Call

1G: 1G এর পূর্ণরূপ First Generation বা প্রথম প্রজন্ম-এর সংক্ষিপ্ত রূপ, যা তারবিহীন যোগাযোগ ব্যাবস্থার একটি পদ্ধতি। এটি এনালগ যোগাযোগ প্রযুক্তি যা ১৯৮০ সালে পরিচিতি লাভ করে এবং Second Generation (2G) আসার পূর্ব পর্যন্ত চাল ছিল। 

First Generation প্রথম ১৯৭৯ সালে জাপানের NTT (Nippon Telegraph and Telephone) দ্বারা টোকিওর মেট্রোপলিটন এলাকায় প্রবর্তিত হয় এবং পাঁচ বছরের মধ্যে জাপানের সম্পূর্ণ জনবহুল এলাকা কভার করে দেশজোড়া 1G নেটওয়ার্কের বিস্তৃতি ঘটায়।

2G: 2G এর পূর্ণরূপ Second Generation বা দ্বিতীয় প্রজন্ম-এর সংক্ষিপ্ত রূপ। ১৯৯১ সালে ফিনল্যান্ডের রেডিওলিনজা নামক একটি GSM (Global System for Mobile Communications) অপারেটর সর্বপ্রথম ব্যাবসায়িকভাবে এবং জিএসএম স্টেন্ডার্ডে ২ জি তারবিহীন নেটওয়ার্ক চালু করেছিল। তারবিহীন মোবাইল যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রতি সেকেন্ডে ২৮'৮ কিলোবিট হারে তথ্য আদানপ্রদান সঙ্ক্রান্ত সেবা দেয়া সম্ভব হয়। তখনকার এধরনের অন্যান্য বিদ্যমান প্রযুক্তি অপেক্ষা ২জি তিনটি দিক দিয়ে এগিয়ে ছিল। 

এ বাড়তি সুবিধাগুলো নিম্নরুপ:
    - ২জি প্রযুক্তিতে ফোনে নিরাপদভাবে কথাবার্তা বলার জন্য সম্পূর্ণরূপে এনক্রিপশনের ব্যাবস্থা ছিল।
    - তরঙ্গ বর্ণালি ব্যবহারের ক্ষেত্রে ২জি অন্যান্য প্রযুক্তি অপেক্ষা অনেক বেশি কর্মদক্ষ ছিল।
    - এবং ২জি এর মাধ্যমে এসএমএস এর মত বিভিন্ন রকম তথ্যও প্রেরণ করা যেত।

3G: 3G হল Third Generation বা তৃতীয় প্রজন্ম-এর সংক্ষিপ্ত রূপ। ২০১১ সালের ১ অক্টোবর এটি চালু করা হয়। এই প্রযুক্তিতে প্রতি সেকেন্ডে কমপক্ষে ২০০ কিলোবিট হারে তথ্য আদান প্রদান করা সম্ভব। অবশ্য বর্তমানে থ্রিজি প্রযুক্তিতে এর চেয়েও অধিক গতি পাওয়া সম্ভব। থ্রিজি নেটওয়ার্ক প্রযুক্তিতে টুজি নেটওয়ার্কের সুবিধাসমূহের পাশাপাশি আরও কিছু সুবিধা উপভোগ করা যায়। যার মধ্যে রয়েছে দ্রুত গতির ইন্টারনেট, ভিডিও কল এবং মোবাইল টিভি।

4G: 4G হল Forth Generation বা চতুর্থ প্রজন্ম শব্দটির সংক্ষিপ্ত রূপ। ফোরজি প্রযুক্তি ল্যাপটপ, স্মার্টফোন বা অন্যান্য মোবাইল যন্ত্রে মোবাইল আল্ট্রা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা প্রদান করে থাকে। ফোরজি নেটওয়ার্কে যেসব সুবিধা পাওয়া যায় সেগুলোর মধ্যে সংশোধিত মোবাইল ওয়েব সেবা, আইপি টেলিফোনি, গেমিং সেবা, হাই-ডেফিনিশন মোবাইল টিভি, ভিডিও কনফারেন্স, ত্রিমাত্রিক টেলিভিশন এবং ক্লাউড কম্পিউটিং উল্লেখযোগ্য।

এখনও পর্যন্ত দুই ধরণের ফোরজি প্রযুক্তি স্থাপিত হয়েছে: 
১. মোবাইল ওয়াইম্যাক্স (২০০৬ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম) এবং 
২. লং টার্ম ইভোলিউশন বা LTE (২০০৯ সালে নরওয়ের ওসলো এবং সুইডেনের স্টকহোমে প্রথম)

তথ্যসূত্র: 
১. https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A7%A7%E0%A6%9C%E0%A6%BF
২. https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A7%A8%E0%A6%9C%E0%A6%BF
৩. https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A7%A9%E0%A6%9C%E0%A6%BF
৪. https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A7%AA%E0%A6%9C%E0%A6%BF

Talk Doctor Online in Bissoy App