বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ১. সেতুটিকে স্রোতের বিপরীতে অধিক চাপ (স্রোতের) সহনশীল এবং ২. বড় মাত্রার ভূমিকম্প সহনশীল করে গড়ে তোলার জন্য। এছাড়াও সাধারণ সেন্সে আরও কিছু কারণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যেমন জোর সম্ভাবনা রয়েছে যে ১. দু’পাড়ের একই স্থানে সেতুটির সাথে মূল সড়কের সংযোগ-রাস্তা তৈরির জন্য উপযুক্ত গঠনবিশিষ্ট মাটি পাওয়া যায়নি। ২. উভয়পাড়ে মূলসড়ক (যে সড়কের সাথে সেতু সংযুক্ত হবে) একই সরলরেখায় নয়।
এই সেতু বাকানোর প্রধান কারণ হলো........ কাঠামোতে ৩ধরনের লোড কাজ করে, ১ কাঠামোর নিজস্বলোড, ২ যানবাহনের ওজন, ৩ ইনভায়রমেন্টাল(পারিপাশ্বিক লোড)। ক) এখানে যানবাহন পারহওয়ার সময় ব্রিজের ওপর এক প্রকার কম্পনজনিত লোড ও বেগের গতি জনিত কম্পন উৎপন্ন হয়। সেতুটি যদি সোজা হতো তাহলে আনেক আগেই সেটি ভেঙ্গেযেতো। খ) সেতুটির মোমেন্ট ঠিক রাখার জন্য, ও অধিক পরিমাণে শিয়ার প্রতিরোধ করার জন্য মাধখানে ধনুকের ন্যায় বাকানো হয়। এর ফলে বন্যার সময় পানির অধিক চাপেও পিলার গুলো সেতুর কাঠামোতে ধরে রাখতে সক্ষম হয়। গ) পানির নিচে মাটির চাপ সব জায়গাতে সমান থাকেনা, সেই দিকটা বিবেচনা করা হয়। ঘ) যদি কখনো সেতুর কোন অংশ ভেঙ্গেযায় তাহলে সেটা দুর থেকে দেখা যাবে. এর ফলে অনেক বড় দুরঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। ঙ) যান বাহনের লোডগুলো সঠিক ভাবে প্রতিটা পিলারে আরোপিত হয়। চ) এখানে সৌন্দয্য বড় কথা না, এবং সেতুকে বেশিদিন টিকে থাকতে হলে সেতু বাকা করতে হবে। আর সেই জন্য রড় সিমেন্ট বেলি লাগলেও কোন কিছু করার নেই।