Sadiq islam

Call

না। আত্মীয়দেরকে ১ ভাগ খাওয়াতে হবে। তাছাড়া মন নিষ্কলুষ হতে হবে। কুরবানি দিচ্ছি নিজের নামের জন্য-- এমন মনোভাব পোষণ করা যাবে না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

কুরবানী দেয়ার পর তিন ভাগের এক ভাগ মসজিদে দিয়ে দুই ভাগ নিজে রেখে দেন। এই মসজিদে দেওয়ার উদ্দ্যেশ্য কি? মসজিদ কমিটি কি তা গরীব দুঃখীদের মাঝে বিতরন করেন? কুরবানীকারী কোরবানীর গোশত নিজে খেতে পারেন, হাদিয়া দিতে পারেন এবং সদকা করতে পারেন। যদি মসজিদ কমিটি তা গরীব দুঃখীদের মাঝে বিতরন করেন এতে কোন সমস্যা নেই। দলিল হচ্ছে আল্লাহর বাণীঃ অতঃপর তোমরা তা থেকে খাও এবং দুঃস্থ অভাবীকে আহার করাও। (সূরা হাজ্জ, আয়াতঃ ২৮)। আল্লাহ আরো বলেন, তখন তোমরা তা থেকে খাও এবং আহার করাও এমন দরিদ্রকে যে ভিক্ষা করে এবং এমন দরিদ্রকে যে ভিক্ষা করে না। এভাবে আমরা সেগুলোকে তোমাদের বশীভূত করে দিয়েছি যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। (সূরা হাজ্জ, আয়াতঃ ৩৬)। অতঃপর তোমরা তা হতে আহার কর‎ এবং আহার করাও ধৈর্যশীল অভাবগ্রস্ত‎কে ও বিনয়ের সাথে ভিক্ষাকারীকে। এখান থেকে অনেকে দলীল গ্রহণ করেন যে, কুরবানীর গোশত তিনভাগ করতে হবে। একভাগ নিজের জন্য, দ্বিতীয়ভাগ আত্মীয়-স্বজনের জন্য এবং তৃতীয়ভাগ ফকির-মিসকীনদের জন্য। অথচ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরূপ কোন নির্দেশনা জারী করে দেননি। যেমন হাদীসে বলা হয়েছে: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আমি তোমাদের তিন দিনের বেশি কুরবানীর গোশত রাখতে নিষেধ করেছিলাম, এখন তোমাদেরকে অনুমতি দিচ্ছি তোমরা খাও, প্রয়োজন মত জমা রাখ। অন্য বর্ণনায় এসেছে খাও, সদকা কর এবং জমা রাখ। অন্য আরেকটি বর্ণনায় বলা হয়েছেন খাও, খাওয়াও ও সদকা কর। (সহীহ বুখারী হাঃ ৫৫৬৯, সহীহ মুসলিম হাঃ ১৯৭১)। সঠিক মত এই যে, কোন আয়াত বা সহীহ হাদীসে এরূপ তিনভাগে ভাগাভাগি করতেই হবে এমনটি প্রমাণ পাওয়া যায় না, তাই কেউ যদি ভাগ নাও করে তাতে সে গুনাহগার হবে না। মূলত দেখা হবে তার অন্তরে কী ছিল। তাই আমাদেরকে প্রথমত আমাদের নিয়ত ঠিক করা একান্ত কর্তব্য, তা না হলে কোন আমলই গ্রহণযোগ্য হবে না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ