পরীক্ষায় নকল করা মারাত্মক গুনাহের কাজ৷ এটি ধোঁকাবাজি ও প্রতারণার শামিল৷ হাদীসে এসেছে- حدثنا قتيبة بن سعيد، حدثنا يعقوب، - وهو ابن عبد الرحمن القاري ح وحدثنا أبو الأحوص، محمد بن حيان حدثنا ابن أبي حازم، كلاهما عن سهيل بن أبي صالح، عن أبيه، عن أبي هريرة، أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال " من حمل علينا السلاح فليس منا ومن غشنا فليس منا " আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ: রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “যে ব্যক্তি আমাদের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ করবে সে আমাদের দলভুক্ত নয় আর যে ব্যক্তি আমাদের ধোঁকা দিবে সেও আমাদের দলভুক্ত নয়” (ই.ফা. ১৮৫; ই.সে. ১৯১) সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ১৮৪ হাদিসের মান: সহিহ হাদিস তবে, ইসলামি শরিয়তের আলোকে চাকরির বিষয়টি যোগ্যতার সাথে সম্পৃক্ত৷ আপনি যে পদে আছেন যদি সেটার যোগ্য হন তাহলে চাকরি করা এবং বেতন নেয়া উভয়টি জায়েজ হবে৷ আর যদি আপনার পদ অনুযায়ী যোগ্যতা না থাকে তাহলে চাকরি করা কিংবা বেতন নেয়া কোনটাই জায়েজ হবে না৷
নকল করা ইসলামে হারাম। পরীক্ষাতে যদি কেউ নকল করে থাকেন, তাহলে তিনি হারাম কাজ করেছেন। এই হারাম কাজ করার জন্য তিনি বড় ধরনের গুনাহগার হবেন। তাই তার এই কাজটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় এবং শুদ্ধ নয়। পরীক্ষায় নকল করা দেখে লেখা অথবা যে কোনো অসদুপায় অবলম্বন করা ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম । আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি তোমাদেরকে ধোঁকা দেয়, সে ব্যক্তি আমাদের দলভুক্ত নয়। (ইবনে হিব্বানঃ ৫৫৩৩, সহিহুল জামেঃ ৬৪০৮) বিশেষ জ্ঞাতব্যঃ যে কোনো রকমের ধোঁকা এই হাদীসের অন্তর্ভুক্ত হবে। কিন্তু তিনি যদি চাকরি করেন এবং বৈধভাবে চাকরির বেতন গ্রহণ করেন, তাহলে তার এই চাকরির উপার্জন তার জন্য হালাল হবে। চাকরির উপার্জন হালাল কিন্তু ওই নকল করে পাস করাটা হারাম, এর জন্য তিনি গুনাহগার হবেন। এ থেকে মুক্তির জন্য তাকে তওবা করতে হবে।