শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
AbdulHalim

Call

মুখের দুর্গন্ধ দূর করার উপায়: ∙ নিয়মিত মুখের পরিচর্যা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মুখের ভেতর খাবারের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণা যেন লেগে থাকতে না পারে সে জন্য প্রতিবার খাবারের পর অবশ্যই দাঁত মেজে মুখ পরিষ্কার করুন। জিহ্বাও পরিষ্কার করুন সেই সঙ্গে। মাউথওয়াশও উপকারী। ∙ ঘন ঘন পানি বা অন্য কোনো তরল পানীয় পান করুন। এতে কিছু খাবারের কণা ধুয়ে যাবে। দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী গ্যাস ধুয়ে যাবে। মুখ পরিষ্কার থাকবে। ∙ মুখের লালা সহায়তা করে খাদ্যকণা, জীবাণু ও দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী গ্যাস ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করতে। মুখে লালা তৈরি করতে লবঙ্গ, আদা, চুইংগাম (চিনিমুক্ত হলে ভালো) ইত্যাদি চিবোতে পারেন। ∙ বাইরে লোকসমাগমে যাওয়ার আগে কাঁচা পেঁয়াজ, রসুন ইত্যাদি খাবার পরিহার করুন। ∙ ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার করুন। ∙ নিয়মিত মুখ ও দাঁতের চেকআপ করুন। ∙ দাঁত ও মাড়ির ইনফেকশন, সাইনোসাইটিস, টনসিলাইটিস, শ্বাসনালির ইনফেকশন, ফুসফুসের ইনফেকশন, লিভারের অসুখ, ডায়াবেটিসের জটিলতা—এসবের কোনোটির কারণে মুখে দুর্গন্ধ হয়ে থাকলে তার চিকিৎসা নিন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

মুখের বাজে গন্ধ দূর করতে বেকিং সোডা খুব কার্যকর। ১। বেকিং সোডা দিয়ে ব্রাশ করুন , কারণ বেকিং সোডা আমাদের মুখের ভেতরের এসিডিটি সমস্যা দূর করে ও ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। ২। কুসুম গরম পানির সাথে বেকিং সোডা মিশিয়ে সেই পানি দিয়ে কুলি করুন। এই উপায়েও মুখের গন্ধ দূর হয়। দারুচিনি দারুচিনিতে আছে একটি বিশেষ তেল যার নাম সিনামিক এলডেহাইড যা মুখের দুর্গন্ধ রোধ করতে সাহায্য করে পাশাপাশি মুখের ভেতরের ব্যাকটেরিয়াও রোধ করে। ১। একগ্লাস কুসুম গরম পানিতে দারুচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে তা ফুটিয়ে নিন। তারপর হালকা ঠাণ্ডা করে সেই পানি দিয়ে কুলি করুন। প্রতিদিনের ব্যবহারে মুখের দুর্গন্ধ সমস্যা রোধ হবে। লেবু মুখের দুর্গন্ধ রোধ করার জন্য লেবু এর ব্যবহার যুগ যুগ ধরেই করা হচ্ছে। লেবুর কার্যকরী ভিটামিন উপদান মুখের মাড়ি, দাঁত ও জিভের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। একগ্লাস কুসুম গরম পানির সাথে পুরো একটি লেবুর রস মিশিয়ে নিন। তারপর এই লেবুপানি দিয়ে কুলি করে নিন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগেও লেবুপানির সাথে সামান্য এক চিমটি লবণ মিশিয়ে কুলি করে নিন। এই নিয়মটি মুখের দুর্গন্ধ তো রোধ করবেই এবং দুর্গন্ধ হওয়ার একমাত্র কারণ মুখের ভিতরে শুষ্ক হয়ে থাকার সমস্যাও রোধ করবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
HarryPotter

Call

কথা বলার সময় অনেকের মুখ থেকে বেশ দুর্গন্ধ বের হয়। আপাতদৃষ্টিতে মুখটা হয়তো পরিষ্কার, দাঁতগুলো ঝকঝকে। তার পরও গন্ধটা বেরোয় মুখ থেকে। ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশের ক্ষেত্রে এ দুর্গন্ধটা সুস্থ ও স্বাভাবিক মুখের ভেতরেই উৎপন্ন হয়। কোনো কোনো অসুখেও মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। দাঁত ও মাড়ির ইনফেকশন, সাইনোসাইটিস, টনসিলাইটিস, শ্বাসনালির ইনফেকশন, ফুসফুসের ইনফেকশন, লিভারের অসুখ, ডায়াবেটিসের জটিলতা ও যেকোনো জ্বর হলে মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। আমাদের মুখে স্বাভাবিকভাবেই বসবাস করে হাজারো ব্যাকটেরিয়া। এ জীবাণুগুলোর বেশির ভাগই থাকে খসখসে জিহ্বার পেছনের অংশের উপরিভাগে, দাঁত ও মাড়ির ফাঁকে ফাঁকে। আমরা যে খাবার খাই, সে খাবারের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণা জিহ্বার উপরিভাগে আর দাঁত ও মাড়ির ফাঁকে ফাঁকে লেগে থাকে। মুখের ভেতরে বসবাসরত জীবাণু বেঁচে থাকে এসব খাদ্যকণা খেয়ে। জীবাণুগুলো যখন এসব খাদ্যকণা খেতে থাকে, তখন খাদ্যকণা ভেঙে দুর্গন্ধযুক্ত গ্যাস উৎপন্ন হয়। এই গ্যাস কথা বলার সময় দুর্গন্ধ হয়ে বেরিয়ে আসে। দুর্গন্ধটা হতে পারে সাময়িক। অল্পক্ষণ থাকে, কিছু খাওয়ার পর বা পান করার পর বা দাঁত মেজে মুখ ধোয়ার পর গন্ধটা চলে যায়। রসুন, পেঁয়াজ, মুলা খাওয়া কিংবা ধূমপান, মদ্যপান ইত্যাদির পর মুখে সাময়িক দুর্গন্ধ লেগে থাকতে পারে। কিন্তু প্রায় ২৫ শতাংশ ক্ষেত্রে মুখের দুর্গন্ধটা হয় দীর্ঘস্থায়ী। দুর্গন্ধটা দিনের বিভিন্ন সময় কমবেশি হতে পারে। সাধারণত ঘুমের পর এটা বৃদ্ধি পায়। ঘুমের সময় মুখ বন্ধ থাকে বলে মুখ কম অক্সিজেন পায়। আর যদি মুখ খোলা থাকে, তবে জিহ্বা হয়ে যায় অপেক্ষাকৃত শুষ্ক। কম অক্সিজেনযুক্ত কিংবা শুষ্ক পরিবেশে মুখের ভেতরে বাস করা জীবাণুগুলো মুখে অবস্থিত খাদ্যকণা ভাঙে বেশি। সুতরাং দুর্গন্ধও হয় বেশি। দুর্গন্ধটা অনেক সময়ই ভীষণ বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বিরক্তি লাগে নিজের কাছে। কাছাকাছি যাঁরা থাকেন তাঁদেরও। ব্যক্তিগত সমস্যার পাশাপাশি এটি সামাজিক সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। বন্ধুবান্ধব বা সহকর্মীর সামনে কথা বলতে ইতস্ততবোধ হয়। কথা হয় নিচু স্বরে। কথা বলতে গিয়ে যদি মুখের দুর্গন্ধটা বের হয়ে যায়! লজ্জার ব্যাপার, বিব্রতকর পরিস্থিতি। মুখের দুর্গন্ধ দূর করাটা তখন জরুরি হয়ে ওঠে। মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে নিচের পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা যেতে পারেঃ - নিয়মিত মুখের পরিচর্যা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মুখের ভেতর খাবারের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণা যেন লেগে থাকতে না পারে সে জন্য প্রতিবার খাবারের পর অবশ্যই দাঁত মেজে মুখ পরিষ্কার করুন। জিহ্বাও পরিষ্কার করুন সেই সঙ্গে। মাউথওয়াশও উপকারী। - ঘন ঘন পানি বা অন্য কোনো তরল পানীয় পান করুন। এতে কিছু খাবারের কণা ধুয়ে যাবে। দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী গ্যাস ধুয়ে যাবে। মুখ পরিষ্কার থাকবে। - মুখের লালা, খাদ্যকণা, জীবাণু ও দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী গ্যাস ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করতে সহায়তা করে। মুখে লালা তৈরি করতে লবঙ্গ, আদা, চুইংগাম (চিনিমুক্ত হলে ভালো) ইত্যাদি চিবোতে পারেন। - বাইরে লোকসমাগমে যাওয়ার আগে কাঁচা পেঁয়াজ, রসুন ইত্যাদি খাবার পরিহার করুন। - ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার করুন। - নিয়মিত মুখ ও দাঁতের চেকআপ করুন। - দাঁত ও মাড়ির ইনফেকশন, সাইনোসাইটিস, টনসিলাইটিস, শ্বাসনালির ইনফেকশন, ফুসফুসের ইনফেকশন, লিভারের অসুখ, ডায়াবেটিসের জটিলতা—এসবের কোনোটির কারণে মুখে দুর্গন্ধ হয়ে থাকলে তার চিকিৎসা নিন। ধন্যবাদ

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

মুখের দুর্গন্ধ দু'রকমের হতে পারে। স্বল্পস্থায়ী এবং দীর্ঘস্থায়ী। স্বল্প সময় ধরে থাকা মুখের দুর্গন্ধ নিয়ে খুব একটা দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। এসময় সামান্য কষ্ট করলেই আপনি দুর করতে পারেন এই ঝামেলাটাকে। সেগুলো হল: খানিকটা পানি পান করা, দাঁত ব্রাশ করা, চিনিবিহীন মিন্ট চকোলেট বা চুইঙ্গাম খাওয়া। কিন্তু এটা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং সমস্যায় পরিণত হয়ে থাকে তাহলে নিচের কাজগুলো আপনাকে ভালো ফল দিতে পারে। যেমন- ব্রাশ করার: দিনে দু'বার ( সকালে ও রাতে) কমপক্ষে দুই মিনিটের জন্য ব্রাশ করা। ব্রাশ করার সময় কিছু ব্যাপার মাথায় রাখতে হবে। যেমন ডক্টরের পরামর্শ অনুযায়ী ব্রাশ ব্যবহার করা, প্রতি তিন-চার মাস অন্তর ব্রাশ বদলে ফেলা, মুখের প্রতিটি কোনায়, বিশেষ করে মাড়িতে ভালোভাবে ব্রাশ করা, জুস খাবার ৩০ মিনিটের মধ্যে ব্রাশ না করা, প্রয়োজন পড়লে জীহ্বা পরিষ্কার করার জন্য টাঙ ক্লিনার ব্যবহার করা ইত্যাদি। দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী খাবার পরিহার: যেসব খাবার মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া উৎপাদন করে সেগুলোকে এড়িয়ে চলা। নিয়ম মেনে খাওয়া। যেমন- এলকোহল, সিগারেট, পেয়াজ, রসুন, মাছ ইত্যাদি। বেশি বেশি পানি পান: দিনে অন্তত ৮ গ্লাস পানি পান করা। পানি জীহ্বাকে নরম হতে এবং এর ওপরে খাবার থেকে জন্ম নেওয়া ব্যাকটেরিয়াগুলোকে দুর করতে সাহায্য করে। শুষ্ক খাবার পরিহার: মুখকে শুষ্ক করে দেয় এমন খাবার যেমন- কফি, চা ইত্যাদি পরিহার করা। স্নেহজাতীয় খাবার পরিহার: ডেইরি পন্য, যেমন- দুধ, ডিম এবং স্নেহজাতীয় খাবার মুখের এ্যাসিডিটির পরিমাণ পরিবর্তন করে ব্যকটেরিয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি করে। তাই এগুলোও এড়িয়ে চলা। শক্ত জাতীয় খাবার খাওয়া: পেয়ারা এবং এই জাতীয় শক্ত খাবার খাওয়া। এগুলো মুখ পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। পানি ছাড়া অন্য কিছু পান করার পর কুলি করে নেওয়া।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ