RafiaBegum

Call

নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে ছহীহ্‌ সূত্রে প্রমাণিত হয়েছে। তিনি বলেন, لا تَخُصُّوا يَوْمَ الْجُمُعَةِ بِصِيَامٍ ولا ليلتها بقيام “এককভাবে শুধুমাত্র শুক্রবারের দিনে রোযা রাখবে না এবং রাতে ক্বিয়াম করবে না।” রোযা রাখার জন্য এককভাবে এ দিনকে বেছে নেয়া নিষেধের হিকমত হচ্ছে, জুমআর দিন সপ্তাহিক ঈদের দিন। জুমআ ইসলামের তৃতীয় ঈদ হিসেবে গণ্য। প্রথম ঈদ হচ্ছে রামাযান শেষে ঈদুল ফিতর। দ্বিতীয়টি কুরবানীর ঈদ। আর তৃতীয়টি হচ্ছে, সাপ্তাহিক ঈদ জুমআর দিন। একারণেই আলাদাভাবে এদিনে রোযা রাখতে নিষেধ করা হয়েছে। তাছাড়া এদিনে পুরুষদের জন্য উচিত হচ্ছে আগেভাগে জুমআর নামাযে যাওয়া, দু’আ যিকির ও কুরআন তেলাওয়াতে মাশগুল হওয়া। এদিনটি আরাফার দিবসের অনুরূপ। আরাফার দিবসে হাজীগণ রোযা রাখবেন না। কেননা এদিন তিনি দু’আ ও যিকিরে মাশগুল থাকবেন। একটি মূলনীতি হচ্ছে: কয়েকটি ইবাদত যদি একত্রিত হয়, তখন যেটা পিছানো সম্ভব হবে না সেটা তাৎক্ষণিক আদায় করবে এবং যেটি পিছানো সম্ভব হবে তা পিছিয়ে দিয়ে পরে আদায় করবে। যদি প্রশ্ন করা হয় যে, জুমআর দিন সাপ্তাহিক ঈদের দিন হওয়ার কারণে যদি রোযা রাখা নিষেধ হয়ে থাকে, তবে তো অপর দু’টি ঈদের মত এদিনে অন্যান্য রোযা রাখাও হারাম হয়ে যায়? উত্তরে আমরা বলবঃ এদিনটির বিধান অন্য দু’ঈদের চেয়ে ভিন্ন। কেননা ইহা প্রতি মাসে চারবার আগমণ করে। একারণে এদিনে রোযা রাখার নিষেধাজ্ঞা সম্পূর্ণরূপে হারাম নয়। তাছাড়া দু’ঈদের মাঝে আরো বিশেষ যে বৈশিষ্ট রয়েছে তা জুমআর দিনে নেই। কিন্তু যদি জুমআর পূর্বে একদিন ও পরে একদিন রোযা পালন করে, তখন বুঝা যাবে যে, এককভাবে জুমআর দিবস রোযা পালন করার উদ্দেশ্য ছিল না। আর এটা জায়েয। এককভাবে জুমআর দিনে রোযা রাখার নিষেধাজ্ঞা নফল এবং কাযা উভয়ের ক্ষেত্রে প্রজোয্য। কেননা হাদীছের নিষেধাজ্ঞা থেকে সাধারণভাবে একথাই বুঝা যায়। তবে যদি কোন মানুষ এরকম ব্যস্ত থাকে যে, তার কাযা ছিয়াম জুমআর দিবস ছাড়া অন্য সময় আদায় করা সম্ভব নয়, তখন তার জন্য এককভাবে সে দিন রোযা পালন করা মাকরূহ নয়। কেননা তার ওযর রয়েছে। বিষয়/প্রশ্নঃ (৪৪৬) গ্রন্থের নামঃ ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম বিভাগের নামঃ ছিয়াম (রোযা) লেখকের নামঃ শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন (রহঃ) অনুবাদ করেছেনঃ আবদুল্লাহ শাহেদ আল মাদানি - আবদুল্লাহ আল কাফী

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ