RafiaBegum

Call

এ ব্যাপারে আমাদের কথা হল, যে ব্যক্তি আকীদার স্বাধীনতার দাবী করে এবং যে কোন দ্বীনে বিশ্বাসের অধিকার রাখে বলে মনে করে, সে কাফের। কারণ যে ব্যক্তি মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর দ্বীন ব্যতীত অন্য দ্বীন গ্রহণ করা বৈধ মনে করে, সে কাফেরে পরিণত হবে। তাকে তাওবা করতে বলা হবে। তাওবা না করলে তাকে হত্যা করা ওয়াজিব। দ্বীনের বিষয় চিন্তা প্রসূত বিষয় বা কোন মতবাদ নয়। এটা আল্লাহর অহী, যা আল্লাহ তাঁর নবীদের উপর নাযিল করেছেন যেন মানুষ তার অনুসরণ করতে পারে। ইসলাম একটি চিন্তাধারা, খৃষ্ট ধর্ম একটি চিন্তা ধারা এবং ইহুদীবাদ একটি চিন্তা ধারা এভাবে ব্যাখ্যা করার অর্থ এই যে, আসমানী শরীয়তসমূহ নিছক মানবীয় চিন্তা প্রসূত বিষয়। আসমানী দ্বীনসমূহ আল্লাহর পক্ষ হতে অহী স্বরূপ আগমণ করেছে। এর মাধ্যমে মানুষ আল্লাহর ইবাদত করবে। সুতরাং এর ব্যাপারে চিন্তাধারা কথাটি ব্যবহার করা জায়েয নেই। মোট কথা, যে ব্যক্তি এই বিশ্বাস করবে যে, সে নিজের খেয়াল-খুশী মত যে কোন দ্বীনে বিশ্বাস করতে পারে, তাহলে সে কাফের হয়ে যাবে। আল্লাহ বলেন, )وَمَنْ يَبْتَغِ غَيْرَ الْإِسْلَامِ دِينًا فَلَنْ يُقْبَلَ مِنْهُ( “যে ব্যক্তি ইসলাম ছাড়া অন্য দ্বীন গ্রহণ করবে, তার কাছ থেকে তা গ্রহণ করা হবে না।” (সূরা আল-ইমরানঃ ৮৫) আল্লাহ বলেন, )إِنَّ الدِّينَ عِنْدَ اللَّهِ الْإِسْلَامُ( “ইসলাম আল্লাহর কাছে একমাত্র মনোনীত ধর্ম।” (সূরা আল-ইমরানঃ ১৯) সুতরাং ইসলাম ছাড়া অন্য কোন দ্বীন গ্রহণ করা জায়েয নেই। যে ব্যক্তি তা করবে আলেমগণ তাকে সুস্পষ্ট কাফের হিসাবে ফতোয়া দিয়েছেন। বিষয়/প্রশ্নঃ (১১০) গ্রন্থের নামঃ ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম বিভাগের নামঃ ঈমান লেখকের নামঃ শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন (রহঃ) অনুবাদ করেছেনঃ আবদুল্লাহ শাহেদ আল মাদানি - আবদুল্লাহ আল কাফী

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ