে মনে একটি গ্রাফের অংশ হিসাবে এটিকে কল্পনা করতে পারেন। ২। উপমার সাহায্যে পড়া নতুন কিছু শেখার সময় বিষয়টির সঙ্গে সাদৃশ্য আছে এরকম কোনো কিছু মনে করার চেষ্টা করুন। এ ধরনের উপমার মাধ্যমে পড়তে থাকলে বিষয়টি আপনার মনের মধ্যে গেঁথে যাবে। ৩। পেজিং জটিল সংখ্যা মনে রাখার ক্ষেত্রে এই কৌশল ব্যবহার করা যায়। পেজিং এর মূল ধারণা হলো নির্দিষ্ট কোনো বর্ণের সঙ্গে সংখ্যাকে সংযুক্ত করা। যেমন, ১=ক, ৩=ম এবং ৯=ন ধরি, তাহলে ১৩৯ সংখ্যাটিকে মনে রাখার জন্য ‘কমন’ শব্দটি ব্যবহার করলেই হয়। এই কৌশলের সাহায্যে নিজের পছন্দ মতো শব্দ অনুযায়ী বড় বড় সংখ্যা মনে রাখা যাবে। ৪। ডায়াগ্রাম বা নকশা ব্যবহার করা সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ছবি আঁকার মাধ্যমে কোনো কিছু করলে তা মনসংযোগে সহায়তা করে। আপনি যদি শ্রেণিকক্ষে বিরক্তবোধ করেন, তাহলে টিচার যা পড়াচ্ছেন তার একটি ছবি আঁকার চেষ্টা করুন। ফলে আপনার একঘেয়েমি দূর হবার সঙ্গে সঙ্গে পাঠ্য বিষয়টির প্রতি একাগ্রতার সৃষ্টি হবে। ৫। অন্যকে শেখানো ক্লাসে যা পড়ানো হয়েছে, তা অন্যকে বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করুন। ফলে আপনি যা শিখেছেন তার সঙ্গে আপনার মস্তিষ্কের সংযোগ ঘটানো সহজ হবে। কোনো কিছু বোঝার ক্ষমতা বাড়াবে। এই পদ্ধতি জটিল কোনো বিষয় ভালোভাবে আয়ত্ত্বে আনতে সাহায্য করবে। ফলে কষ্ট করে আর মুখস্ত করতে হবে না। ৬। কঠিন ভাষায় নোট নেয়া থেকে বিরত থাকুন ক্লাসে যখন নোট নেবেন, তখন তা আকর্ষণীয় ভাষায় নেয়ার চেষ্টা করুন। নিজের জন্য যেভাবে বুঝতে সহায়তা হয় ঠিক সে ভাষায় নোট নেবার চেষ্টা করুন। এছাড়া ছবি আঁকার মাধ্যমেও নোট করতে পারেন। ৭। নতুন বিষয়ে শেখার আগ্রহ কখনও খেয়াল করেছেন, ছোটবেলায় যা পড়েছেন বড় হবার পর তা অনেক সহজ মনে হয়েছে। যেমন, ক্যালকুলাস শিখতে শুরু করার পর মনে হয়েছে, অ্যালজেব্রা এতো সহজ যে শিশুরাও এটা বুঝতে পারবে। কোনো বিষয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়া মানে হলো নতুন কিছু শেখার জন্য সংগ্রাম করা। তখন পুরনো বিষয় অনেক সহজ মনে হয়। তাই বিষয় বস্তুকে সহজ করার জন্য সে বিষয়ে নতুন কিছু শেখার আগ্রহ তৈরি করুন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

একটা কথা মনে রাখবেন শুধু ঘন্টার পর ঘন্টা পরলেই বা টেবিলে বসলেই ভাল ছাত্র বা ভাল রেজাল্ট করা সম্ভব নয়।প্রয়োজন নিয়মমাফিক সুপরিকল্পিত ও সময়োপযোগী মানষিকতা নিয়ে পরা। আপনি খুব অল্প সময়ে খুব যে ভাল ফল করতে পারবেন তা বলাও কাকতালীয়। যেহেতু আপনার কাছে মোটামুটি পর্যাপ্ত সময় এখনও আছে,তাই আপনার উচিত হবে অনেকবেশি পড়া। তবে অবশ্যই তা আপনার শরীর স্বাস্থ্য ঠিক রেখে।আপনার এই মুহুর্তে উচিত হবে HSC এর সিলেবাস কম্পলিট করা।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ