পেটের এই বাড়তি চর্বি/ ভুড়ি কমাবার জন্যে রইলো কিছু কার্যকর টিপসঃ ১) হাঁটুনঃ প্রতিদিন নিয়ম করে হাঁটুন। যে দূরত্বে হেঁটেই যেতে পারবেন সেখানে রিকশা করে যাবেন না। প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটুন। প্রথম কিছুদিন ক্লান্ত লাগলেও কয়েক দিন পর এটা আপনার অভ্যাসে পরিণত হবে। ২) ভাজা পোড়া কম খানঃ ভাজা পোড়া জাতীয় খাবার কম খান। চেষ্টা করুন কম তেলে রান্না করা বা সেদ্ধ করা খাবার খেতে। ৩) ফাস্টফুডকে না বলুনঃ কোনভাবেই ফাস্টফুড খাবেন না। মেয়োনেজ, পনির, সস, তেল, মাখন এসব আপনার পেটে চর্বি জমতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে। ৪) ঘুমাবার আগে হাঁটুনঃ ভুঁড়ি হবার অন্যতম কারণ খাবার ঠিকভাবে হজম না হওয়া। ঘুমাবার অন্তত দুই ঘন্টা আগে রাতের খাবার খান এবং খেয়ে কিছুক্ষণ হাঁটুন। এতে খাবার ভালোভাবে হজম হবে। পেট বাড়বে না। ৫) লিফট নয় সিঁড়িঃ অফিস বা বাসায় যতটা সম্ভব লিফটের বদলে সিঁড়ি ব্যবহার করুন। এটা পেটের জমে থাকা চর্বি অপসারণের খুব ভাল উপায়। এতে পেটের উপর চাপ পড়ে ও আস্তে আস্তে চর্বি কমতে থাকে। ৬) অভ্যাসে সচেতন হোনঃ চেষ্টা করুন সব সময় সোজা হয়ে দাঁড়াতে, বসতে ও হাঁটতে। কুঁজো হয়ে হাঁটবেন বা বসবেন না। দীর্ঘ সময় কুজো হয়ে এক স্থানে বসে থাকা, কম্পিউটারে কাজ করা এসবের কারণে ভুঁড়ি বেড়ে যায়। প্রতি এক ঘন্টা অন্তর একবার উঠে দাঁড়ান ও সোজা হয়ে বসুন।
ভুঁড়ি কমাবার এরচাইতে সহজ উপায় আর হতেই পারে না! ১। রোজ সকালে এক গ্লাস গরম লেবুর শরবতঃ হ্যাঁ! কিন্তু একেবারেই চিনি ছাড়া। এক গ্লাস গরম পানিতে অর্ধেকটা লেবু চিপে নিন, এতে এক চিমটি লবণ মিশিয়ে নিন। এবার পান করুন সকালে ঘুম থেকে উঠেই আর রাতে ঘুমুতে যাবার ঠিক আগে। এটি আপনার দেহের বাড়তি মেদ ও চর্বি কমাতে সব চেয়ে ভালো উপায়! ২। সাদা ভাতের বদলে লাল চালের ভাতঃ সাদা ভাতের বদলে বেছে নিতে পারেন লাল চালের ভাত, ব্রাউন ব্রেড, আটার রুটি। এতে আপনার দেহে ক্যালোরি অতিরিক্ত ঢুকবে না। পেটে জমা চর্বি কমে আসবে ধীরে ধীরে। ৩। চিনিযুক্ত খাবার একেবারেই নাঃ মিষ্টি, মিষতিজাতীয় খাবার, কোল্ড ড্রিঙ্কস এবং তেলে ভাজা স্ন্যাক্স থেক ১০০ হাত দূরে থাকুন। কেননা এ জাতীয় খাবারগুলো আপনার শরীরের বিভিন্ন অংশে, বিশেষত পেট ও উরুতে খুব দ্রুত চর্বি জমিয়ে ফেলে। তাই এগুলো খাওয়ার চেয়ে ফল খান। ৪। প্রচুর পানি পান করুনঃ প্রতিদিন প্রচুর পানি পান করার ফলে এটা আপনার দেহের মেটাবলিজম বাড়ায় ও রক্তের ক্ষতিকর উপাদান প্রস্রাবের সাথে বের করে দেয়। মেটাবলিজম বাড়ার ফলে দেহে চর্বি জমতে পারে না ও বাড়তি চর্বি ঝরে যায়। চেষ্টা করুন বরফ ঠান্ডা পানি না পান করে, খানিকটা উষ্ণ পানি পান করার। ৫। রোজ তিন কোয়া রসুনঃ রোজ সকালে উঠেই খালি পেটে ২/৩ কোয়া রসুন চিবিয়ে খেয়ে নিন, এর ঠিক পর পরই পান করুন লেবুর রস। এটি আপনার পেটের চর্বি কমাতে দ্বিগুণ দ্রুতগতিতে কাজ করবে। তাছাড়া দেহের রক্ত চলাচলকে আরো বেশী সহজ করবে এটি। ৬। মসলা খানঃ রান্নায় অতিরিক্ত মশলা ব্যবহার করা ঠিক নয়। কিন্তু আপনি কি জানেন কিছু মশলা আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করে ম্যাজিকের মতন? রান্নার ব্যবহার করুন দারুচিনি, আদা ও গোলমরিচ। এগুলো আপনার রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাবে ও পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করবে। ৭। প্রচুর ফল ও সবজিঃ প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় এক বাটি ভর্তি ফল ও সবজি খাবার চেষ্টা করুন। এতে আপনার শরীর পাবে প্রচুর পরিমাণে এন্টি অক্সিডেন্ট, মিনারেল ও ভিটামিন। আর এগুলো আপনার রক্তের মেটাবলিজম বাড়িয়ে পেটের চর্বি কমিয়ে আনবে সহজেই। ৮। মাংস থেকে দূরে থাকুনঃ বিশেষত অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত গরু ও খাসির মাংস যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। এর বদলে বেছে নিতে পারেন কম তেলে রান্না করা মাছ। ব্যায়াম করার সময় নেই তো হয়েছে, তাই বলে কি ভুঁড়ি কমবে না? আজ থেকেই মেনে চলুন উপরের নিয়মগুলো আর ফিরে পান আপনার মেদহীন সুন্দর স্বাস্থ্য। সুস্থ থাকুন।
আপনি অল্প দুরত্বের জায়গায় যানবাহন ব্যবহার না করে, পায়ে হেঁটে চলুন, প্রতিদিন গোসলের সময় পুকুরে সাঁতার কাটুন। খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে প্রতিদিন ব্যয়াম করুন। কিছু ভারি কাজ নিজেই করে নিন, তৈলাক্ত খাবার পরিহার করে, কম তেলে রান্নাকরা খাবার খান। অতিরিক্ত দুধ, ডিম খাওয়া কমান, দেখবেন আস্তে আস্তে আপনার ভুঁড়ি কমে গেছে।