শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
shohanrand1

Call

যখন কোন ব্যক্তি তাওবার যাবতীয় শর্তপূরণ করে খালেসভাবে আল্লাহর দরবারে তাওবা করেন এবং গুনাহ মাপ চান, তখন আল্লাহ তা’আলা অবশ্যই তার তাওবা কবুল করেন এবং তাকে ক্ষমা করে দেন। তবে যখন কোন ব্যক্তি তাওবা করে, তার তাওবা কবুল হল কিনা তার কিছু আলামত আছে। যেমন-

এক- তাওবা করার পর লোকটির মধ্যে পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়। যেমন, সে এখন পূর্বের যে কোন সময়ের তুলনায় অধিক নম্র, ভদ্র ও নমনীয়,  পূর্বের তুলনায় অধিক নেক আমল করে, খারাপ সঙ্গীদের সাথে মিশে না, আলেম ওলামা ও ভালো লোকদের সাথে উঠা-বসা করে এবং গুনাহের কর্ম ও পাপাচার থেকে দূরে থাকতে চেষ্টা করে।

দুই- সব সময় আল্লাহর পাকড়াও ও আযাবের ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত থাকে। এক মহুর্তের জন্যও সে আল্লাহর পাকড়াও থেকে নিজেকে নিরাপদ মনে করে না। সে মনে করে যে কোন সময় আল্লাহ আমাকে পাকড়াও করতে পারে। মৃত্যুর পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত আল্লাহর ভয় তার অন্তরে বিদ্যমান থাকে। তার ভয় তখন দূর হয়, যখন মৃত্যুর ফেরেস্তা এসে তাকে বলে-

 ﴿أَلَّا تَخَافُواْ وَلَا تَحۡزَنُواْ وَأَبۡشِرُواْ بِٱلۡجَنَّةِ ٱلَّتِي كُنتُمۡ تُوعَدُونَ ٣٠﴾ [فصلت:٣٠]

‘তোমরা ভয় পেয়ো না, দুশ্চিন্তা করো না এবং সেই জান্নাতের সু-সংবাদ গ্রহণ কর তোমাদেরকে যার ওয়াদা দেয়া হয়েছিল’।

তিন- লোকটি সব সময় ইতিপূর্বে যে সব অপরাধ করেছে, তার উপর অত্যন্ত লজ্জা অনুভব করতে থাকে। সে সব সময় আফসোস করতে থাকে আর বলতে থাকে-  হায় এ অন্যায় কাজটি আমি কেন করলাম! আমি যদি এ কাজটি না করতাম!  কতই না ভালো হত! কারণ যে ব্যক্তি দুনিয়াতে তার অপকর্মের উপর লজ্জিত হবে না এবং আফসোস করবে না, আখেরাতে যখন সে আল্লাহর নেক বান্দাদের আমলের সাওয়াব ও বিনিময় এবং অবাধ্য বান্দাদের শাস্তি দেখতে পাবে, তখন সে লজ্জিত হবে এবং আফসোস করবে। কিন্তু তখন তার লজ্জা ও আফসোস কোন কাজে আসবে না।

وصلى الله على عبده وسوله سيدنا محمد وآخر دعوانا أن ا لحمد لله رب العالمين.

সমাপ্ত


[1] [সূরা হুজরাত, আয়াত: ১১]

[2] মুসলিম, হাদিস: ২৭৪৪, জামে সহীহ: ৩৬৮/৪

[3] সূরা নূর, আয়াত: ৩১

[4] তিরমিযি, হাদিস: ১৯৭২

[5] [মুসলিম, হাদিস: ২৫৪৩]

[6][6] জামে সহীহ, হাদিস নং: ৬৮০২, আহমদ ও ইবনে মাজাহ

[7] তিরমিযি, হাদিস : ২৩২৫

[8] সূরা যুখরফ, আয়াত: ৬৮

[9] জামে সহীহ, হাদিস: ৬১৩২

[10] মুসলিম: ২৭০৩

[11] ইবনু মাযা: ৪০২২,

[12] বুখারি, হাদিস: ২০৬৯ মুসলিম, হাদিস: ২৯৯০

[13] বুখারি, হাদিস: ৬৩০৮

[14][14] সুরা ফাতির, আয়াত: ১০

[15] সূরা মুতাফফেফীন, আয়াত: ১৪

[16] তিরমিযি, হাদিস: ৩৩৩৪, আহমদ, হাদিস: ৭৯৫২

[17] সূরা তাহরীম, আয়াত: ৮

[18] মুসলিম, হাদিস: ২৭৫৯

[19] বুখারি : ৫৩৫৫

[20] বুখারি, হাদিস: ৩৬০৮

[21] বর্ণনায় আহমদ, জামে সহীহ, হাদিস: ২৬৮৬-২৬৮৭

[22] সূরা আল হিজর, আয়াত: ৫০

[23] সূরা শোরা, আয়াত: ২৫

[24] সূরা গাফের, আয়াত: ৩

[25] সূরা নিসা, আয়াত: ১১০

[26] তিরমিযি: ৩৫৪০

[27] বুখারি, ৭৪০৫

[28] [বুখারী, ৩৪৭০ ও মুসলিম, ৭২৬৬]

[29] মুসলিম: ১২১

[30] বুখারি: ৩০৮

[31] সূরা আল-ফুরকারন, আয়াত: ৬৮-৭০

[32] [সূরা যুমার: ৫৩]

[33] [সূরা বাকারাহ, আয়াত: ২২২

[34] সূরা নূর, আয়াত: ৩১

[35] [সূরা আল-ফুরকান: ৭০]

[36] বুখারি: ১২৩

[37] সূরা হুদ, আয়াত: ৩

[38] সূরা হুদ, আয়াত: ৫২

[39] সূরা হুদ, আয়াত: ৬১

[40] বর্ণনায়, আহমদ: ২২৩৪

[41] [সূরা যুমার, আয়াত: ৫২, ৫৩]

[42] তিরমিযি, ৩৫৪০

[43] সূরা যুমার, আয়াত: ৫২

[44] সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৭৩

[45] আহমদ: ১৯৭১৯ আবু দাউদ: ১৫৩৭

[46] সূরা নূর, আয়াত:১৭

[47] [সূরা শুআরা, আয়াত: ৮৭,৮৯]

[48] আহমদ: ১৬২

[49] (সূরা আলে ইমরান: ১৩৫)

[50] মুসনাদে আহমদ: ২৬৮৮৭

____________________________________________________________________________________________________________

সংকলন: জাকের উল্লাহ আবুল খায়ের

সম্পাদনা: ড. মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহী

সূত্র: ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ, সৌদিআরব

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ