ভালোবাসা একটি মানবিক অনুভূতি এবং আবেগকেন্দ্রিক একটি অভিজ্ঞতা। বিশেষ কোন মানুষের জন্য স্নেহের শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে ভালোবাসা। তবুও ভালোবাসাকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ভাগ করা যায়। আবেগধর্মী ভালোবাসা সাধারণত গভীর হয়,বিশেষ কারো সাথে নিজের সকল মানবীয় অনুভূতি ভাগ করে নেয়া, এমনকি শরীরের ব্যাপারটাও এই ধরনের ভালোবাসা থেকে পৃথক করা যায়না। ভালোবাসা বিভিন্ন রকম হতে পারে, যেমন: নিস্কাম ভালোবাসা, ধর্মীয় ভালোবাসা, আত্মীয়দের প্রতি ভালোবাসা ইত্যাদি। আরো সঠিকভাবে বলতে গেলে, যে কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর প্রতি অতিরিক্ত স্নেহ প্রায় সময় খুবই আনন্দদায়ক হতে পারে...এমনকি কোন কাজ কিংবা খাদ্যের প্রতিও। আর এটাই অতি আনন্দদায়ক অনুভূতিই হলো ভালোবাসা।
ভালোবাসা সৃষ্টি হয় সম্মান থেকে। আমরা এমন কাউকে ভালোবাসতে পারি না যাকে আমরা সম্মান করি না। তাই, স্বামী-স্ত্রী দু’জনের জন্য খুব প্রয়োজনীয় একটি ব্যাপার হলো পরস্পরের ভালো গুণগুলোর প্রতি সচেতন দৃষ্টি দেওয়া এবং ভুলগুলোকে ক্ষমা করে দেওয়া। স্বামী-স্ত্রী একে অন্যের আয়নার মতন, তারা যা দেখে তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করলেও কেবল ভালো বিষয়গুলো স্মৃতিতে ধরে রাখে। যখন নতুন কোনো ছবি এই আয়নার সামনে আসে তখন তা স্মৃতিতে থাকা আগের ভালো ছবিগুলোর সাথে মিলিয়ে ভালোটা রেখে দেয়। একটা গল্প পড়েছিলাম যেখানে বলা হয়েছিল আমাদের বন্ধুদের ভালো গুণাগুলো যেন পাথরের উপরে খোদাই করে রাখি। আর তাদের ভুলগুলো বালিতে লিখি। একটি দীর্ঘদিন ধরে রয়ে যায় এবং অপরটি বাতাসের প্রথম ঝাপটাতেই উড়ে যায়। [মির্জা ইয়াওয়ার বেইগ, বিয়ে : স্বপ্ন থেকে অষ্টপ্রহর]