অপরিচিত কোন মেয়ের সাথে এস.এম.এস এর মাধ্যমে ন্যায়সংগত কথা বলা যাবে। অথবা পারিবারিক কল্যাণার্থে বৈধ কোন বিষয়ে অল্পস্বল্প কথাবার্তা বলার মধ্যে কোন দোষ নেই। ইসলামী শরীয়তে, কোন বেগানা নারীর সাথে কোন যুবকের নিষ্কাম বন্ধুত্ব অসম্ভব। পরন্ত সেই বন্ধুত্বের জোরে যেকোন গায়রে মাহরামের সাথে এস.এম.এস এর মাধ্যমে খোঁজ খবর নেয়া কিংবা অনর্থক কথাবার্তা, গল্পগুজব বা এমনি কোনো একটা বিষয়ে আলাপ- আলোচনা পত্রালাপ করা নিঃসন্দেহে হারাম। বেগানা যুবক যুবতীর মাঝে নিষ্কাম বন্ধুত্ব অসম্ভব। কারো দ্বারা বিরলভাবে সম্ভব হলেও শরীয়তের তা হারাম। তাদের আপোষে পত্রালাপ ও রসালাপ বৈধ নয়। যেহেতু তাতে ফিতনার আশঙ্কা রয়েছে। আর ফিতনা ও দাজ্জাল থেকে পাকা মুমিনকেও দূরে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। (রেফারেন্সঃ আহমাদঃ ৪/৪৩১, ৪৪১, আবূ দাঊদঃ ৪৩১৯) কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছেঃ হে নবী পত্নিগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও, যদি তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর সুতরাং পর-পুরুষের সাথে কমল কন্ঠে এমন ভাবে কথা বলো না, কারণ এতে যার অন্তরে ব্যাধি আছে, সে প্রলুব্ধ হয় এবং তোমরা ন্যায়সংগত কথা বলবে। (সূরা আহযাবঃ ৩২) এখানে আল্লাহ তায়ালা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর স্ত্রীসহ সকল মুমিন নারীদেরকে কয়েকটি অবশ্য পালনীয় নির্দেশ প্রদান করছেনঃ আল্লাহ তায়ালা বলছেনঃ কোমল কন্ঠে কথা বল না! অর্থাৎ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর স্ত্রীদেরকে সম্বোধন করে সকল মুমিন নারীদেরকে বলছেনঃ যদি পর্দার অন্তরাল থেকে পর পুরুষের সাথে কথা বলার প্রয়োজন দেখা দেয় তাহলে কোমল কন্ঠে কথা বলবে না, যদি বল তাহলে যাদের অন্তরে কৃপ্রবৃত্তির ব্যাধি রয়েছে তারা আসক্ত হয়ে যাবে। বরং ন্যায়সঙ্গতভাবে বলবে। জনাব! অযথা কোনো একটা বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করা হারাম। এতে যাদের অন্তরে কৃপ্রবৃত্তির ব্যাধি রয়েছে তারা আসক্ত হয়ে যাবে। এবং হারাম কাজে লিপ্ত হবে।