আমার দাদু পাঁচশত গুটির একটি তাসবীহ ব্যবহার করেন । উনার কাছে আমল শিখতে চাইলে উনি নির্দিষ্ট ভাবে তসবীহ গুনে গুনে কিছু আমল করতে বলেন । তসবীহ গুনে গুনে আমল করার বিষয়টি কুরআন সুন্নাহর আলোকে দলিলসহকারে উত্তর আশা করছি ।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

তসবী হচ্ছে মুসলমানের জপমালা। কেউ যদি তসবীতে গুনে গুনে তাসবীহ, তাহমীদ, তাকবীর পাঠ করে তা করতে পারবে ইসলামে এর বিধান রয়েছে। আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তোমরা প্রত্যেক সালাত এর পর তেত্রিশ বার করে তাসবীহ (সুবহানাল্লাহ) তাহমীদ (আলহামদু লিল্লাহ) এবং তাকবীর (আল্লাহু আকবার) পাঠ করবে। (সহীহ বুখারী হাদিস নম্বরঃ ৮০৩ হাদিসের মানঃ সহিহ)। নামাজ শেষে তাসববীহ পাঠের জন্য কোরআন কারিমে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। তাই কেউ যদি তসবীতে গুনে গুনে পাঠ করে তা করতে পারবে যা আগেও বলা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, এরপর যখন নামাজ শেষ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে৷ যখন তোমরা নিরাপদ হবে, তখন যথাযথভাবে নামাজ আদায় করবে। নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করা মুসলমানদের জন্য ফরজ। (সূরা নিসাঃ ১০৩) আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক আদাম সন্তানকেই ৩৬০টি গ্রন্থি বিশিষ্ট করে সৃষ্টি করেছেন। অতএব যে ব্যক্তি ঐ সংখ্যা পরিমাণ আল্লাহু আকবার বলবে, আলহামদু লিল্লাহ বলবে, লা-ইলা-হা ইল্লালাহ বলবে, সুবহানাল্লহ বলবে, আসতাগফিরুল্লহ বলবে, মানুষের চলার পথ থেকে একটি পাথর বা একটি কাটা বা একটি হাড় সরাবে, সৎ কাজের আদেশ দিবে এবং অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখবে, সে কিয়ামাতের দিন এমনভাবে চলাফেরা করবে যে, সে নিজেকে ৩৬০ (গ্রন্থি) সংখ্যা পরিমাণ জাহান্নাম থেকে দূরে রাখবে অর্থাৎ বেঁচে থাকবে। (সহীহ মুসলিম হাদিস নম্বরঃ ২২২০ ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২১৯৯, ইসলামীক সেন্টার ২২০১ হাদিসের মানঃ সহিহ)। কিন্তু আপনার দাদু পাঁচশত গুটির যে তসবী ব্যবহার করেন উক্ত তসবীতে গুনে গুনে কি আমল করতে বলেন মন্তব্যে জানাবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ