শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

রেড হইলো একটা কোম্পানির নাম। কোম্পানির পুরো নাম -Red Digital Cinema Camera Company । এই কোম্পানী ডিজিটাল সিনেমাটোগ্রাফী ক্যামেরা এবং ক্যামেরার এক্সেসরিস তৈরী করে থাকে। Home / Cinematography / রেড ক্যামেরা আসলে কি? এর সাথে ফিল্ম ক্যামেরার পার্থক্য? maxresdefault রেড ক্যামেরা আসলে কি? এর সাথে ফিল্ম ক্যামেরার পার্থক্য? Posted by: মাহদী হাসান in Cinematography September 29, 2012 1,800 Views রেড ক্যামেরা জিনিসটা আসলে কি??? এটার সাথে নরমাল ক্যামেরা এর পার্থক্য কোন জায়গায় ??? ফিল্ম ক্যামেরা আগে ফিল্ম ক্যামেরা নিয়ে একটু জেনে নেই। জানা কথাই, আমি শুধু একটু ছোঁয়া দিয়ে যাচ্ছি। MovieCamera1_0080.jpg34de7692-d392-4fe3-8230-c48b33ffed8cLarge dSLR বা ডিজিটাল কম্প্যাক্ট ক্যামেরা তো খুব বেশিদিন আগের না, এর আগে আমরা কি দিয়ে ছবি তুলতাম? রীল কিনে ক্যামেরায় ভরে ছবি তুলতাম আমরা, ওয়াশ করার পর প্রিন্ট করে দেখতে পেতাম কি তোলা হয়েছে। এই রিল ক্যামেরা বা ফিল্ম ক্যামেরার বড় ভার্সন হলো মুভি ক্যামেরা। মুভি ক্যামেরাতেও এরকম রিল থাকে। মুভি ক্যামেরা নিয়ে আদোপ্যান্ত লিখতে গেলে এই পোস্টে আর জায়গা হবেনা, তাই স্কিপ করতেছি। তবে এটা মাথায় রাখা উচিত যে মুভি ক্যামেরার রীল খুলে ল্যাবে নিয়ে ডেভেলপ করতে হয়। ডিজিটাল ক্যামেরা ডিজিটাল ক্যামেরা ইমেজ স্টোর করে ডিজিটাল স্টোরেজে, যেমন ধরুন – হার্ড ডিস্ক, মেমরী কার্ড ইত্যাদী। ডিজিটাল ক্যামেরার একটি বড় সুবিধা হলো – এতে আলাদা করে ফিল্ম কিনে ভরতে যেমন হয়না, তেমনি কোন কনভার্শন প্রসেসের মধ্য দিয়ে না গিয়ে সরাসরি ক্লিপ্স পিসিতে নিয়ে এডিট করা যায়। রেড ক্যামেরা কি এইতো আসল প্রশ্ন। রেড হইলো একটা কোম্পানির নাম। কোম্পানির পুরো নাম -Red Digital Cinema Camera Company । এই কোম্পানী ডিজিটাল সিনেমাটোগ্রাফী ক্যামেরা এবং ক্যামেরার এক্সেসরিস তৈরী করে থাকে। রেড এর তিনটি ব্র্যান্ড আছে। রেড ওয়ান, এপিক, স্কারলেট। রেড ওয়ান 4.5 K রেজুলেশনে (৪৪৮০X১৯২০) ছবি তুললেও, স্কারলেট এবং এপিক ছবি তুলে 5K রেজ্যুলেসনে (৫১২০X২৭০০)… রেড ক্যামেরার শো রীল একটা মজার ব্যাপার হলো – রেড ছাড়াও ডিজিটাল ক্যামেরা আছে। এর মধ্যা ফ্যান্টম একটি। ফ্যান্টম হলো সেই ধরনের ক্যামেরা যেটা দিয়ে সুপার স্লো-মোশন কাজ করা হয়। কিন্তু রেড তার স্বতন্ত্রতা দিয়ে ডিজিটাল ক্যামেরা ইন্ডাস্ট্রিতে রাজত্ব করছে। রেড ক্যামেরার সাথে ফিল্ম ক্যামেরার সাধারন কিছু পার্থক্য সাইজ ফিল্ম ক্যামেরার সাইজ অনেক বড় হয়। একজনের বেশী ক্যামেরা অপারেটর লাগে এটা হ্যান্ডেল করতে। মুভ করাটাও অনেক কষ্টের কাজ। এর ওজোন ও মাশাল্লাহ অনেক। অন্যদিকে রেড ক্যামেরা হাতে নিয়া মুভ করানোর মত হালকা। মোটে ৩কেজি। এক্সেসরিস সহ অবশ্য এর ওজন বেড়ে ১০ কেজি পর্যন্ত দাঁড়ায়, কিন্ত আমার মতো হালকা পাতলা ছেলে ১০ কেজি নিয়ে মুভ করতে পারলে নাফিজের মতো বিশাল বপুওয়ালা ছেলের জন্য এটা কোন ব্যাপারই না :P খরচ ফিল্ম ক্যামেরার দাম ডিজিটাল ক্যামেরার দামের তুলনায় অনেক বেশী। ডিজিটাল ক্যামেরার উত্থানের পেছনে দামের ব্যাপারটা লক্ষনীয়। এই যেমন রেড ক্যামেরার শুধু বডি আপনি কিনতে পারবেন ২০ হাজার ডলারে, ওদিকে ARRI এর ফিল্ম ক্যামেরার বডি’র দাম হলো ৩০ থেকে ৪০ হাজার ডলার। পুরো সেটাপ বানাতে যেখানে রেড এর পিছনে খরচ হয় ৫০ থেকে ৬০ হাজার ডলার, সেখানে ফিল্ম ক্যামেরার পিছনে খরচ হয় প্রায় দেড় লাখ ডলার। এছাড়া আপনাকে ফিল্ম রীল কিনতে হবে শুট করার জন্য, যেটা আপনার খরচ বাড়াবে। অন্যদিকে রেড রেকর্ড করে RedMags নামে এক ধরনের SSD ড্রাইভে। তার মানে, আপনি এতাকে ক্যাবলের মাধ্যমে সরাসরি পিসিতে নিয়ে এডিট করতে পারবেন :) ফিল্ম ক্যামেরা সাধারনত ভাড়া নিয়ে কাজ করা হয়। এতো বড় সেটাপ সাধারনত সিনেমাটোগ্রাফার রা কিনেন না। অথবা শুধু ক্যামেরা বডি কিনেন অনেকে, কিন্তু এক্সেসরিস ভাড়া নেন। কোয়ালিটি ইমেজ কোয়ালিটির কথা চিন্তা করলে অবশ্যই প্রথে নাম আসবে ফিল্ম ক্যামেরার কথা। ফিল্ম ক্যামেরায় ধারনকৃত ইমেজে স্ট্রং কালার এবং ডেপথ অফ ফিল্ড পাওয়া যায় যেখানে ডিজিটাল ক্যামেরায় ধারনকৃত ইমেজ অপেক্ষাকৃত পিছিয়ে আছে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ