যখন মাথা কোনো কাজ করবে না চারদিক শুধু অসহ্য লাগবে তখনই বুজবেন আপনি মারাত্বক টেনশনে আছেন। খুব টেনশন হলে বুকের ভেতরে গভীর শ্বাস টেনে নিন। রক্তে পর্যাপ্ত অক্সিজেন ঢুকলে মস্তিষ্ক উজ্জীবিত হয়, মাংসপেশি শিথিল হয় এবং মন ঠাণ্ডা হয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

টেনশনের মূল হচ্ছে অজানা ভয় বা আশঙ্কার উৎস, যার ফলে মনে জন্মলাভ করে অস্বস্তিকর বা নেতিবাচক অনুভূতি। কিছু উদাহরণ দেয়া যায় যেগুলো টেনশন সৃষ্টি করে। যেমন ডিভোর্স, জেল-জরিমানা, আহত বা অসুস্থ হওয়া, বেকারত্ব বা চাকরি চলে যাওয়া, গর্ভধারণ, বিবাহ, আর্থিক ক্ষতি ইত্যাদি। টেনশন মূলত দুশ্চিন্তারই রকমফের। যে কোন দুশ্চিন্তা পারিপার্শ্বিকতার উপর নির্ভর করে। দুশ্চিন্তার উৎস হলো দ্বন্দ্ব। এই দ্বন্দ্ব তার মনের ভেতরে এক ধরনের চাপ সৃষ্টি করে। এই চাপ তখন টানটান এক অবস্থার সৃষ্টি করে। টেনশন অনেকসময় খুব গভীর অবচেতনের স্তর থেকে উৎপাদিত হয়। ক্রমে সেই টেনশন গভীর এক দুশ্চিন্তায় পরিণত হয়। মাথা, ঘাড়, কাঁধ বা বুকে ব্যথা, বুক ধরফর করা, বুকে চাপ অনুভব করা, ঘন ঘন প্রশ্রাব হওয়া, মেয়েদের মাসিকের গন্ডগোল, হাট-পা কাঁপা ইত্যাদি ভেতরের গভীর টেনশনের বাইরের রূপ। অনেক গবেষক বলেন, সামান্য টেনশন থাকা নাকি ভাল, তবে সেটি অবশ্যই ইতিবাচক হতে হবে। যেমন স্কুল-কলেজের পরীক্ষার আগে সামান্য টেনশন ছাত্রদেরকে পড়াশুনায় মনোযোগী হতে সাহায্য করে। টেনশন হলে কী করবেন খুব গভীর অবচেতনের দ্বন্দ্ব থেকে উৎপাদিত টেনশন যা দুশ্চিন্তায় পরিণত হয় এবং প্রায় সারাক্ষণ আপনাকে অন্যমনষ্ক করে রাখে সেটা ছাড়া অধিকাংশ টেনশন নিয়ে টেনশন করার কোন প্রয়োজন নেই। যে কারণে টেনশন তার যুক্তিসঙ্গত সমাধান বের করার চেষ্টা করুন। নিজের মন ও শরীরকে নমনীয় করার চেষ্টা করুন। ব্যায়াম, ইয়োগা, প্রার্থনা, ডাক্তারের পরামর্শ, টেনশন কমাবার সামান্য ওষুধ দিয়েই অধিকাংশ টেনশন কমানো যায়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ