শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

বাংলাদেশের অধিকাংশ বন্ধ্যা মহিলা ভুগে থাকেন পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোমে। এই রোগের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট হলো, অনিয়মিত ঋতুশ্রাব, অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়া এবং শরীরের বিভিন্ন অংশ বা মুখমণ্ডলে অতিরিক্ত লোম জন্মাতে থাকা।এই সব রোগীদের অনেকেরই খাবার গ্রহণের তুলনায় ওজন দ্রুত বাড়তে থাকে। অনেকের চুল পাতলা হয়ে যায়, আবার কারো কারো গলায় ও ঘাড়ে চামড়া কালো হতে থাকে। অনেকের মধ্যে বিষন্নতা ভর করে এবং মুখে ব্রণ দেখা দেয়। স্বাভাবিক অবস্থায় একজন মহিলার ঋতুশ্রাব শুরু হলে তার ওভারি গুলোতে অজস্র ডিম্বানু তৈরী শুরু হয়। অনেক ডিম্বানু তৈরী শুরু হলেও প্রকৃতির নিয়মে কেবল মাত্র একটি ডিম্বানু বড় হয় এবং মধ্য মাসিকের সময় ডিম্বানু টি ওভারি থেকে বেরিয়ে পাশের ফাল্যপিয়ান টিউব এ প্রবেশ করে। একে বলা হয় ওভুলেশন। কিন্তু পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম এর রোগীদের ডিম্বানু পরিপক্ক হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় হরমোন ওভারি থেকে আসে না। ফলে অনেক ডিম্বানু তৈরী শুরু হলেও একটি ডিম্বানু বড় হয়ে ওভুলেশন হয় না। এই ডিম্বানু গুলো ছোট আকারে রয়ে যায়। যার কারণে এই রোগের নাম পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম। ওভুলেশন না হওয়াতে প্রজেস্ট টেরন নামক হরমোন তৈরি হয় না। অথচ টেস্টস টেরন নামক পুরুষ হরমোন তৈরি হয়। এতে মেয়েটির মাসিক অনিয়মিত হয়ে যায় এবং শরীর বা মুখমণ্ডলের লোমের অত্যধিক বৃদ্ধি হতে থাকে। হরমোন এর ভারসাম্য হীনতা এবং ফাস্টিং ইন্সুলিন বেড়ে যাবার কারণে মেয়েটির ওজন উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেতে থাকে। আর ওভুলেশন না হলে স্বভাবতই মেয়েটির মাসিক অনিয়মিত হয়ে যায় এবং তার বন্ধাত্বের সমস্যা দেখা দেয়। পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম এর চিকিৎসা নির্ভর করবে রোগীর বয়স এবং চাহিদা অনুযায়ী। এই রোগ থাকলে অনেকের বাচ্চা হতে সমস্যা হতে পারে। কিন্তু তার সমাধান এখন আমাদের দেশে ডাক্তরের কাছে আছে। পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম নিরাময় করা যায় না, তবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এসব রোগীদের সঠিক চিকিৎসা দিতে পারলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা খুবই ভালো।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ