বর্তমানে ইউনিভার্সিটিতে পড়ছি।কিন্তু আমাদের ২ জনেরই একটা সমস্যা হচ্ছে। সেটা হল,আমাদের ২ জনের মনেই ইসলামী ও পরকালভীতি থাকায় বিয়ের আগে কিংবা বিয়ে ছাড়াআমরা একে অপরের সাথেমিশতে নিজেদের গুনাহগার মনে করি এবং অনেক আল্লাহ ভীতি হয় ও অনুশোচনা বোধ হয়।কিন্তু আমরা একজন আরেকজনকে না দেখে, না কথা বলে, না মিশে একদমি থাকতে পারি না। কোন কাজ করতে পারি না। সারাক্ষণ প্রচন্ড অস্থিরতা কাজকরে।এমতাবস্থায় আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম যে আমরা যেহেতু বালেগ এবং ২ জনেরই বিয়ের বয়স আছে সেহেতু আমরাযদি কাউকে না জানিয়েশুধু প্রয়োজনীয় সাক্ষী নিয়ে ইসলামী নিয়মঅনুযায়ী কালিমা পড়ে বিয়ে করিতাহলেতো আমাদের কথাবার্তায়,মেলামেশায়­ গুনাহ হবে না।কিন্তু বিষয়টা আমরা কাউকে জানাতে চাচ্ছি না। আমাদের আত্মনির্ভরশীল হতে ও উভয়ের পরিবারকে রাজি করাতে আর ৪-৫ বছর লাগবে। যখন পরিবার রাজি হয়ে আমদের সামাজিক ও পারিবারিকভাবে বিয়েদিয়ে আমার স্ত্রীকে ঘরে তুলে নিতে রাজি হবে…তখন তাদের মনরক্ষার জন্য এবং আমাদের বিয়ের বিষয়টা লুকানোর জন্য আমরা চুপচাপ আবার বিয়ে করব।এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে,১) ইসলামী ও পরকালের ভীতি থাকার কারনে, গুনাহগার না হওার জন্য কাউকে না জানিয়ে বিয়ে করাটা কতটুকু জায়েজ হবে?২) একই পাত্র-পাত্রী স্বামী-স্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও আগের বিয়ের কথা লুকিয়ে বাবা-মা,পরিবার,সমাজে­র মন রক্ষার জন্য পুনরায় বিয়ে করা যাবে? কিংবা এতে কি কোন গুনাহ হবে? কিংবা এটা কি জায়েজ হবে?৩) আমাদের এইসিধান্ত কি নেয়া যাবে? কিংবা এই পরিস্থিতিতে আমাদেরজন্য সবচেয়ে কোন সিদ্ধান্ত ভালো হবে?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
arif900822

Call

আপনার সমস্যা দেখে খুশি হলাম। কারন এর মাধ্যমে আপনি পাপমুক্ত হতে চাচ্ছেন। বিবাহ ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ন বিধান। এর মাসলামাসায়েল ব্যপক। বিয়ে সম্পর্কে সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষক হযরত মুহাম্মদ সাললাললাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম বলেছেন “ দুনিয়ার সব কিছুই (ক্ষনস্থায়ী) সম্পদ,তবে সব সম্পদের তুলনায় সতী-সাধ্বী রমণীই হলো সর্বোত্তম সম্পদ। মুসলিম শরীফ।
তো আপনারা যেহেতু বালেগ সুতরাং আপনারা বিবাহ করতে পারেন। ইসলামী নিয়মে বিবাহের জন্য দুটি বিষয় লাগে। যথা:
1. ইজাব[প্রস্তাব]।
2. কবুল[গ্রহন]

আপনাদের মধ্যে যে কোন একজন তার ওলী তথা নির্ভরশীল এর মাধ্যমে প্রস্তাব পাঠাবে এবং অন্যজন যদি তা গ্রহন করে তাহলে সাক্ষী উপস্থিত থাকা শর্তে আপনাদের বিবাহ হয়ে যাবে। সরাসরি একজন আরেকজনকে প্রস্তাব পাঠাতে পারবে না। এছাড়াও বিবাহতে আরো কিছু সুন্নত রয়েছে। ইজাব ও কবুল হওয়ার পর আপনারা একজন আরেক জনের জন্য হালাল।
আরো কিছু শর্ত বিবাহে থাকতে হবে:
1. কণে ইসলামিকভাবে যোগ্য হতে হবে। যেমন অমুসলিম হওয়া যাবে না।
2. উভয়পক্ষ পরস্পরের শব্দ শ্রবণ করতে হবে।
3. দু’জন স্বাধীন পুরুষ বা একজন স্বাধীন পুরুষ ও দু’জন স্বাধীন নারীর সাক্ষী হওয়া

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

বিয়ে মুসলমানদের জন্য ফরজ। এ বিষয়ে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, “আর তোমরা তোমাদের মধ্যে অবিবাহিত নারী-পুরুষদের বিবাহ দাও।” [সূরা নূর, ২৪:৩২] তবে আধুনিক যুগে অনেক তরুণ-তরুণীকেই দেখা যায়, তারা বাবা-মাকে না জানিয়ে নিজের ইচ্ছে মতো বিয়ে করে থাকে। তরুণ-তরুণীদের এই ধরণের বিয়ে ইসলামের দৃষ্টি কোন থেকে কি বৈধ? অনেকেই তা জানে না। তরুণ-তরুণীদের এরূপ লুকিয়ে বিয়ে করার বিষয়ে মহানবী (সা.) স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিয়েছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:“যে নারী তার অভিভাবকের (বাবা-মা কিংবা বড়ভাই এক কথায় অবিভাবক) অনুমতি ছাড়া বিয়ে করবে তার বিবাহ বাতিল, তার বিবাহ বাতিল, তার বিবাহ বাতিল।” [হাদিসটি তিরমিযি (১০২১) ও অন্যান্য গ্রন্থকার কর্তৃক সংকলিত এবং হাদিসটি সহীহ] মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর এই ব্যাখ্যায় স্পষ্টই প্রমানিত যে, বাবা-মা কিংবা অভিভাবকদের বিনা অনুমতিতে পালিয়ে বিয়ে করাকে ইসলাম সমর্থৃন করে না। নবীজী (সা.) এই রূপ বিয়েকে সরাসরি বাতিল বলে অ্যাখ্যায়িত করেছেন, সুতারাং এই বিয়ে হারাম এবং অবৈধ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ