শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

আল্লাহ্ তাআলার বিশেষ অনুগ্রহ ও দয়ার ফলে কসমের কাফফারা নির্ধারিত হয়েছে। যার ফলে কসম করে যে কাজটি না করার কথা ছিল তা করা বৈধ হয় এবং যা করার কথা ছিল তা না করা জায়েয হয়। কসমের কাফফারা নিম্নরূপ : (তিনটির যে কোন একটি) (১) দশজন মিসকীনকে খানা খাওয়ানো। প্রত্যেককে অর্ধ সা চাউল ইত্যাদি দেবে। (২) দশজন মিসকীনকে সালাত আদায় করতে পারে এতটুকু পোশাক দেয়া। (৩) ত্র“টিমুক্ত একজন মুমিন দাস মুক্ত করে দেয়া। কাফফারা আদায়কারী তিনটির যে কোন একটি বেছে নিবে। যদি উল্লেখিত কোন একটি না পায় তাহলে একাধারে তিন দিন রোযা রাখবে। ইরশাদ হচ্ছে : لَا يُؤَاخِذُكُمُ اللَّهُ بِاللَّغْوِ فِي أَيْمَانِكُمْ وَلَكِنْ يُؤَاخِذُكُمْ بِمَا عَقَّدْتُمُ الْأَيْمَانَ (المائدة:৮৯) “আল্লাহ তাআলা তোমাদের কসমগুলোর মধ্যে অর্থহীন কসমের জন্যে পাকড়াও করবেন না। কিন্তু তিনি তোমাদেরকে ঐ কসকমসমূহের জন্যে পাকড়াও করবেন, যেগুলোকে তোমরা (ভবিষ্যত বিষয়ের প্রতি) দৃঢ় কর, (অর্থাৎ ইচ্ছাকৃত শপথ)।(সুরা মায়েদাহ :৮৯) সুতরাং এর কাফফারা হচ্ছে দশজন অভাবগ্রস্থকে (মধ্যম ধরণের) খাদ্য প্রদান করা, যা তোমরা নিজ পরিবারের লোকদেরকে খাইয়ে থাক, কিংবা তাদেরকে (মধ্যম ধরণের) পরিধেয় বস্ত্র দান করা কিংবা একটা গোলাম বা বাঁদী মুক্ত করে দেয়া, আর যে ব্যক্তি সমর্থ না রাখে, সে একাধারে তিন দিন রোযা রাখবে। এটা তোমাদের কসমের কাফফারা।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ