RafiaBegum

Call

আমি মনে করি এব্যক্তি ভয়ানক বিপজ্জনক ও অপরাধের কথা বলেছে। কেননা আল্লাহ্‌ বলেন, وَقَالَ رَبُّكُمْ ادْعُونِي أَسْتَجِبْ لَكُمْ “তোমাদের পালনকর্তা বলেন তোমরা আমাকে ডাক (দু’আ কর) আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিব।” (সূরা গাফেরঃ ৬০) আল্লাহ্‌ তা’আলা মহাজ্ঞানী। নিজ অনুগ্রহ প্রদান করতে কখনো তিনি দেরী করেন, যাতে করে মানুষ বুঝতে পারে তারা তাঁর কাছে কত অভাবী, কত মুখাপেক্ষী, তিনি ছাড়া তাদের আর কোন রক্ষাকারী আশ্রয়দাতা নেই। তিনি অনেক সময় মানুষের দু’আর কারণে বৃষ্টি নাযিল করেন। কিন্তু অনেক সময় বৃষ্টি হয়ও না। নিঃসন্দেহে এতে আল্লাহ্‌র কোন হিকমত আছে এবং মানুষের কোন কল্যাণ আছে যা আমাদের জ্ঞানের বাইরে। কেননা আল্লাহ্‌ সর্বাধিক জ্ঞানী, বিজ্ঞানময়। মানুষ নিজের উপর যতটুকু দয়াশীল আল্লাহ্‌ তাদের উপর তার চেয়ে অধিক দয়াশীল ও করুণাময়। অনেক সময় মানুষ দু’আ করে কিন্তু কবূল হয় না। কখনো দু’আ করে কাজ হয়, কখনো দু’আ করে কাজ হয় না। এ সম্পর্কে নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, يُسْتَجَابُ لِأَحَدِكُمْ مَا لَمْ يَعْجَلْ يَقُولُ دَعَوْتُ فَلَمْ يُسْتَجَبْ لِي “তোমাদের দু’আ কবূল করা হবে যে পর্যন্ত তাড়াহুড়া না করবে। বলবে, দু’আ তো অনেক করলাম, কিন্তু কবূল হল না।” তখন অনেক লোক হাহুতাশ করবে আক্ষেপ করবে এবং দু’আ করাই ছেড়ে দিবে। (আঊযুবিল্লাহ্‌) অথচ মানুষ দু’আ করলেই তাকে ছওয়াব দেয়া হবে। কেননা দু’আ একটি ইবাদত। তাই দু’আ যে ব্যক্তিই করুক না কেন সে-ই লাভবান। বরং হাদীছে এসেছে নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَدْعُو بِدَعْوَةٍ لَيْسَ فِيهَا إِثْمٌ وَلَا قَطِيعَةُ رَحِمٍ إِلَّا أَعْطَاهُ اللَّهُ بِهَا إِحْدَى ثَلَاثٍ إِمَّا أَنْ تُعَجَّلَ لَهُ دَعْوَتُهُ وَإِمَّا أَنْ يَدَّخِرَهَا لَهُ فِي الْآخِرَةِ وَإِمَّا أَنْ يَصْرِفَ عَنْهُ مِنَ السُّوءِ مِثْلَهَا “যে কোন মুসলিম আল্লাহ্‌র কাছে দু’আ করবে- যে দু’আয় কোন গুনাহ্‌ থাকবে না, কোন আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা থাকবে না। তাহলে আল্লাহ্‌ তাকে তিনটির যে কোন একটি দান করবেন ১) তার দু’আ দুনিয়াতেই কবূল করা হবে ২) আখেরাতে তার জন্য তা সঞ্চয় করে রাখা হবে। ৩) তার দু’আর অনুরূপ একটি অমঙ্গল তার থেকে দূরীভূত করা হবে।” প্রশ্নে উল্লেখিত বাক্য যে ব্যক্তি ব্যবহার করেছে তাকে নসীহত করছি, আপনি আল্লাহ্‌র কাছে তওবা করুন। কেননা এটি একটি মহা অপরাধ মূলক কথা। আল্লাহ্‌র নির্দেশ বিরোধী কথা ও তাঁর সাথে চ্যালেঞ্জ করা। বিষয়/প্রশ্নঃ (৩৩৮) গ্রন্থের নামঃ ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম বিভাগের নামঃ সালাত লেখকের নামঃ শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন (রহঃ) অনুবাদ করেছেনঃ আবদুল্লাহ শাহেদ আল মাদানি - আবদুল্লাহ আল কাফী

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ