আমার প্রেমিকা কোরআন শরীফ ছুঁয়ে শপথ করেছে যে সে আমার সাথে আর কথা বলবে না,যদিও সে নিজে করেনি।তাকে জোর করে তার পিতা-মাতা শপথ করিয়েছে তার মতের বিপক্ষে।এখন তাকে কি কোনো কাফফারা দিতে হবে?কথা বলতে চাইলে কি তাকে আগে কাফফারা দিতে হবে নাকি কাফফারা আদায় করার নিয়তে শপথ করলে হবে? প্লিজ কেউ বিস্তারিত না জানলে উত্তর দিবেন না।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

 মুহাম্মাদ ইবনুূু আবদুল্লাহ ইবনুূু নুমায়র ও মুহাম্মাদ ইবনুূু তারিফ বাজালী (রহঃ) আদী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন তোমাদের কেউ কসম করে, এরপর তার চেয়ে উত্তম কিছু দেখে, তবে সে যেন তার কাফফারা আদায় করে এবং তাই যেন করে যা উত্তম।

 কাফফারা কিভাবে আদায় করা যাবে? 


দশজন মিসকিনের মাধ্যম ধরনের খাবার তৈরি করে অথবা রাত্রে তাদেরকে ডেকে খাইয়ে দিন। অথবা তাদের বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দিন। অথবা মাথাপিছু সওয়া এক কিলো করে (সর্বমোট সাড়ে বার কিলো) চাল তাদের মাঝে বণ্টন করে দিন। দশজন মিসকিন না পাওয়া গেলে পাঁচ জন মিসকিনকে দু'বেলা খাওয়ান অথবা আড়াই কিলো করে চাল দিয়ে দিন। কাপড় দিলে মহিলাকে মধ্যম দামের শাড়ী দিন, পুরুষকে মধ্যম দামের লুঙ্গি গেঞ্জি দিন। খাদ্য ও বস্ত্র দানে অক্ষম হলে তবেই তিনদিন রোজা রাখুন। খাদ্য দেওয়ার ক্ষমতা ও উপায় থাকলে রোজা রাখলে কাফফারা আদায় হবে না।


http://www.hadithbd.com/shareqa.php?qa=2206



ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

কেউ যদি কোনো কসম করেন এবং সেটা ভেঙ্গে ফেলেন এর পরিবর্ তে তাকে কাফফা রা দিতে হবে। আর কাফফা রা দিলে তিনি কসম করার আগের অবস্থা য় ফিরে যাবেন। যেমন, কেউ যদি কসম করে বলেন, আল্লাহ পাক উনার কসম আমি অমুক জায়গায় যাবো। কিন্তু তিনি পরে আর যেতে চাচ্ছেন না যাওয়া সম্ভব হচ্ছেনা । তখন তিনি যদি কসম ভেঙ্গে ফেলন (ইচ্ছাকৃ ত অথবা অনিচ্ছ াকৃত) – তাহলে তিনি কসম ভাঙ্গার জন্য কাফফা রা দেবেন। আর কাফফা রা দেওয়ার পর না গেলেও কোনো সমস্যা নেই। কসম ভাঙ্গার জন্য কাফফা রা দেওয়ার তিনটা উপায় আছে। যার সামর্থ আছে তার পছন্দ অনুযায়ী যেকোনো একটাক ে বেছে নিবেন। আর এই তিনটা না পারলে চতুর্থ আরেকট া আছে সেটা করতে হবে। কিন্তু তিনটার সামর্থ থাকলে তার মধ্য থেকে যেকোনো একটাক েই বেছে নিতে হবে। দশ জন মিস কীন কে খাবা র দিত ে হবে। খাবা র এমন মানে র দিত ে হবে যা তার পরি বারে র জন্ য ব্যয় করে থাক েন। অথ বা দশ জন মিস কীন কে পোশা ক দিত ে হবে অথ বা এক জন দাস মুক্ ত কর তে হবে কার ো পক্ষ ে যদি উপর ের তিন টা কাজ করা র মতো আর্ থিক সাম র্থ্য না থাক ে তাহ লে তিন দিন রোজ া রাখ তে হবে। এই সম্পর্ক ে আল্লাহ্ পাক তিনি বলেনঃ “আল্লা হ সুবাহানা হু ওয়া তায়ালা তোমাদে রকে পাকড়াও করেন না তোমাদে র অনর্থক শপথের জন্যে; কিন্তু পাকড়াও করেন ঐ শপথের জন্যে যা তোমরা মজবুত করে বাধ। অতএব, এর কাফফর া এই যে, দশজন দরিদ্র কে খাদ্য প্রদান করবে; মধ্যম শ্রেনীর খাদ্য যা তোমরা স্বীয় পরিবার কে দিয়ে থাক। অথবা, তাদেরক ে বস্ত্র প্রদান করবে অথবা, একজন ক্রীতদ াস কিংবা দাসী মুক্ত করে দিবে। যে ব্যক্তি সামর্থ্য রাখে না, সে তিন দিন রোযা রাখবে। এটা কাফফর া তোমাদে র শপথের, যখন শপথ করবে। তোমরা স্বীয় শপথসমূ হ রক্ষা কর এমনিভা বে আল্লাহ পাক তিনি তোমাদে র জন্য স্বীয় নির্দেশ বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞ তা স্বীকা র কর।” সুরা আল- মায়িদাহ , আয়াত ৮৯। উল্লেখ্ যঃ কাফফা রা টাকা দিলে হবেনা। যেটা দিয়ে কাফফা রা আদায় করতে চাচ্ছেন (খাবার অথবা পোশাক) ঠিক সেটাই দিতে হবে, তার মূল্য দেওয়া জায়েজ নয়। আর বড় কোনো বিষয় ছাড়া কসম করা উচিত না। আর কথায় কথায় কসম করে কিছু বলার অভ্যাস ছেড়ে দেওয়া উচিত।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

কোরআন নাজিল হয়েছে পড়ে আমল করার জন্য । এটা ছুঁয়ে শপথ করার জন্য এটা নাজিল হয়নি । কোরআন ছুঁয়ে নবী সাঃ বা সাহাবাগণ কেউ শপথ করেনি । এটা স্পষ্ট বেদাত । এটা শপথই হবেনা।


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ