ধন্যবাদ সম্মানিত   ভাইকে    প্রশ্ন করার জন্য,আপনার প্রশ্নের  উত্তর হল এই যেঃ একজন মুসলমানের জন্য স্বাভাবিক ভাবে গান-বাজনা শোনা ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম,চাই তা মেয়েদের কন্ঠে হোক আর ছেলেদের,

এসম্পর্কে কোরআনের বাণীঃ

وَمِنَ النَّاسِ مَن يَشْتَرِي لَهْوَ الْحَدِيثِ لِيُضِلَّ عَن سَبِيلِ اللَّهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ وَيَتَّخِذَهَا هُزُوًا ۚ أُولَٰئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ مُّهِينٌ

অর্থঃ“একশ্রেনীর লোক আছে যারা মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে গোমরাহ করার উদ্দেশ্যে অবান্তর কথাবার্তা সংগ্রহ করে অন্ধভাবে এবং উহাকে নিয়ে ঠাট্রা-বিদ্রূপ করে। এদের জন্য রয়েছে অবমাননাকর শাস্তি। (সূরা লোকমান-৬)

উক্ত আয়াতে অবান্তর কথাবার্তা বলতে গান-বাজনাকে বোঝানো হয়েছে।

অন্যত্র আল্লাহ তা’লা বলেনঃ

يَا نِسَاءَ النَّبِيِّ لَسْتُنَّ كَأَحَدٍ مِّنَ النِّسَاءِ ۚ إِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلَا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ وَقُلْنَ قَوْلًا مَّعْرُوفًا 

 

অর্থঃ“হে নবী পত্নীগণ!তোমরা অন্য নারীদের মত নও; যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, তবে পুরুষের সাথে কোমল ও আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে কথা বলো না, ফলে সেই ব্যক্তি কুবাসনা করে যার অন্তরে ব্যাধি রয়েছে। তোমরা সঙ্গত কথাবার্ত বলবে। (সূরা আহযাব-৩২)

এ আয়াতে নারীদেরকে পুরুষের সাথে কথা বলার সময় পর্দা রক্ষা করার পরেও কোমল ও আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে,  আর সেখানে গান শোনাতো অনেক দূরের কথা,কেননা সেখানে রয়েছে  মোহনীয় সূরের মূর্ছনা।

হাদীসে বর্ণিত হয়েছেঃআবু মালেক আশআরী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেনঃরাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার উম্মতের কিছু লোক মদের নাম পাল্টিয়ে তা পান করবে। তাদের সামনে গায়িকারা বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র নিয়ে গান করবে। আল্লাহ তাদেরকে ভূ-গর্বে বিলীন করে দিবেন এবং কতককে আকৃতি বিকৃত করে বানর ও শুকরে পরিণত করবেন।(আবুদাউদ,ইবনে মাযা,ইবনে হিব্বান)

সম্মানি  ভাই উপরোক্ত আয়াত এবং হাদীস স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে মুসলমানের জন্য গান শোনা হারাম হওয়ার কথা। আল্লাহ আমাদেরকে সর্বপ্রকার পাপ থেকে রক্ষা করুন।আমীন।



Talk Doctor Online in Bissoy App
HMMOBAROKBD

Call

নিশ্চয় ইসলামিক সঙ্গীত,হামদ-নাত শুনতে মানা নেয় যতক্ষণ পর্যন্ত তা বাদ্যযন্ত্রযুক্ত/ প্রাপ্তবয়স্ক মহিলার কন্ঠে না হয়৷        

প্রাপ্তবয়স্ক নারীর কন্ঠ পরপুরুষকে শুনানো যাবে না। বিশেষ প্রয়োজনে পর্দার সহিত কথা বলা যাবে, কিন্তু কোমল-আকর্ষণীয় কন্ঠে বলা যাবে না। যথাসম্ভব কর্কশ কন্ঠে বলতে হবে। যাতে পরপুরুষ আকর্ষিত না হয়ে যায়। এটা কুরআনের কথা। (সূত্র: সূরা আহযাব, আয়াত-32)

আর যদি কোনো সংগীতে নারী সুর দেয় তাহলে তো সেটা পরপুরুষের জন্য জায়েজ হওয়ার প্রশ্নই আসে না। চাই ইসলামী সংগীত হোক এবং যতো ভালো কথাই হোক না কেন। কোনো ভাবেই নারীর সুরালো কন্ঠ পরপুরুষের জন্য জায়েয নেই।

আম্মাজান হযরত আয়েশা (রা) এর নিকট মাসয়ালা বা হাদিসের প্রয়োজনে অন্যান্য সাহাবীগণ আসলে, তিনি মুখের ওপর হাত রেখে কণ্ঠ বিকৃত করে পর্দার আড়ালে থেকে কথা বলতেন যেন কারো অন্তর ব্যাধিগ্রস্থ না হয়। (সূত্র: তাফসীরে কুরতুবী)

আর ইসলামী শরীয়তের পরিস্কার কথা হল, বাদ্য-বাজনা শোনা নাজায়েয ও হারাম। ফলে ইসলামী সংগীতেও বাদ্য-বাজনা থাকলে/প্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের  কন্ঠে হলে  তা শোনা বৈধ হবে না। সংগীতের কথা যতই ভালো হোক না কেন। কোনো অবস্থাতেই বাদ্য-বাজনা/প্রাপ্তবয়স্ক মহিলার কন্ঠ  জায়েজ মনে করা যাবে। যদি কেউ জায়েজ মনে করে তবে ওই হাদিসের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, আমার উম্মতের মধ্যে এমন কিছু লোক সৃষ্টি হবে, যারা ব্যভিচার, রেশম, মদ ও বাদ্যযন্ত্রকে হালাল মনে করবে। (বুখারী, হাদীস নং ৫৫৯০)

ধন্যবাদ.......  


Talk Doctor Online in Bissoy App