বঙ্গবন্ধু সেতু যদি সরলরেখার মত করে বানানো হত তাহলে অনেক কম রড, সিমেন্ট, বালি ও অন্যান্য সামগ্রীর প্রয়োজন হত। ফলে কম খরচ পড়ত। কিন্তু তা সত্তেও এটি বাঁকা করে নির্মাণ করা হয়েছে। এর কারণ কি? এটি সোজা করে বানালে কি কি সমস্যা হতে পারত?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

বঙ্গবন্ধু সেতু বাঁকা করে নির্মান করে বানানোর কারন হল, ভারসাম্য রক্ষা করা। ভারসাম্য রক্ষা করতে এটি বাঁকা করে নির্মান করা হয়েছে। লম্বা সেতু হলে ভারসাম্য রক্ষা করতেও অনেক খুঁটির দরকার হত। তাই সৌন্দর্য ও ভারসাম্য রক্ষা দুটোই মাথায় রেখে বঙ্গবন্ধু সেতু বাঁকা করে নির্মাণ করা হয়েছে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ১. সেতুটিকে স্রোতের বিপরীতে অধিক চাপ (স্রোতের) সহনশীল এবং ২. বড় মাত্রার ভূমিকম্প সহনশীল করে গড়ে তোলার জন্য। এছাড়াও সাধারণ সেন্সে আরও কিছু কারণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যেমন জোর সম্ভাবনা রয়েছে যে ১. দু’পাড়ের একই স্থানে সেতুটির সাথে মূল সড়কের সংযোগ-রাস্তা তৈরির জন্য উপযুক্ত গঠনবিশিষ্ট মাটি পাওয়া যায়নি। ২. উভয়পাড়ে মূলসড়ক (যে সড়কের সাথে সেতু সংযুক্ত হবে) একই সরলরেখায় নয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
GksBijoy

Call

এই সেতু বাকানোর প্রধান কারণ হলো........ কাঠামোতে ৩ধরনের লোড কাজ করে, ১ কাঠামোর নিজস্বলোড, ২ যানবাহনের ওজন, ৩ ইনভায়রমেন্টাল(পারিপাশ্বিক লোড)। ক) এখানে যানবাহন পারহওয়ার সময় ব্রিজের ওপর এক প্রকার কম্পনজনিত লোড ও বেগের গতি জনিত কম্পন উৎপন্ন হয়। সেতুটি যদি সোজা হতো তাহলে আনেক আগেই সেটি ভেঙ্গেযেতো। খ) সেতুটির মোমেন্ট ঠিক রাখার জন্য, ও অধিক পরিমাণে শিয়ার প্রতিরোধ করার জন্য মাধখানে ধনুকের ন্যায় বাকানো হয়। এর ফলে বন্যার সময় পানির অধিক চাপেও পিলার গুলো সেতুর কাঠামোতে ধরে রাখতে সক্ষম হয়। গ) পানির নিচে মাটির চাপ সব জায়গাতে সমান থাকেনা, সেই দিকটা বিবেচনা করা হয়। ঘ) যদি কখনো সেতুর কোন অংশ ভেঙ্গেযায় তাহলে সেটা দুর থেকে দেখা যাবে. এর ফলে অনেক বড় দুরঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। ঙ) যান বাহনের লোডগুলো সঠিক ভাবে প্রতিটা পিলারে আরোপিত হয়। চ) এখানে সৌন্দয্য বড় কথা না, এবং সেতুকে বেশিদিন টিকে থাকতে হলে সেতু বাকা করতে হবে। আর সেই জন্য রড় সিমেন্ট বেলি লাগলেও কোন কিছু করার নেই।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
বঙ্গবন্ধু সেতু যদি সরলরেখার মত করে বানানো হত তাহলে অনেক কম রড, সিমেন্ট, বালি ও অন্যান্য সামগ্রীর প্রয়োজন হত। ফলে কম খরচ পড়ত। কিন্তু তা সত্তেও এটি বাঁকা করে নির্মাণ করা হয়েছে।

আর্কিটেক্টদের মতে, সেতু বাঁকা হওয়ার কার নিম্মরূপঃ-

১/ নদীর দুই পাড়ের রাস্তার সাথে সংযুক্ত হওয়ার প্রশ্নে সেতু বাঁকা হয়।

২/ সেতুটির দূরত্ব কমানোর সবার্থে বাঁকা হয়।

৩/ মাটির গুনগত মান ভালো রাখার প্রশ্নে সেতু বাঁকা হয়।

৪/ নদীর স্রোতের গতি প্রকৃতি বিবেচনায় সেতু বাঁকা হয়। এছাড়া সেতুর দুই প্রান্তের তুলনায় মধ্যবর্তী স্থান উচু হয়, নৌপথে নৌ চলাচলের সুবিদার্থে।

বঙ্গবন্ধু সেতু বাঁকা করে নির্মান করে বানানোর কারন হল, ভারসাম্য রক্ষা করা। ভারসাম্য রক্ষা করতে এটি বাঁকা করে নির্মান করা হয়েছে। লম্বা সেতু হলে ভারসাম্য রক্ষা করতেও অনেক খুঁটির দরকার হত। সরলরেখা বরাবর সেতু করতে গেলে খুটির পরিমান হ্রাস পেত। কারণ সেতুটি সরলরেখায় হলে তার  দৈর্ঘ্য আরো কম হতো। 

বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো :

১. সেতুটিকে স্রোতের বিপরীতে অধিক চাপ (স্রোতের) সহনশীল  এবং 

২. বড় মাত্রার ভূমিকম্প সহনশীল করে গড়ে তোলার জন্য। 

 

৩. দু’পাড়ের একই স্থানে সেতুটির সাথে মূল সড়কের সংযোগ-রাস্তা তৈরির জন্য উপযুক্ত গঠনবিশিষ্ট মাটি পাওয়া যায়নি।

৪. উভয়পাড়ে মূলসড়ক (যে সড়কের সাথে সেতু সংযুক্ত হবে) একই সরলরেখায় নয়।

এছাড়া সেতু বাকানোর আরো কিছু কারণ রয়েছে :

কাঠামোতে ৩ ধরনের লোড কাজ করে,

১ কাঠামোর নিজস্বলোড,

২ যানবাহনের ওজন,

৩ ইনভায়রমেন্টাল(পারিপাশ্বিক লোড)।

ক) এখানে যানবাহন পারহওয়ার সময় ব্রিজের ওপর এক প্রকার কম্পনজনিত লোড ও বেগের গতি জনিত কম্পন উৎপন্ন হয়।

সেতুটি যদি সোজা হতো তাহলে আনেক আগেই সেটি ভেঙ্গে যেতো।

খ) সেতুটির মোমেন্ট ঠিক   রাখার জন্য, ও অধিক পরিমাণে শিয়ার প্রতিরোধ করার জন্য মাধখানে ধনুকের ন্যায় বাকানো হয়।

এর ফলে বন্যার সময় পানির অধিক চাপেও পিলার গুলো সেতুর কাঠামোতে ধরে   রাখতে সক্ষম হয়।

গ) পানির নিচে মাটির চাপ সব জায়গাতে সমান থাকেনা, সেই দিকটা বিবেচনা করা হয়।

ঘ) যদি কখনো সেতুর কোন অংশ ভেঙ্গেযায় তাহলে সেটা দুর থেকে দেখা যাবে. এর ফলে অনেক বড় দুরঘটনা 

থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

ঙ) যান বাহনের লোডগুলো সঠিক ভাবে প্রতিটা পিলারে আরোপিত হয়।

চ) এখানে সৌন্দয্য বড় কথা না, এবং সেতুকে বেশিদিন টিকে থাকতে হলে সেতু বাকা করতে হবে।  আর সেই জন্য রড় সিমেন্ট বেলি লাগলেও কোন কিছু করার নেই।

এছাড়াও গাড়ি চালকদের একটি যুক্তি আছে, যেটি একেবারে ফেলে দেবার মতো নয়, তা হলো সেতু টা সোজা হলে সিরাজগঞ্জের ঐ দিক থেকে সূর্যের (সূর্যাস্ত)  আলো আসবে বিকাল বেলা আর তা চালকদের চোখে সরাসরিভাবে পড়বে ফলে দূর্ঘটনা ঘটবে। সকাল বেলা টাঙ্গাইলের এ দিক থেকে সূর্যের (সূর্যোদয়)  আলো পড়বে চালকদের চোখে সরাসরিভাবে ফলে দূর্ঘটনা ঘটবে। তাই বাকাঁ করে বানানো হয়েছে।

তাই মূলত ভারসাম্য রক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে বঙ্গবন্ধু সেতু বাঁকা করে নির্মাণ করা হয়েছে। 
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ