কিডনি রোগের প্রধান প্রধান লক্ষণগুলো :ক) ব্যথা : সাধারণত খুব মৃদু ব্যথা পেটেরপেছনে মেরুদণ্ডের দু’পাশে এবং পেটের মাঝখানে নাভিরকাছে। কিডনি পাথরের বেলায় ব্যথা তীব্র হতে পারে।খ) প্রায়ই মাথা ব্যথা।গ) বমি-বমিভাব এবং বমি করা। ঘ) প্রস্রাবকরতে ব্যথা এবং জ্বালাপোড়া।ঙ) বারবার প্রস্রাব হওয়া। অথবা হঠাৎ প্রস্রাবেরপরিমাণ কমে যাওয়া।চ) চুলকানি/খোস-পাঁচড়া।ছ) ক্ষুধা না পাওয়া ও ক্লান্তিবোধ করা।জ) মুখ, বিশেষত চোখের নিচে, হাত, পা অথবা সর্বশরীর ফুলে যাওয়া।ঝ) উচ্চ রক্তচাপ ও রক্ত শূন্যতা।
পৃথিবীতে অসংখ্য মানুষ ভুগছে কিডনি রোগে। কিন্তু অনেকেই এই কঠিন রোহের লক্ষণগুলো বুঝতে পারেন না। কিডনি রোগ হয়ে থাকলেও বুঝতে পারেন না। এগিয়ে যেতে থাকেন মৃত্যুর দিকে। যখন বুঝতে পারেন তখন আর সময় থাকে না। এই রোগের নির্দিষ্ট কোন বয়সসীমা কিংবা লিঙ্গভেদ নেই। তাই এই রোগের লক্ষণগুলো জেনে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আসুন জেনে নিই কিছু সাধারণ লক্ষণ: অনিদ্রায় ভোগা এই রোগের প্রথম লক্ষণ। দেহের হাত, পা, পায়ের পাতায় পানি এসে ফুলে থাকে এবং চোখের চারপাশেও ফুলে থাকা। প্রশ্রাবের সাথে রক্ত আসা কিংবা রং লাল বর্নের হওয়া। রাতে ঘন ঘন প্রশ্রাব হওয়া। দেহ ক্লান্ত ও উদাসীন লাগা। ক্ষুধা কমে যাওয়া। ঘন ঘন মাথা ব্যথা হওয়া। শরীর ও মাংসপেশি ব্যথা করা। হাই ব্লাড প্রেশার ও দেহে রক্তশূন্যতা সমস্যা। শ্বাস কষ্ট হওয়া, হার্টবিট কমে যাওয়া, চেহারা ফ্যকাশে হয়ে যাওয়া, মানসিক বিভ্রান্তি দেখা দেওয়া, কামশক্তি কমে যাওয়া, দাহের চামড়া হলুদ বর্ণের হয়ে যাওয়া কিডনি রোগের অন্যতম লক্ষণ।
কিডনি রোগে ১০টি লক্ষণ:
১. ক্লান্ত, দুর্বল: আপনার কিডনি নিস্ক্রিয় থাকলে দূষিত রক্তকে ঠিকভাবে শোধন করতে পারে না। যে কারণে আপনি সবসময় ক্লান্ত এবং দুর্বল অনুভব করতে পারেন।
২. ঘুমে সমস্যা: কিডনি যখন ঠিকঠাক ভাবে কাজ করে না তখন রক্ত ঠিকভাবে পরিশোধিত হয় না, যা আপনার ঘুমে সমস্যা তৈরি করতে পারে।
৩. ত্বক শুকনো এবং ফাটলের চিহ্ন: কিডনি যখন আপনার শরীরের মিনারেল এবং নিউট্রেশনকে নিয়ন্ত্রন করতে পারে না তখন আপনার ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় এবং অনেকক্ষেত্রে ত্বকে ফাটলের সৃষ্টি হয়। এরকম কোন লক্ষণ দেখলে আপনার উচিত কিডনি বিশেষজ্ঞের সাথে আলোচনা করা।
৪
. প্রসাবের অতিরিক্ত চাপ: আপনি যদি প্রসাবের অতিরিক্ত প্রসাবের চাপ অনুভব করেন এবং বিশেষ করে রাতে তবে এটা আপনার কিডনী রোগে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ।৫. প্রসাবে রক্ত: কিডনী যখন কার্যক্ষম থাকে তখন রক্ত পরিস্কারের সময় দূষিত পদার্থগুলোকে প্রসাবের সাথে বের করে দেয় এবং রক্তকে এর থেকে আলাদা করে। কিন্তু কিডনী যখন সঠিকভাবে কাজ করে না তখন ছাকনের সময় প্রসাবের সাথে রক্ত বের হয়ে যেতে পারে।
৬. প্রসাবে ফেনা: ডিমকে ফেটানোর সময় উপরের দিকে যেরকম ফেনার সৃষ্টি হয় আপনার প্রসাবের সময় যদি এরকমটি হয় তবে আপনার চিকিৎসকের বশবর্তী হওয়া উচিত।
৭. চোখের পাশে ফোলাভাব: আপনার চোখের পাশে যদি ফোলাভাব থাকে তবে আপনার কিডনী হয়তো প্রোটিনকে শরীরর জন্য ধরে রাখতে না পেরে প্রসাবের সাথে বের করে দিচ্ছে। শরীর থেকে অতিরিক্ত প্রোটিন নি:সরনের ফলে আপনার চোখের পাশ ফুলে যেতে পারে, যা আপনার কিডনী রোগে আক্রান্ত হওয়াকে নির্দেশ করে।
৮. পায়ের গোড়ালী এবং পাতা ফোলা: কিডনী ঠিক ভাবে কাজ না করলে শরীরে সোডিয়ামের পরিমান বেড়ে যায় এবং এরফলে আপনার পায়ের গোড়ালী এবং পাতা ফুলে যেতে পারে।
৯. ক্ষুধামন্দা: ক্ষুধামন্দা হওয়া কিডনী রোগের অন্যতম একটি লক্ষণ।
১০. পেশিতে ব্যাথা: শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি এবং ফসফরাসের নিয়ন্ত্রন ঠিকভাবে না হলে পেশিতে ব্যাথা অনুভূত হয়, যা কিডনী রোগে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ।
সূত্র: হাফিংটন পোস্ট
কিডনি রোগের প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে সাধারণত মুখ ফোলা, শরীর ফোলা, প্রস্রাব লাল হওয়া, প্রস্রাবের পরিমাণ কম হলে সাধারণত ধরে নেয়া হয়। তারপর বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে কিডনির অবস্থা ও কিডনি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। এ পর্যন্ত কিডনি আক্রান্ত রোগীদের যেসব লক্ষণ পরিলক্ষিত হয়েছে তারধারনা দেওয়া হল।লক্ষন সমূহ :ঘন ও লালচে প্রস্রাব,ঘন ঘন প্রসাবের বেগ অথবা প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায়।প্রস্রাবের সময় ব্যথা বা জ্বালা-পোড়া করা।ঘন ঘন ব্যথা ও ক্লান্তিভাব শরীর অথবা মুখে চুলকানি ও লালচে ভাব, হাত-পা অথবা মুখ ফুলে যায়।গায়ের রঙ কালো হয়ে যাওয়া। বমি বমি ভাব, ক্ষুধামন্দা, কোমর বা পিঠে ব্যথা অনুভূত হওয়া। যদি আপনার এসব যে কোনো একটি লক্ষণ থেকে থাকে তাহলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।কিডনির সুস্থতায় বছরে একবার অন্তত প্রস্রাব পরীক্ষা করা উচিত।প্রতি বছর একবার অন্তত (ক্রিয়েটিনিন) রক্ত পরীক্ষা করা উচিত।রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা পরীক্ষা করা উচিত।প্রতিদিন প্রচুর পানি খাবেন।প্রস্রাবের চাপ থাকলে, প্রস্রাব আটকে রাখবেন না।নিয়মিত ব্যায়াম ও রুটিন মাফিক চলাফেরাকরুন।বেশি টাইট কাপড় পরবেন না।