Ram (Random access memory) হলো এমন একটা মেমরি যা ক্ষনস্থায়ী ! অর্থাত, যতক্ষণ বিদ্যুত প্রবাহিত হচ্ছে ততক্ষণ মেমরি থাকবে ! বিদ্যুত প্রবাহ না থাকলে এইটা থাকবেনা I এইটা কে অনেকটা মানুষের স্বল্পস্থায়ী স্মৃতির সাথে তুলনা করা যেতে পারে ! আমরা জানি মানুষের ৩ ধরনের স্মৃতি রয়েছে এর মধ্যে একটির সময়কাল প্রায় ১ সেকেন্ড ,তা হলো স্বল্পস্থায়ী স্মৃতি ! (আমরা চোখ খোলা রেখে যা দেখি তা এই স্মৃতির মধ্যে পরে , আমরা যা দেখি তার সব কি মনে রাখতে পারি যেইগুলো মনে রাখতে পারিনা তা এই স্মৃতির আওতায় ! অর্থাত যতক্ষণ চোখ খোলা থাকবে ততক্ষণ স্মৃতি ও থাকবে !) কম্পিউটার এ যখন কোনো ফাইল লোড করা হয় ঠিক সেরকমই তা প্রথমে এই ক্ষনস্থায়ী স্মৃতি র্যাম এ অবস্থান করে আবার যখন সেই কাজ করে আমরা বন্ধ করে দেয় সেই স্মৃতির আর অস্তিত্ব থাকেনা ! আর Rom (Read only memory) হলো এমন একধরনের স্মৃতি যার কোনো পরিবর্তন হয়না !যা একেবারে ফিক্সড থাকে ! কম্পিউটার ছাড়া মোটামুটি সব ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতির মধ্যেই রম রয়েছে ! রম মূলত বাইনারি সংখ্যার মাধ্যমে কাজ করে থাকে অর্থাত বিদ্যুত প্রবাহ আছে কি নেই এর মাধ্যমে তা পুরো প্রক্রিয়ার কাজ করে থাকে !
RAM এর পূর্ণ রূপ Random Access Memory আর ROM এর পূর্ণ রূপ Read Only Memory পূর্ণ রূপেই এর পার্থক্য বলে দিয়েছে আমি শুধু একে নিয়ে একটু বাংলায় বলি। RAM কে সাধারণত সহায়ক স্মৃতি বলা হয়। উদাহরণ দিচ্ছি ছোট করে। যোগ করছেন ১৩ আর ১৯ দুটি সংখ্যার। এখন যখন ৯+৩ করবেন তখন তার নিজে উত্তর বসানোর সময় লিখবেন ২ হাতে বা মনে রাখবেন ১। এখন কম্পিউটারের বেলাতে এই ১ বা ১০ যেটা হাতে বা মনে রেখেছেন সেটা কোথায় রাখবে? হ্যাঁ, সেটা সে RAM এ সংরক্ষণ করবে। আবার যখন প্রয়োজন তখন ঐখান থেকে দেখে নিবে আর কাজ শেষে মুছে দিবে। ROM মূলত এমন একটা মেমরি যাতে ডাটা স্থায়ী ভাবে সংরক্ষিত থাকে। যেমন CD/DVD ডিস্ক। এতে একবার মাত্র ডাটাকে লিখে পরে শুধু Read বা পড়া হয়। তেমনি যেসকল মেমরি শুধু মাত্র একবার সংরক্ষণের সুবিধা দেয় এবং পরবর্তীতে তা শুধু ঐ সংরক্ষণকে পড়া বা ব্যবহারের কাজ করে থাকে তাকেই ROM বলা হয়। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।