প্রচলিত মীলাদের আবিষ্কারই হয়েছে ৬০৫ মতান্তরে ৬২৫ হিজরীতে। যা বিদ‘আত হওয়ার ব্যাপারে চার মাযহাবের প্রায় সকল বিদ্বান একমত। এমনকি উপমহাদেশের মুজাদ্দিদে আলফে ছানী, আল্লামা হায়াত সিন্ধী, রশীদ আহমাদ গাংগোহী, আশরাফ আলী থানভী, মাহমূদুল হাসান দেউবন্দী, আহমাদ আলী সাহারানপুরী প্রমুখ ওলামায়ে কেরাম সকলে এক বাক্যে প্রচলিত মীলাদ অনুষ্ঠানকে বিদ‘আত ও গুনাহের কাজ বলেছেন। সেখানে বর্তমান যুগের কিছু লোক মীলাদকে প্রকারান্তরে ফরয (?) প্রমাণ করার জন্য গলদঘর্ম হচ্ছেন। দেখুন, রাসূল (ছাঃ) ও খুলাফায়ে রাশেদীনের জীবনীই বড় প্রমাণ যে, সেযুগে মীলাদ-কিয়ামের কোন অস্তিত্ব ছিল না। ইমাম মালেক (রহঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও তাঁর ছাহাবীগণের সময়ে যে সব বিষয় ‘দ্বীন’ হিসাবে গৃহীত ছিল না, বর্তমান কালেও তা ‘দ্বীন’ হিসাবে গৃহীত হবে না। যে ব্যক্তি ধর্মের নামে ইসলামে কোন নতুন প্রথা চালু করল, অতঃপর তাকে ভাল কাজ বা ‘বিদ‘আতে হাসানাহ’ বলে রায় দিল, সে ধারণা করে নিল যে, আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) স্বীয় রিসালাতের দায়িত্ব পালনে খেয়ানত করেছেন’ (আল-ইনছাফ, পৃঃ ৩২)।
মিলাদ কে রাসুল (সাঃ) এর জীবনী আলোচনা অর্থে ব্যবহার করা হয়। কিয়াম অন্য জিনিস। বর্তমানে মিলাদের মধ্যে খাজা বাবা, পীর বাবা, মুর্শিদ বাবা, বাবা জান, এসব নাম করে সুর করে পড়ে থাকেন। হয়তো তাদের কাছে যুক্তি আছে।যারা এরকম দরবারে যায়না তাদের কাছে ভিন্ন অর্থ আছে। রাসুল সাঃ এর আগমনে আরবের লোকেরা সুর করে পরত “ ইয়া নবী সালামুআলাইকা, ধোপ জাতীয় বাদ্য যন্ত্র ব্যবহার করতো” “দি ম্যাসেস অব গড” ইরানী ডকুমেন্টারী ফিল্মে দেখা যায়। সূরা আল ইমরান এর তাফসীরে রাসুল (সাঃ) বলেছেন, যে টুক বুঝতে পার তার আমল কর। না বুঝলে বিশ্বাস কর।তাফসীরে ইবনে কাসীর-4,5,6,7 খন্ড 17 পৃষ্ঠা.