শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Sanjoyrand1

Call

অনেকেই গুগলের নিউ ফেসের সম্পর্কে পরিচিত না। এখনো পূর্বের স্ট্রাটেজিতে কাজ করে যাচ্ছেন অথবা অনেকে জানেন কিন্তু ক্লিয়ার আইডিয়া নাই। তাদের জন্য আজকের এই পোষ্ট। আজকের পোষ্টে গুগলের নতুন এলগরিদম চেঞ্জের ব্যাপারে খুটিনাটি ব্যাপারগুলা তুলে ধরার চেষ্টা করবো।
আচ্ছা তাইলে আলোচনাতে যাওয়ার আগে ফ্রেশারদের জন্য গুগল পাণ্ডা এবং গুগল পেঙ্গুইন সম্পর্কে একটু কথা বলে নেই। ‘গুগল পান্ডা’ হলো গুগল সার্চের অ্যালগারিদম। ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে গুগল পান্ডা অ্যালগরিদম শুরু করে। পান্ডার মূল কাজ হলো সার্চ রেজাল্টকে আরো উন্নত করা। হাই কোয়ালিটি সাইটকে উপরে তোলা ও লোকোয়ালিটি সাইটকে সনাক্ত করে নিচের দিকে ঠেলে দেওয়া। এছাড়া যে কোন ধরনের স্প্যামিং, ডুপ্লিকেট কন্টেট, ব্যাক লিংক স্পামিংকে সনাক্ত ও রোধ করার জন্য গুগল পান্ডা ব্যবহৃত হয়। এই অ্যালগারিদমটি গুগলের অন্যসব অ্যালগারিদম থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী। গুগল পান্ডার ক্ষেত্রে মূল বিষয়টি হলো কোয়ান্টিটি নয়, কোয়ালিটিই মূল বিষয়।
এখনো গুগল ডিরেক্টলি পেঙ্গুইন সম্পর্কে কোন তথ্য ক্লিয়ার করে বলে নি তবে একটা ব্যাপার গুগল ক্লিয়ার করেছে যে এটি একমাএ সেই সব ওয়েবসাইট এর উপর প্রভাব ফেলবে যারা গুগল এর কোয়ালিটি গাইডলাইন মেনে চলেনা। অর্থাৎ আমারা একটা বিষয় ক্লিয়ার সঠিক ভাবে আপনার সাইটটি হ্যান্ডেল করতে পারলে ভয়ের কিছু নাই।
এইবার আসা যাক মূল আলোচনায়। পোষ্টে আমি তূলনামূলকভাবে গুগলের নতুন এবং পুরাতন স্ট্রাটেজির ডিফারেন্স তুলে ধরার চেষ্টা করব যাতে আপনারা বুঝতে পারেন ঠিক কোন কোন ক্ষেত্রে আপনাকে নতুন স্ট্রাটেজিতে কাজ করতে হবে।
প্রথমে আসি অনপেইজ অপটিমাইজিং
keyword Targeting
পূর্বের অবস্থাঃ আগে গুগল স্পেসিফিক কিছু কি-ওয়ার্ডকে প্রধান্য দিতো। প্রধানত যেসব কি- ওয়ার্ডের সার্চ ভলিওম বেশি।
বর্তমান অবস্থাঃ বর্তমানে গুগল পরিবর্তনশীল কি-ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। তাছাড়া কি-ওয়ার্ডের উদ্দেশ্য এবং পিপিসি রেট বিবেচনা করে।
User experience
পূর্বের অবস্থাঃ সাইটের ডিজাইন এবং এস ই ও এই দুইটা ব্যাপার সম্পূর্ণ আলাদা ছিলো। অর্থাৎ ডিজাইন এস ই ও এর ক্ষেত্রে খুব একটা প্রভাব ফেলতো না।
বর্তমান অবস্থাঃ বর্তমানে ইউজার এক্সপেরিয়েন্সকে গুগল সব থেকে বেশি গুরুত্ব দেয়। এছাড়াও দুর্বল সাইটের সাথে সংশ্লিষ্টতা, ভিজিটর কত সময় স্টে করে, প্রতিটা পেইজে ভিজিটর সংখ্যা, বাউন্স রেট, টাইটেল ট্যাগ ইত্যাদি বিবেচনা করে।
**রেস্পন্সিভ ডিজাইনঃ ইউজারের কথা বিবেচনা করে রেস্পন্সিভ ডিজাইন ডিমান্ড করে।
** পেইজ লোড টাইমঃ বর্তমানে এস ই ও এর ক্ষেত্রে পেইজ লোড টাইম অনেক বড় ফ্যাক্টর। পেইজ লোড টাইম কম হলে গুগল আপনার সাইটকে বেশি গুরুত্ব দিবে।
On-site Content
পূর্বের অবস্থাঃ পূর্বে on-site content এর ব্যাপারে যেসব দিক বিবেচনা করা হত
** সাইটের কন্টেন্ট লেখা হতো সার্চ ইঞ্জিনের কথা বিবেচনা করে।
** কন্টেন্টের মাঝে মেইন কি-ওয়ার্ডের কথা বিবেচনা করে গুগল প্রধান্য দিতো
** সাইটের মাঝে সকল প্রকার কন্টেন্টকে টেক্সট হিসেবে বিবেচনা করা হতো
** গুগল সাইটের টাইটেল, মেটা ডিটেইলস, এবং টার্গেটেড কি- ওয়ার্ডকে বিবেচনা করে মেজর করতো। কিন্তু এর মাঝের কন্টেন্টের উপর তেমন গুরুত্ব দিতো না
বর্তমান অবস্থাঃ বর্তমানে On-site Content এর ব্যাপারে যেসব দিক বিবেচনা করা হয়
** এখন কন্টেন্ট মেজর হয় পাঠকের কথা ভেবে অর্থাৎ আপনার পাঠক কি চায় সেটাই আপনাকে আউটপুট দিতে হবে।
** কন্টেন্টের মাঝে অধিকবার মেইন কি-ওয়ার্ড চলে আসলে গুগল কন্টেন্টকে স্পাম হিসেবে শনাক্ত করে।
** গুগল টাইটেল, মেটা ডিটেইলসের প্রতিটা সেকশনে গুরুত্ব দেয় এবং এর উপর বিবেচনা করেই সাইটের র‍্যাঙ্কিং ইম্প্রুভ করে।
** কনটেন্টের ক্ষেত্রে এখন গুগল শুধু টেক্সট হিসেবে বিবেচনা করা না। VIDEO, INFOGRAPHICS, INTERNET MEMES, DOCUMENTS, PRESENTATION এগুলোকে গুগল আলাদা ভাবে রিড করতে সক্ষম।

লিঙ্ক বিল্ডিং এবং অফ পেইজ অপটিমাইজেশন
Off-Site Content
পূর্বের অবস্থাঃ ব্যাক লিঙ্কের জন্য কপি করা কন্টেন্ট, নিম্ন মানের কন্টেন্ট তেমন একটা প্রভাব ফেলতো না। ব্যাক লিঙ্ক তৈরি করাই মুল উদ্দেশ্য ছিলো।
বর্তমান অবস্থাঃ এখন ব্যাকলিঙ্কের ক্ষেত্রেও কোয়ালিটি কন্টেন্ট এর উপর গুগল  সব থেকে বেশি গুরুত্ব দেয়। এছাড়া সোস্যাল মিডিয়াতে প্রোমট করাকে অনেক বেশি গুরুত্তের সাথে বিবেচনা করে। অর্থাৎ অনেকগুলা লো কোয়ালিটি সাইটের থেকে অল্প কিছু হাই কোয়ালিটি সাইটে ব্যাক লিঙ্ক দিলে অনেক বেশি হেল্পফুল।
Anchor Text
পূর্বের অবস্থাঃ লিঙ্ক বিল্ডিং এর ক্ষেত্রে এঙ্কর টেক্সট সিমিলারিটি প্রধান্য দেয়া হতো। এবং র‍্যাঙ্কিং এর ক্ষেত্রে এই পন্থা অনেক বেশি হেল্পফুল ছিলো।
বর্তমান অবস্থাঃ লিঙ্কিং এর ক্ষেত্রে বিচিত্রতাকে গুগল বেশি প্রধান্য দেয়।
Domain Selection
পূর্বের অবস্থাঃ ডোমেইন র‍্যাঙ্কিং এর ক্ষেত্রে অনেক বড় প্রভাব ফেলতো। মেইন কি- ওয়ার্ডের সাথে ডোমেইন এর ম্যাচিং থাকলে অল্প কিছু ব্যাক লিঙ্কই গুগলের টপে উঠার জন্য এনাফ ছিলো। এখানে ডোমেইন এর অনেক বড় একটা ভূমিকা ছিলো।
বর্তমান অবস্থাঃ ডোমেইন নামের ক্ষেত্রে বর্তমানেও গুরুত্ব দেওয়া হয় তবে পূর্বের মতো একচেটিয়া নেই এখন আর। এখন গুগল ডোমেইন নামের সাথে অনেক কিছু বিবেচনা করে একটা সাইটের পজিশন নির্ধারণ করে। বর্তমানে অনেকটাই ব্রান্ডিং এর উপর নির্ভর করে। তাছাড়া সোস্যাল সাইটের সাথে লিঙ্কিং বিবেচনা করে।
Blog link
পূর্বের অবস্থাঃ র‍্যাঙ্কিং বাড়ানোর জন্য ফেইক ব্লগ, পেইড ব্লগের সাথে লিঙ্কিং করা হতো।
বর্তমান অবস্থাঃ এখন হাই কোয়ালিটি গেস্ট ব্লগিং, এক্টিভ পাঠক কতজন ইত্যাদি বিবেচনা করে ব্লগ কমেন্টের ক্ষেত্রে।
Press Releases
পূর্বের অবস্থাঃ প্রেস রিলিজের উদ্দেশ্য ছিলো প্রধানত ব্যাক লিঙ্ক তৈরি করা। প্রেস রিলিজ ভেরিফাই করা হতো না তেমন।
বর্তমান অবস্থাঃ বর্তমানে প্রেস রিলিজের ব্যাপারে গুগল অনেক স্ট্রিক। PR চেক, নিউজ ভেরিফাই ইত্যাদির মাধ্যমে গুগল প্রেস রিলিজ মেজর করে।
Blog Comments
পূর্বের অবস্থাঃ অটোমেটেড সফটওয়ার দিয়ে ব্লগ কমেন্ট করে সাইটের র‍্যাঙ্কিং ইম্প্রুভ করা যেত।
বর্তমান অবস্থাঃ একটা ব্যাপার জেনে রাখা ভালো ব্লগ কমেন্ট আপনার র‍্যাঙ্কিং এর উপর প্রভাব ফেলে না। এটার উদ্দেশ্য আপনার সাইটের ভিজিটর বাড়ানো। অর্থাৎ আপনাকে এমনভাবে কমেন্ট দিতে হবে যাতে পাঠক ইমপ্রেস হয়ে আপনার সাইট ভিজিট করে।
Social Media
পূর্বের অবস্থাঃ সোস্যাল মিডিয়ার থেকে লিঙ্কিং অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। তখন Digg,StumbleUpon, yahoo buzz ইত্যাদি সাইটে লিঙ্কিং করা হতো।
বর্তমান অবস্থাঃ সোস্যাল মিডিয়াকে প্রোমোশন এর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রধান করা হয়। Google+, Twitter, facebook, linked in এগুলো হলো SM এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ