জবেহ বৈধ হওয়ার সকল শর্ত পাওয়া গেলে শুধু একাকি জবেহ করার দ্বারা কোনরূপ সমস্যা নেই। এমর প্রাণী ও জবেহ সম্পূর্ণ বৈধ। হাদীসে এসেছে-আনাস (রাঃ) থেকে বর্নিত। তিনি বলেনঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুটি সাদা-কালো বর্ণের ভেড়া দ্বারা কুরবানী করেছেন। তখন আমি তাকে দেখতে পাই তিনি ভেড়া দু-টোর পার্শ্বদেশে পা রেখে বিসমিল্লাহ ও আল্লাহু আকবার পড়ে নিজের হাতে সে দুটোকে যবাহ করেন। -বুখারী হা. নং৫৫৫৮
عن أنس قال: ضحى النبي صلى الله عليه و سلم بكبشين أملحين فرأيته واضعا قدمه على صفاحهما يسمي ويكبر فذبحهما بيده
দোকানদার যদিও নিজেই মুরগি জবাই করে সেই মুরগি খাওয়া জায়েজ হবে। যদি জবাই করার সময় আল্লাহর নাম উচ্চারিত হয়। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ যেসব জন্তুর উপর আল্লাহর নাম উচ্চারিত হয় না, সেগুলো থেকে তোমরা ভক্ষণ করো না এ ভক্ষণ করা পাপ। (সূরাহ আনআম আয়াতঃ ১২১ সংক্ষেপ তাফসীরের আলোকে) নিশ্চয় মহান আল্লাহ তোমাদের প্রতি হারাম করেছেন মৃত-জীব, রক্ত এবং শূকরের মাংস এবং সেই দ্রব্য যার প্রতি যবেহ করার সময় মহান আল্লাহ ছাড়া অন্যের নাম নেয়া হয়েছে। তবে যে ব্যক্তি নিরূপায় হয়ে পড়ে, কিন্তু সে নাফরমান ও সীমালঙ্ঘনকারী নয়, তার কোন গুনাহ নেই। নিশ্চয় মহান আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সূরা বাকারা আয়াতঃ ১৭৩) যা আল্লাহ ব্যতীত অপরের উদ্দেশ্যে উৎসর্গিত অর্থাৎ যেসব প্রাণী আল্লাহ তাআলার নাম ছাড়া অন্যের নামে জবেহ করা হয়। চাই মূর্তি হোক, ওয়ালী-আওলিয়া বা গায়রুল্লার নামে হোক। তবে যে ব্যক্তি নিরুপায় হয়ে খায় তার কোন পাপ হবে না। অন্যত্র আল্লাহ তাআলা বলেনঃ তবে কেউ পাপের দিকে না ঝুঁকে ক্ষুধার তাড়নায় বাধ্য হলে তখন আল্লাহ তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সূরা মায়িদাঃ ৩) অর্থাৎ হারাম প্রাণী বা খাদ্য ছাড়া কোন কিছু না পেলে প্রাণ রক্ষার্থে ততটুকু বৈধ যতটুকু হলে জীবন বাঁচানো যাবে। জনাব! বিক্রেতা একা জবাই করলে তা খাওয়া নিষেধ নেই। একা জবাই করা হলেও তা খাওয়া জায়েজ। কিন্তু জবাই করার সময় তিনি আল্লাহর নামে জবাই করছেন কি না, সেটা নিশ্চিত হতে হবে। আল্লাহর নামে জবাই হলে আপনি খেতে পারেন। সেটা একা জবাই করলেও কোনো অসুবিধা নেই। জবাই করার জন্য দুইজন বা তিনজন থাকা লাগবে এমনটা শর্ত নয়।